ফরিদগঞ্জে হয়রানি থেকে মুক্তির দাবীতে রিক্সাচালকের সংবাদ সম্মেলন

  • আপডেট: ০১:১২:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর ২০১৯
  • ২৯

ফরিদগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
ছেলে হত্যা মামলার আসামী। প্রেমে ব্যর্থ হয়ে নিজেই তার প্রাক্তন প্রেমিকাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে বলে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। ফলে পুলিশও নিশ্চিত হয়েছে হত্যার ঘটনা ঘটিয়েছে সুজন খান নিজেই। যদিও এই ঘটনায় তার ছোট ভাই সোহেব খান এখনো জেলে রয়েছে।
কিন্তু ছেলের এই খুনের ঘটনার দায়েরকৃত মামলায় আসামী না হয়েও বসতবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন পেশায় রিক্সা-বাই সাইকেল মিস্ত্রি পিতা আবুল বাশার । প্রতিপক্ষের দাবীকৃত টাকা না দিলে মামলায় জড়ানোর ও প্রাণ নাশের হুমকি আতংকগ্রস্থ হয়ে পড়েন তিনি। দোকান খুলতে গেলে তাকে বাঁধা দেয়া হয়। ফলে গত দুই মাস ধরে আবুল বাশার ও তার পরিবার পালিয়ে বেড়াচ্ছে।
মঙ্গলবার দুপুরে ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এসব বক্তব্য তুলে ধরে এর থেকে মুক্তি চেয়েছেন আবুল বাশার। এসময় তিনি বলেন, আমার ছেলে অপরাধ করেছে , তার উপযুক্ত শাস্তি হউক , পিতা হয়েও আমি তা চাই। কিন্তু মামলার আসামী না হয়েও মামলার বাদীর ভাসুর সাবেক ইউপি সদস্য সেকান্তর বেপারি, ও তার দুই ছেলে তাদের এই হয়রানি করছে।
আবুল বাশার লিখিত বক্তব্যে জানান, ‘গত ৩০ জুলাই পাশ্ববর্তী বাড়ির সেলিম মিয়ার মেয়ে জাহেদা আক্তার মিশুকে খুন করার অপরাধে তার ছেলে সুজন খান পুলিশের হাতে আটক হয়। এই ঘটনায় নিহত জাহেদা আক্তার মিশুর মা ছালেহা বেগম বাদী হয়ে ছেলে খুনি সুজন খান অপর এক ছেলে সোহেব খান ও নিহত মিশুর দুই দেবর ও এক বন্ধুকে আসামী করা হয়। ওই মামলায় আমাকে বা আমার স্ত্রী এবং মেয়েকে আসামী করা না হলেও এলাকার একটি কুচক্রি মহলের যোগসাজশে স্থানীয় প্রভাবশালী ও নিহত মিশুর চাচা সেকান্তর বেপারি ও তার দুই ছেলে কর্তৃক ঐ মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করবে বলে ভয়-ভীতি দেখাচ্ছে, দুই লক্ষ টাকা দাবী করে আসছে। দাবিকৃত টাকা না দেয়ায় প্রাণ নাশের অব্যাহত হুমকি দিচ্ছে, আমি বাড়িতে না থাকার সুবাদে আমার বসত ঘরে ঢুকে ভাংচুর ও লুটপাট করে ঘরের জিনিসপত্র নিয়ে গেছে। এসব দৃস্কৃতকারীদের এরূপ ভয়-ভীতি প্রদর্শন ও এহেন অপকর্মের ফলে দীর্ঘ দুই মাস যাবত আমি বাড়িঘর ছেড়ে আমার শ্বশুড় বাড়িতে অবস্থান করছি। ইতিপূর্বে আমার মেয়ের শশুড় বাড়িতে যেয়ে তাকে মারধর করেছে। ফলে আমরা আতংকে রয়েছি। একান্ত বাধ্য হয়ে ফরিদগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন মেয়ে রাবেয়া ’। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আবুল বাশারের মেয়ে রাবেয়া, স্ত্রী কুলছুমা , শশুড় আব্দুল খালেক, শ্যালক নজরুল ইসলাম প্রমুখ।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

