অনলাইন ডেস্ক:
আগামী ১৭ নভেম্বর থেকে প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী সমাপনী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু বেতন গ্রেড উন্নীতকরণের দাবিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা আসন্ন সমাপনী পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন।
এমন পরিস্থিতিতে শিক্ষকদের আন্দোলনের মধ্যে বিকল্প উপায়ে প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা গ্রহণের নির্দেশনা দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের যেসব কেন্দ্রে কেন্দ্র সচিব অথবা ইনভিজিলেটরের দায়িত্ব পালন করার কথা রয়েছে সেসব কেন্দ্রে উচ্চবিদ্যালয় ও মাদ্রাসার প্রধানশিক্ষক, সুপারিনটেনডেন্ট ও সহকারী শিক্ষকদের দিয়ে পরীক্ষা গ্রহণের নির্দেশনা দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর।
মঙ্গলবার (০৫ নভেম্বর) প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) মো. সাবের হোসেন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বলা হয়, অত্র দফরের তথ্যানুযায়ী সারাদেশে প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় মোট সাত হাজার ৪৫৮টি কেন্দ্র রয়েছে।
এরমধ্যে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তিন হাজার ৯৩১টি এবং উচ্চ বিদ্যালয় ও মাদরাসায় তিন হাজার ৫২৭টি কেন্দ্র রয়েছে। এই পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর থেকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে মাঠ পর্যায়ে কেন্দ্র নির্বাচন সম্পন্ন হলেও শিক্ষকগণের বিভিন্ন দাবির পরিপ্রেক্ষিতে পরীক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে মর্মে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এমতাবস্থায় সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা সম্পাদনের লক্ষ্যে যেসব পরীক্ষা কেন্দ্রে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা কেন্দ্র সচিব অথবা ইনভিজিলেটরের দায়িত্বপ্রাপ্ত সেসব পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রয়োজনে উচ্চ বিদ্যালয় বা মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক/সুপারিনটেনডেন্ট/সহকারী শিক্ষকদের দায়িত্ব দিয়ে পরীক্ষা কার্যক্রম সম্পন্ন করার বিকল্প প্রস্তুতি গ্রহণ করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো।’
ইতিমধ্যে সব জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিসার ছাড়াও প্রাথমিক শিক্ষার সববিভাগীয় উপপরিচালক, সব পিটিআইয়ের সুপারিনটেনডেন্ট, উপজেলা/থানা রিসোর্স সেন্টারের ইন্সট্রাক্টরকে এ নির্দশনা পাঠানো হয়েছে।
এদিকে বিকল্পভাবে পরীক্ষা গ্রহণে এই নির্দেশনার পর শিক্ষা অধিদফতরের সমালোচনা করে আন্দোলনকারী শিক্ষকদের অনেকেই বিরূপ প্রতিক্রিয়া ও ক্ষোভ জানিয়েছেন।
উল্লেখ, বেতন গ্রেড উন্নীতকরণের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই আন্দোলন করে আসছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৩ অক্টোবর ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে মহাসমাবেশের চেষ্টা চালায় শিক্ষকরা। তবে পুলিশি বাধায় তা পণ্ড হয়ে যায়।
এ নিয়ে আন্দোলনকারী শিক্ষকদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
যদিও আন্দোলনের দাবি প্রসঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বিবৃতি দেয়া হয়েছে যে, খুব শিগগিরই শিক্ষকদের দাবি-দাওয়ার বিষয়ে একটি যৌক্তিক এবং সন্তোষজনক সমাধানে উপনীত হওয়া সম্ভব হবে।
প্রসঙ্গত আগামী ১৭ নভেম্বর থেকে শুরু হয়ে প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী সমাপনী পরীক্ষা শেষ হবে ২৪ নভেম্বর। এ পরীক্ষায় এবার প্রায় ৩০ লাখের মতো শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবে।