ভাইস চেয়ারম্যান ও যুবলীগ নেতার অন্তরঙ্গ ছবি ভাইরালের ঘটনায় তোলপাড়

  • আপডেট: ০৮:০৩:৪১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ অক্টোবর ২০১৯
  • ২৭

অনলাইন ডেস্ক:

অসামাজিক ছবি ভাইরাল হওয়ায় বিপাকে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও যুবলীগ নেতা কামরান।আওয়ামী লীগের চলমান শুদ্ধি অভিযানের মধ্যেই বেড়িয়ে এলো এক যুবলীগ নেতার চারিত্রিক স্খলনের অনেক অজানা তথ্য৷ আজ মঙ্গলবার, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে এক তরুণীর সঙ্গে নাটোরের সিংড়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান কামরানের অন্তরঙ্গ ছবি ভাইরাল হয়েছে। এ নিয়ে, সিংড়ায় ব্যাপক আলোচনা আর সমালোচনার ঝড় বইছে। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের সঙ্গেও কামরানের সুসম্পর্ক ছিলো বলে জানা গেছে।

নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং উপজেলা পরিষদ এর ভাইস চেয়ারম্যান কামরুল হাসান কামরান এর বিরুদ্ধে তরুণীদের ফাঁদে ফেলে অবৈধ সম্পর্কের অভিযোগ উঠেছে। এমনকি কামরানের প্রেমের ফাঁদে একই উপজেলার ছাতারদীঘি ইউনিয়নের এক দম্পতির সংসার ভাঙার অভিযোগ রয়েছে।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কালিগঞ্জ গ্রামের প্রান্ত ইসলাম এবং মিফতাহুল জান্নাত মিষ্টি নামের এক দম্পতির ঘর ভেঙেছে যুবলীগ নেতা কামরানের প্ররোচনায়। প্রান্ত ইসলামের সহধর্মিণী মিফতাহুল জান্নাত মিষ্টি পেশায় একজন বিউটিশিয়ান। প্রান্ত ইসলাম একটি টেলকো কোম্পানিতে কর্মরত৷ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভুক্তভোগী প্রান্ত ইসলামের এক ঘনিষ্ঠজন বলেন, “বিভিন্ন প্রলোভোনের মাধ্যমে উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক কামরান, প্রান্ত ইসলামের স্ত্রী মিষ্টির সঙ্গে গভীর প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। সম্পর্কের শুরুর দিকে প্রান্ত ইসলাম তার স্ত্রীকে সতর্ক করলেও কোনো লাভ হয়নি৷ এক পর্যায়ে এই অবৈধ সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে তাদের একমাত্র ৭ বছরের কন্যা সন্তানকে ফেলে কামরান এর আশায় ঘর ছাড়েন মিষ্টি।

ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা যায় ইতোমধ্যে গোপনে বিয়ে করেছেন কামরান এবং মিষ্টি৷ যদিও, বর্তমানে উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান, এবং যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক কামরান এখনও পর্যন্ত মিষ্টিকে সামাজিকভাবে স্ত্রী হিসেবে স্বীকৃতি দেননি।

স্থানীয় যুবলীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মিষ্টির মত আরও অনেক বিবাহিত ও অবিবাহিত নারীর সঙ্গে কামরানের অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে। জাতীয় পার্টির নেতা এবং সাবেক সাংসদ ইয়াকুব আলীর ঘনিষ্ঠ আত্মীয় উপজেলার বেলোয়া গ্রামের সিদ্দিকুর রহমানের মেয়ে সেজুতির সঙ্গেও কামরানের দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্কের কথা এলাকাবাসীর সবারই জানা৷ কিন্তু, সরকার দলীয় সংগঠন যুবলীগের উপজেলা সেক্রেটারি হওয়ার কারণে কামরানের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে ভয় পান এলাকার মানুষ। মিষ্টি এবং সেজুতির মত আরও অনেক তরুণীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে তাদেরকে বিভিন্নভাবে ক্ষতি করার অভিযোগ কামরানের বিরুদ্ধে৷ নারী আসক্তির বাইরেও গোপনে অবৈধ অ’স্ত্র এবং মা’দক ব্যবসায়ীদের মদদ দেয়ার অভিযোগ রয়েছে কামরানের বিরুদ্ধে।

Tag :

সম্পাদক ও প্রকাশক:
মোঃ মহিউদ্দিন আল আজাদ

মোবাইল : ০১৭১৭-৯৯২০০৯ (নিউজ) বিজ্ঞাপন : ০১৬৭০-৯০৭৩৬৮
ইমেইলঃ notunerkotha@gmail.com

