কচুয়ায় ঘরে ঘরে সেবা পৌঁছে দিচ্ছেন ‘তথ্য কেন্দ্রের তথ্য আপা’

  • আপডেট: ০৫:৪০:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯
  • ২৫

সহজেই সেবা পাচ্ছেন উপকার ভোগীরা

কচুয়া প্রতিনিধি ॥
ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার, সরকারের নতুন সেবা ‘তথ্য কেন্দ্রা’। চাঁদপুরের কচুয়ায় ‘তথ্য আপা’ সেবাটি দিনদিন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে,বিশেষ করে ছাত্রী ও সুবিধা বঞ্চিত তৃনমূল পর্যায়ে নারীদের কাছে। তথ্য আপার সেবা হচ্ছে কৃষি,শিক্ষা,স্বাস্থ্য, আইন সহায়তা,জেন্ডার ও ব্যবসায় উন্নয়ন,নির্যাযিত নারীদের পাশে দাড়ানো,সুবিধা বঞ্চিত নারীদের চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করা।
ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে নারীদের ক্ষমতায়নের উদ্দেশ্যে ও এ প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে জাতীয় মহিলা সংস্থা। এ উপজেলায় গত পাঁচ মাসে অন্তত ২হাজারের ও বেশী নারী, তথ্য কেন্দ্রর তথ্য আপাদের কাছ থেকে বিভিন্ন সেবা নিয়েছেন।
জানা গেছে, সারাদেশে এ প্রকল্পের আওতায় ৪শ ৯০টি উপজেলায় তথ্য সেবা কেন্দ্র কার্যক্রম চালু করা হয়। এর আগে প্রথম ধাপে ১৩ উপজেলায় এ সেবাটি চালু করা হয়েছিল।
কচুয়ায় তথ্য সেবা অফিসে কর্মরত রয়েছেন, তথ্য সেবা কর্মকর্তা শারমিন সুলতানা, ২ জন তথ্য সেবা সহকারী নাদিয়া সুলতানা,আফরোজা আক্তার ও অফিস সহায়ক দেবদাস কুমার মন্ডল।
সরেজমিনে জানা যায়, তথ্য সেবা কেন্দ্র হতে গত কয়েক মাসে অন্তত ২০টি বাল্য বিবাহ বন্ধ,স্বামী ও দেবর কর্তৃক নারী নির্যাতন সমাধান,যৌতুক নিরোধ,বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মেয়েদের বিনামূল্যে কম্পিউটার প্রশিক্ষন ও প্রতিমাসে তৃনমূল পর্যায়ের নারীদের নিয়ে ২ টি করে উঠান বৈঠক করে তৃনমূল নারীদের সচেতন করছেন।
শিক্ষার্থী লিজা আক্তার ও হামিদা আক্তার জানান, শবে মাত্র এইচএসসি পরীক্ষা পাস করেছি,বিভিন্ন জায়গায় চাকরির চেষ্টা করছি। তথ্য কেন্দ্রে তথ্য আপার কাছে গিয়ে অনলাইনে বিনামূল্যে প্রতিষ্ঠানে আবেদন করেছি। পাশাপাশি কম্পিউটারের প্রশিক্ষন নিচ্ছি।
গুলবাহার এলাকায় দেবর কর্তৃক নির্যাযিত গৃহবধু খাদিজা বেগম বলেন সম্প্রতি আমি বড় ধরনের সমস্যায় পড়ে তথ্য আপার সহযোগিতায় বিনামূল্যে আইনী সহায়তা পেয়েছি। ইসলামপুর গ্রামের গৃহবধু বিপাশা আক্তার মাহমুদা বলেন, সম্প্রতি আমার বিয়ে হয়েছে। স্বামী খোজ খবর না নেয়ায় এবং আমার শারীরিক সমস্যার বিষয়ে তথ্য আপাকে জানিয়ে ছিলাম। তিনি তাৎক্ষনিক আমাকে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগের ব্যবস্থা করে দেন। আমি তখন ঘরে বসে চিকিৎসা সেবা পেয়েছি এবং স্বামীর সাথে সমস্যা সমাধান করেছেন। নিশ্চিন্তপুর গ্রামের রেহেনা আক্তার বলেন, গত দু’বছর যাবত ভোটার আইডিতে জটিলতা সংক্রান্ত বিষয়ে সিদ্ধান্তহীনতায় ভূগছিলাম। তথ্য কেন্দ্রের আপার কাছে গিয়ে তা সুন্দর ভাবে সমাধানের সহযোগিতা পেয়েছি। এছাড়া তথ্য কেন্দ্রের আপারা গ্রামে গ্রামে এসে ইন্টারনেট,স্বাস্থ্য,শিক্ষা,ব্যবসায়, জেন্ডার ও কৃষি বিষয়ক উঠান বৈঠকের মাধ্যমে মুক্ত আলোচনা করে থাকেন এবং তারা আমাদের বিভিন্ন তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেন।
