ফরিদগঞ্জ প্রতিনিধি:
ফরিদগঞ্জে শিশু বলাৎকারের শিকার হয়েছে। ১১ সেপ্টেম্বর বুধবার সকালে উপজেলার ৭নং পাইকপাড়া ইউনিয়নের ভোটাল গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। অভিযুক্ত দাউদ হায়দারকে আটক করেছে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ। ঘটনার শিকার শিশুকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য বুধবার দুপুরে চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
জানা যায়, গ্রামের একটি মক্তবে আরবি পড়ান দাউদ হায়দার (৩৫)। প্রতিদিন পড়া শেষে শিশুকে আদরের ছলে আটকে রাখতেন (৯)। শিশুর সঙ্গে অস্বাভাবিক আচরণ করতেন। ঘটনার দিন সকাল সাতটায় পূর্বের ন্যায় শিশুকে আটকে রাখেন। তাকে নিয়ে যান মক্তবের ভিতরে একটি কক্ষে। সেখানে শিশুর পরনের কাপড় খুলে বলাৎকার করেন। এ কথা কাউকে না বলার জন্য তিনি শিশুকে ধমকের সুরে বলেন। বাড়ি গিয়ে শিশুটি চুপচাপ থাকলেও তার অস্বাভাবিক আচরণ দেখে মা তাকে জিজ্ঞেস করেন। এতে শিশু ঘটনা খুলে বলে । এরপর তাকে চিকিৎসা করান মা। দুদিন পর ঘটনা জানাজানি হয়ে যায়। এতে এলাকায় ক্ষোভ বিক্ষোভের সৃষ্টি হয়। রহস্যজনক কারণে দ্বিধা বিভক্ত হয়ে পড়ে কিছু লোক। দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। এতে ঘটনা থানা পুলিশ পর্যন্ত গড়ায়। প্রাথমিক তদন্তে মূল ঘটনা বেরিয়ে আসে। এতে শিশুর মা বাদী হয়ে ফরিদগঞ্জ থানায় মামলা (নং ২০/৩৫৫, ধারা ৯/১, তারিখ: ১৭ই সেপ্টেম্বর) দায়ের করেন।
মামলা রুজু করে রাতেই পুলিশ অভিযুক্ত দাউদ হায়দারকে আটক করে। বুধবার সকালে কোর্টে প্রেরণ করলে বিজ্ঞ বিচারক তাকে চাঁদপুর উপকারাগারে প্রেরণ করেন। এদিকে, ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য শিশুকে চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। অভিযুক্ত দাউদ হায়দারের বাড়ি পাশ্ববর্তী রামগঞ্জ উপজেলার ডালটা গ্রামে। বলাৎকারের শিকার শিশুর বাবা প্রবাসে থাকেন। এলাকায় অসহায় পরিবারটির উপর নানাভাবে চাপ সৃষ্টি হচ্ছে বলে তার মা জানিয়েছেন।
ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রকিব বলাৎকারের অভিযোগে মামলা দায়ের ও দাউদ হায়দারকে কোর্টে প্রেরণের কথা স্বীকার করে জানান, শিশুর ডাক্তারি পরীক্ষার পর বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ২২ ধারায় জবানবন্দী গ্রহণের জন্য বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হবে।