দেশে HMPV ভাইরাসে আক্রান্ত নারীর মৃত্যু, বাড়ছে আতঙ্ক

ভাইস চেয়ারম্যান ও যুবলীগ নেতার অন্তরঙ্গ ছবি ভাইরালের ঘটনায় তোলপাড়

আপডেট: ০৮:০৩:৪১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ অক্টোবর ২০১৯

অনলাইন ডেস্ক:

অসামাজিক ছবি ভাইরাল হওয়ায় বিপাকে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও যুবলীগ নেতা কামরান।আওয়ামী লীগের চলমান শুদ্ধি অভিযানের মধ্যেই বেড়িয়ে এলো এক যুবলীগ নেতার চারিত্রিক স্খলনের অনেক অজানা তথ্য৷ আজ মঙ্গলবার, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে এক তরুণীর সঙ্গে নাটোরের সিংড়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান কামরানের অন্তরঙ্গ ছবি ভাইরাল হয়েছে। এ নিয়ে, সিংড়ায় ব্যাপক আলোচনা আর সমালোচনার ঝড় বইছে। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের সঙ্গেও কামরানের সুসম্পর্ক ছিলো বলে জানা গেছে।

নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং উপজেলা পরিষদ এর ভাইস চেয়ারম্যান কামরুল হাসান কামরান এর বিরুদ্ধে তরুণীদের ফাঁদে ফেলে অবৈধ সম্পর্কের অভিযোগ উঠেছে। এমনকি কামরানের প্রেমের ফাঁদে একই উপজেলার ছাতারদীঘি ইউনিয়নের এক দম্পতির সংসার ভাঙার অভিযোগ রয়েছে।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কালিগঞ্জ গ্রামের প্রান্ত ইসলাম এবং মিফতাহুল জান্নাত মিষ্টি নামের এক দম্পতির ঘর ভেঙেছে যুবলীগ নেতা কামরানের প্ররোচনায়। প্রান্ত ইসলামের সহধর্মিণী মিফতাহুল জান্নাত মিষ্টি পেশায় একজন বিউটিশিয়ান। প্রান্ত ইসলাম একটি টেলকো কোম্পানিতে কর্মরত৷ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভুক্তভোগী প্রান্ত ইসলামের এক ঘনিষ্ঠজন বলেন, “বিভিন্ন প্রলোভোনের মাধ্যমে উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক কামরান, প্রান্ত ইসলামের স্ত্রী মিষ্টির সঙ্গে গভীর প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। সম্পর্কের শুরুর দিকে প্রান্ত ইসলাম তার স্ত্রীকে সতর্ক করলেও কোনো লাভ হয়নি৷ এক পর্যায়ে এই অবৈধ সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে তাদের একমাত্র ৭ বছরের কন্যা সন্তানকে ফেলে কামরান এর আশায় ঘর ছাড়েন মিষ্টি।

ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা যায় ইতোমধ্যে গোপনে বিয়ে করেছেন কামরান এবং মিষ্টি৷ যদিও, বর্তমানে উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান, এবং যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক কামরান এখনও পর্যন্ত মিষ্টিকে সামাজিকভাবে স্ত্রী হিসেবে স্বীকৃতি দেননি।

স্থানীয় যুবলীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মিষ্টির মত আরও অনেক বিবাহিত ও অবিবাহিত নারীর সঙ্গে কামরানের অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে। জাতীয় পার্টির নেতা এবং সাবেক সাংসদ ইয়াকুব আলীর ঘনিষ্ঠ আত্মীয় উপজেলার বেলোয়া গ্রামের সিদ্দিকুর রহমানের মেয়ে সেজুতির সঙ্গেও কামরানের দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্কের কথা এলাকাবাসীর সবারই জানা৷ কিন্তু, সরকার দলীয় সংগঠন যুবলীগের উপজেলা সেক্রেটারি হওয়ার কারণে কামরানের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে ভয় পান এলাকার মানুষ। মিষ্টি এবং সেজুতির মত আরও অনেক তরুণীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে তাদেরকে বিভিন্নভাবে ক্ষতি করার অভিযোগ কামরানের বিরুদ্ধে৷ নারী আসক্তির বাইরেও গোপনে অবৈধ অ’স্ত্র এবং মা’দক ব্যবসায়ীদের মদদ দেয়ার অভিযোগ রয়েছে কামরানের বিরুদ্ধে।