উপজেলা তথ্য সেবা সহকারী নাদিয়া সুলতানা ও আফরোজা আক্তার বলেন, অফিসের পাশাপাশি বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে ডিজিটাল সেবা কী,কিভাবে সেবা পাওয়া যাবে এসব বিষয়ে আলোচনা করে থাকি। ফলে দিনে দিনে এই উপজেলায় তথ্য কেন্দ্রের তথ্য আপা জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। উপজেলা তথ্য সেবা কর্মকর্তা শারমিন সুলতানা বলেন,ভবিষ্যতে সেবার মান আরো বাড়ানো হবে। বর্তমানে এ কার্যালয়ে নারীদের সকল ধরনের সেবা বিনামূল্যে দেয়া হচ্ছে। সরকারের এমন মহতী উদ্যোগের কারনে সমাজে পিছিয়ে পড়া নির্যাযিত নারীরা এ সেবার মাধ্যমে নতুন করে স্বপ্ন দেখছে। তিনি উপজেলার সকল তৃনমূল পর্যায়ে নারীদের সমস্যা সমাধানে এ কার্যালয়ে সেবা নেয়ার জন্য অফিসে আসার অনুরোধ জানিয়েছেন।
জানা গেছে, উপজেলা তথ্য সেবা কর্মকর্তা শারমিন সুলতানা কচুয়ায় তথ্য সেবা কর্মকর্তা হিসেবে ২০১৮ সালের ২ ডিসেম্বর যোগদান করেন। তিনি এ কার্যালয়ে যোগদানের পর থেকে ল্যাপটপ ইন্টারনেটের মাধ্যমে সচেতনতামূলক সভা,সেমিনার,ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতামূলক সভা,নারীদের উদ্বুদ্ধুকরণ,সময় সাময়িক বিষয়ে বিভিন্ন সভা করে আসছেন। বিশেষ করে ভোটার আইডি হারানো, চিকিৎসা সেবা সহায়তা,শিক্ষিত ও যোগ্যতা সম্পন্ন মেয়েদের চাকরি ও কলেজ বিদ্যালয়ে ভর্তি সংক্রান্ত সহযোগিতা করছেন। এসময় পর্যন্ত তথ্য আপা ১২টি ইউনিয়নের মধ্যে ৪নং পালাখাল মডেল ইউনিয়ন, ৬নং কচুয়া উত্তর,কাদলা, ১০ নং গোহট উত্তর ও ১২নং আশ্রাফপুর ইউনিয়নে উঠান বৈঠক সম্পন্ন করেছেন। পাশাপাশি তিনি পালাখাল রোস্তম আলী ডিগ্রি কলেজ,নিন্দপুর এম.কে আলমগীর স্কুল এন্ড কলেজ, কচুয়া শহীদ স্মৃতি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, তেগুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়,রহিমানগর বিএবি উচ্চ বিদ্যালয়,ভূঁইয়ারা উচ্চ বিদ্যালয়,রহিমানগর হাজী চাঁদ মিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়,মাঝিগাছা এমএম উচ্চ বিদ্যালয়,নন্দনপুর ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয় গিয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে বিভিন্ন সচেতনতামূলক আলোচনা করেন। এর আগে কচুয়ার প্রাক্তন উপজেলা নির্বাহী অফিসার নীলিমা আফরোজ ৫ মে এ কার্যালয়টি উদ্বোধন করেন।
স্থানীয় উপকারভোগী লোকজন জানিয়েছেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে নারীদের তথ্য সেবা এগিয়ে নিতে সরকারের যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে সেটি সত্যিই প্রশংসার দাবি বলে তারা দাবি করেন। কিন্তু কচুয়ায় তথ্য সেবা কার্যালয়টি উপজেলা সদর থেকে দূরে হওয়ায় উপজেলা পরিষদের কাছাকাছি স্থাপনের জন্য জোরদাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
এর আগে সদ্য বিদায়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার নীলিমা আফরোজ ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রুমন দে এ কার্যালয়ে এসে বাস্তবে পরিদর্শন করেন কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের কার্যক্রম আরো এগিয়ে যাওয়ার দিক নিদের্শনা প্রদান করের এবং ভূয়সী প্রশংসা করেন। তাঁরা মনে করেন, নারীর ক্ষমতায়নের পাশাপাশি তৃনমূল পর্যায়ের নারীদের সম্পৃক্ত করে বঙ্গবন্ধুর ‘স্বপ্নের সোনার বাংলা গঠন এবং মানর্নীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মানে দূর্বার গতিতে কাজ করছে ‘কচুয়া তথ্য কেন্দ্রের তথ্য আপারা’ ।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