উপদেষ্টাদের যাচ্ছেতাই কর্মকাণ্ড মেনে নেয়া হবে না-রিজভী

ফরিদগঞ্জে হয়রানি থেকে মুক্তির দাবীতে রিক্সাচালকের সংবাদ সম্মেলন

আপডেট: ০১:১২:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর ২০১৯

ফরিদগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
ছেলে হত্যা মামলার আসামী। প্রেমে ব্যর্থ হয়ে নিজেই তার প্রাক্তন প্রেমিকাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে বলে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। ফলে পুলিশও নিশ্চিত হয়েছে হত্যার ঘটনা ঘটিয়েছে সুজন খান নিজেই। যদিও এই ঘটনায় তার ছোট ভাই সোহেব খান এখনো জেলে রয়েছে।
কিন্তু ছেলের এই খুনের ঘটনার দায়েরকৃত মামলায় আসামী না হয়েও বসতবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন পেশায় রিক্সা-বাই সাইকেল মিস্ত্রি পিতা আবুল বাশার । প্রতিপক্ষের দাবীকৃত টাকা না দিলে মামলায় জড়ানোর ও প্রাণ নাশের হুমকি আতংকগ্রস্থ হয়ে পড়েন তিনি। দোকান খুলতে গেলে তাকে বাঁধা দেয়া হয়। ফলে গত দুই মাস ধরে আবুল বাশার ও তার পরিবার পালিয়ে বেড়াচ্ছে।
মঙ্গলবার দুপুরে ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এসব বক্তব্য তুলে ধরে এর থেকে মুক্তি চেয়েছেন আবুল বাশার। এসময় তিনি বলেন, আমার ছেলে অপরাধ করেছে , তার উপযুক্ত শাস্তি হউক , পিতা হয়েও আমি তা চাই। কিন্তু মামলার আসামী না হয়েও মামলার বাদীর ভাসুর সাবেক ইউপি সদস্য সেকান্তর বেপারি, ও তার দুই ছেলে তাদের এই হয়রানি করছে।
আবুল বাশার লিখিত বক্তব্যে জানান, ‘গত ৩০ জুলাই পাশ্ববর্তী বাড়ির সেলিম মিয়ার মেয়ে জাহেদা আক্তার মিশুকে খুন করার অপরাধে তার ছেলে সুজন খান পুলিশের হাতে আটক হয়। এই ঘটনায় নিহত জাহেদা আক্তার মিশুর মা ছালেহা বেগম বাদী হয়ে ছেলে খুনি সুজন খান অপর এক ছেলে সোহেব খান ও নিহত মিশুর দুই দেবর ও এক বন্ধুকে আসামী করা হয়। ওই মামলায় আমাকে বা আমার স্ত্রী এবং মেয়েকে আসামী করা না হলেও এলাকার একটি কুচক্রি মহলের যোগসাজশে স্থানীয় প্রভাবশালী ও নিহত মিশুর চাচা সেকান্তর বেপারি ও তার দুই ছেলে কর্তৃক ঐ মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করবে বলে ভয়-ভীতি দেখাচ্ছে, দুই লক্ষ টাকা দাবী করে আসছে। দাবিকৃত টাকা না দেয়ায় প্রাণ নাশের অব্যাহত হুমকি দিচ্ছে, আমি বাড়িতে না থাকার সুবাদে আমার বসত ঘরে ঢুকে ভাংচুর ও লুটপাট করে ঘরের জিনিসপত্র নিয়ে গেছে। এসব দৃস্কৃতকারীদের এরূপ ভয়-ভীতি প্রদর্শন ও এহেন অপকর্মের ফলে দীর্ঘ দুই মাস যাবত আমি বাড়িঘর ছেড়ে আমার শ্বশুড় বাড়িতে অবস্থান করছি। ইতিপূর্বে আমার মেয়ের শশুড় বাড়িতে যেয়ে তাকে মারধর করেছে। ফলে আমরা আতংকে রয়েছি। একান্ত বাধ্য হয়ে ফরিদগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন মেয়ে রাবেয়া ’। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আবুল বাশারের মেয়ে রাবেয়া, স্ত্রী কুলছুমা , শশুড় আব্দুল খালেক, শ্যালক নজরুল ইসলাম প্রমুখ।