নেতাকর্মীদের দাবীর মুখে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি প্রার্থী মনির গাজী

  • আপডেট: ০২:২৪:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর ২০১৯
  • ৩১

রেজাউল করিম নয়ন/ গাজী মহিনউদ্দিন:
হাজীগঞ্জ উপজেলার ৭নং বড়কুল পশ্চিম ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সম্মেলনে নেতাকর্মীদের দাবীর মুখে আবারো সভাপতি পদে প্রার্থী হচ্ছেন জননন্দিত ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মনির হোসেন গাজী। টানা দুই বার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি নির্বাচিত হয়ে দলকে সু-সংগঠিত করেন তিনি। কর্মীবান্ধব মনির হোসেন গাজী আওয়ামীলীগের সভাপতির দায়িত্বে আসার পর পরই সহযোগী সংগঠন কৃষকলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা উজ্জ্বীবিত হয়ে উঠে।

১৯৭০ সালের নির্বাচনে প্রথম ভোটার হয়ে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে উঠেন তিনি। ১৯৭১ সালের ৭মার্চ বঙ্গবন্ধুর ভাষণে স্বাধীনতার ডাকে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন। মুক্তিযুদ্ধে পরিবারের ৮ সদস্য নিয়ে পাক-হানাদারে বিরুদ্ধে জীবন বাজি রেখে দেশের জন্য লড়াই করেন। ১৯৭৫ সালে সহপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার দলের দূর্সময়ে আওয়ামীলীগের হাল ছাড়েননি মনির হোসেন গাজী। প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামীলীগের রাজনীতি করে আসছেন। টানা তিন বার ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা ডেপুটি কমান্ডার ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন।

প্রায় দীর্ঘ সময় ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি পদে দায়িত পালন করেন। এর পর ১৯৮৬ সাল থেকে তিন বার ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়ে জনগনের সেবা করেন। এর পর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি পদে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন জননন্দিত এ ইউপি চেয়ারম্যান। ২০১৬ সালে ইউপি নির্বাচনে প্রথম নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হয়ে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন মনির হোসেন গাজী। তিনি নির্বাচিত হওয়ার পর এলাকার ব্যাপক উন্নয়ন করেন।

এক সময় ইউনিয়নে কোন পাকা রাস্তা ছিল না। আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসার পর চাঁদপুর-৫ হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি আসনের সংসদ সদস্য সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, মুক্তিযুদ্ধের ১নং সেক্টর কমান্ডার মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীর উত্তমের মাধ্যমে এলাকার ব্যাপক উন্নয়ন করেন। তার ইউনিয়নে বর্তমানে কাঁচা রাস্তা নেই বললেই চলে। এছাড়া ইউনিয়ন পরিবার পরিকল্পনা, স্কুল-মাদ্রাসার ব্যাপক উন্নয়ন করেন।

এক সময়ে বিএনপি জামায়াত অধ্যুষিত এ ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা অনেক মামলা হামলা এবং নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে। বিএনপি জামায়াতের ভয়ে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের দায়িত্ব নিতে অপরাগতা জানিয়ে নেতাকর্মীরা ২০০১ সালে অনেকটা জোরপূর্বক ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতির দায়িত্ব তুলে দেয়। বর্তমানে ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের মাঝে কোন বিরোধ নেই।
মনির হোসেন গাজী বলেন, আমি ১৯৭০ সালে নৌকা প্রতীকে ভোট দেওয়ার মাধ্যমে রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়ি। এ ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ করার কারণে ২০০১ সালে বিএনপি জামায়াতের রোষানলে পড়ে হয়। আমার দুই হাত কাটার নিদের্শ দেয় বিএনপির উপরের নেতারা। কয়েকবার আমাকে মেরে ফেলার জন্য হামলা করেছে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জ্বীবিত হয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করি। এর পর দলীয় মিছিল মিটিংয়ে অংশ গ্রহণ করে নেতাকর্মীদের উৎসাহ উদ্দীপনা দিয়েছি। এ ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ ছিল মাত্র ৩০%। বর্তমানে আওয়ামীলীগের সমর্থন রয়েছে ৫৫% ভাগ। প্রায় ৪০ বছর পর আওয়ামীলীগের দলীয় পদে থেকে ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছি। নেতাকর্মীদের জন্য আমার দরজা ২৪ ঘন্টা খোলা রয়েছে। নেতাকর্মীদের যে কোন প্রয়োজনে আমি আছি এবং থাকবো। এবার সভাপতি প্রার্থী হতে চাইনি। নেতাকর্মীদের অনুরোধে এবারো আমাকে দলের সভাপতি পদে প্রার্থী হতে হচ্ছে। দলীয় নেতাকর্মীরা যখনি সমস্যায় পড়বে আমি তাদের পাশে থাকবো।

https://www.facebook.com/NotunerKotha/videos/2677876828930675/?t=5

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

কিস্তির আসায় হাজীগঞ্জ থেকে কয়েক শতাধিক নারী-পুরুষ গেলো ঢাকায়!