উপদেষ্টাদের যাচ্ছেতাই কর্মকাণ্ড মেনে নেয়া হবে না-রিজভী

কচুয়ায় ঘরে ঘরে সেবা পৌঁছে দিচ্ছেন ‘তথ্য কেন্দ্রের তথ্য আপা’

আপডেট: ০৫:৪০:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯

সহজেই সেবা পাচ্ছেন উপকার ভোগীরা

কচুয়া প্রতিনিধি ॥
ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার, সরকারের নতুন সেবা ‘তথ্য কেন্দ্রা’। চাঁদপুরের কচুয়ায় ‘তথ্য আপা’ সেবাটি দিনদিন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে,বিশেষ করে ছাত্রী ও সুবিধা বঞ্চিত তৃনমূল পর্যায়ে নারীদের কাছে। তথ্য আপার সেবা হচ্ছে কৃষি,শিক্ষা,স্বাস্থ্য, আইন সহায়তা,জেন্ডার ও ব্যবসায় উন্নয়ন,নির্যাযিত নারীদের পাশে দাড়ানো,সুবিধা বঞ্চিত নারীদের চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করা।
ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে নারীদের ক্ষমতায়নের উদ্দেশ্যে ও এ প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে জাতীয় মহিলা সংস্থা। এ উপজেলায় গত পাঁচ মাসে অন্তত ২হাজারের ও বেশী নারী, তথ্য কেন্দ্রর তথ্য আপাদের কাছ থেকে বিভিন্ন সেবা নিয়েছেন।
জানা গেছে, সারাদেশে এ প্রকল্পের আওতায় ৪শ ৯০টি উপজেলায় তথ্য সেবা কেন্দ্র কার্যক্রম চালু করা হয়। এর আগে প্রথম ধাপে ১৩ উপজেলায় এ সেবাটি চালু করা হয়েছিল।
কচুয়ায় তথ্য সেবা অফিসে কর্মরত রয়েছেন, তথ্য সেবা কর্মকর্তা শারমিন সুলতানা, ২ জন তথ্য সেবা সহকারী নাদিয়া সুলতানা,আফরোজা আক্তার ও অফিস সহায়ক দেবদাস কুমার মন্ডল।
সরেজমিনে জানা যায়, তথ্য সেবা কেন্দ্র হতে গত কয়েক মাসে অন্তত ২০টি বাল্য বিবাহ বন্ধ,স্বামী ও দেবর কর্তৃক নারী নির্যাতন সমাধান,যৌতুক নিরোধ,বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মেয়েদের বিনামূল্যে কম্পিউটার প্রশিক্ষন ও প্রতিমাসে তৃনমূল পর্যায়ের নারীদের নিয়ে ২ টি করে উঠান বৈঠক করে তৃনমূল নারীদের সচেতন করছেন।