নেতাকর্মীদের দাবীর মুখে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি প্রার্থী মনির গাজী

আপডেট: ০২:২৪:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর ২০১৯

রেজাউল করিম নয়ন/ গাজী মহিনউদ্দিন:
হাজীগঞ্জ উপজেলার ৭নং বড়কুল পশ্চিম ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সম্মেলনে নেতাকর্মীদের দাবীর মুখে আবারো সভাপতি পদে প্রার্থী হচ্ছেন জননন্দিত ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মনির হোসেন গাজী। টানা দুই বার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি নির্বাচিত হয়ে দলকে সু-সংগঠিত করেন তিনি। কর্মীবান্ধব মনির হোসেন গাজী আওয়ামীলীগের সভাপতির দায়িত্বে আসার পর পরই সহযোগী সংগঠন কৃষকলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা উজ্জ্বীবিত হয়ে উঠে।

১৯৭০ সালের নির্বাচনে প্রথম ভোটার হয়ে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে উঠেন তিনি। ১৯৭১ সালের ৭মার্চ বঙ্গবন্ধুর ভাষণে স্বাধীনতার ডাকে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন। মুক্তিযুদ্ধে পরিবারের ৮ সদস্য নিয়ে পাক-হানাদারে বিরুদ্ধে জীবন বাজি রেখে দেশের জন্য লড়াই করেন। ১৯৭৫ সালে সহপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার দলের দূর্সময়ে আওয়ামীলীগের হাল ছাড়েননি মনির হোসেন গাজী। প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামীলীগের রাজনীতি করে আসছেন। টানা তিন বার ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা ডেপুটি কমান্ডার ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন।

প্রায় দীর্ঘ সময় ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি পদে দায়িত পালন করেন। এর পর ১৯৮৬ সাল থেকে তিন বার ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়ে জনগনের সেবা করেন। এর পর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি পদে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন জননন্দিত এ ইউপি চেয়ারম্যান। ২০১৬ সালে ইউপি নির্বাচনে প্রথম নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হয়ে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন মনির হোসেন গাজী। তিনি নির্বাচিত হওয়ার পর এলাকার ব্যাপক উন্নয়ন করেন।

এক সময় ইউনিয়নে কোন পাকা রাস্তা ছিল না। আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসার পর চাঁদপুর-৫ হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি আসনের সংসদ সদস্য সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, মুক্তিযুদ্ধের ১নং সেক্টর কমান্ডার মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীর উত্তমের মাধ্যমে এলাকার ব্যাপক উন্নয়ন করেন। তার ইউনিয়নে বর্তমানে কাঁচা রাস্তা নেই বললেই চলে। এছাড়া ইউনিয়ন পরিবার পরিকল্পনা, স্কুল-মাদ্রাসার ব্যাপক উন্নয়ন করেন।

এক সময়ে বিএনপি জামায়াত অধ্যুষিত এ ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা অনেক মামলা হামলা এবং নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে। বিএনপি জামায়াতের ভয়ে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের দায়িত্ব নিতে অপরাগতা জানিয়ে নেতাকর্মীরা ২০০১ সালে অনেকটা জোরপূর্বক ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতির দায়িত্ব তুলে দেয়। বর্তমানে ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের মাঝে কোন বিরোধ নেই।
মনির হোসেন গাজী বলেন, আমি ১৯৭০ সালে নৌকা প্রতীকে ভোট দেওয়ার মাধ্যমে রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়ি। এ ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ করার কারণে ২০০১ সালে বিএনপি জামায়াতের রোষানলে পড়ে হয়। আমার দুই হাত কাটার নিদের্শ দেয় বিএনপির উপরের নেতারা। কয়েকবার আমাকে মেরে ফেলার জন্য হামলা করেছে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জ্বীবিত হয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করি। এর পর দলীয় মিছিল মিটিংয়ে অংশ গ্রহণ করে নেতাকর্মীদের উৎসাহ উদ্দীপনা দিয়েছি। এ ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ ছিল মাত্র ৩০%। বর্তমানে আওয়ামীলীগের সমর্থন রয়েছে ৫৫% ভাগ। প্রায় ৪০ বছর পর আওয়ামীলীগের দলীয় পদে থেকে ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছি। নেতাকর্মীদের জন্য আমার দরজা ২৪ ঘন্টা খোলা রয়েছে। নেতাকর্মীদের যে কোন প্রয়োজনে আমি আছি এবং থাকবো। এবার সভাপতি প্রার্থী হতে চাইনি। নেতাকর্মীদের অনুরোধে এবারো আমাকে দলের সভাপতি পদে প্রার্থী হতে হচ্ছে। দলীয় নেতাকর্মীরা যখনি সমস্যায় পড়বে আমি তাদের পাশে থাকবো।

https://www.facebook.com/NotunerKotha/videos/2677876828930675/?t=5