শিক্ষার্থী লিজা আক্তার ও হামিদা আক্তার জানান, শবে মাত্র এইচএসসি পরীক্ষা পাস করেছি,বিভিন্ন জায়গায় চাকরির চেষ্টা করছি। তথ্য কেন্দ্রে তথ্য আপার কাছে গিয়ে অনলাইনে বিনামূল্যে প্রতিষ্ঠানে আবেদন করেছি। পাশাপাশি কম্পিউটারের প্রশিক্ষন নিচ্ছি।
গুলবাহার এলাকায় দেবর কর্তৃক নির্যাযিত গৃহবধু খাদিজা বেগম বলেন সম্প্রতি আমি বড় ধরনের সমস্যায় পড়ে তথ্য আপার সহযোগিতায় বিনামূল্যে আইনী সহায়তা পেয়েছি। ইসলামপুর গ্রামের গৃহবধু বিপাশা আক্তার মাহমুদা বলেন, সম্প্রতি আমার বিয়ে হয়েছে। স্বামী খোজ খবর না নেয়ায় এবং আমার শারীরিক সমস্যার বিষয়ে তথ্য আপাকে জানিয়ে ছিলাম। তিনি তাৎক্ষনিক আমাকে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগের ব্যবস্থা করে দেন। আমি তখন ঘরে বসে চিকিৎসা সেবা পেয়েছি এবং স্বামীর সাথে সমস্যা সমাধান করেছেন। নিশ্চিন্তপুর গ্রামের রেহেনা আক্তার বলেন, গত দু’বছর যাবত ভোটার আইডিতে জটিলতা সংক্রান্ত বিষয়ে সিদ্ধান্তহীনতায় ভূগছিলাম। তথ্য কেন্দ্রের আপার কাছে গিয়ে তা সুন্দর ভাবে সমাধানের সহযোগিতা পেয়েছি। এছাড়া তথ্য কেন্দ্রের আপারা গ্রামে গ্রামে এসে ইন্টারনেট,স্বাস্থ্য,শিক্ষা,ব্যবসায়, জেন্ডার ও কৃষি বিষয়ক উঠান বৈঠকের মাধ্যমে মুক্ত আলোচনা করে থাকেন এবং তারা আমাদের বিভিন্ন তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেন।
উপজেলা তথ্য সেবা সহকারী নাদিয়া সুলতানা ও আফরোজা আক্তার বলেন, অফিসের পাশাপাশি বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে ডিজিটাল সেবা কী,কিভাবে সেবা পাওয়া যাবে এসব বিষয়ে আলোচনা করে থাকি। ফলে দিনে দিনে এই উপজেলায় তথ্য কেন্দ্রের তথ্য আপা জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। উপজেলা তথ্য সেবা কর্মকর্তা শারমিন সুলতানা বলেন,ভবিষ্যতে সেবার মান আরো বাড়ানো হবে। বর্তমানে এ কার্যালয়ে নারীদের সকল ধরনের সেবা বিনামূল্যে দেয়া হচ্ছে। সরকারের এমন মহতী উদ্যোগের কারনে সমাজে পিছিয়ে পড়া নির্যাযিত নারীরা এ সেবার মাধ্যমে নতুন করে স্বপ্ন দেখছে। তিনি উপজেলার সকল তৃনমূল পর্যায়ে নারীদের সমস্যা সমাধানে এ কার্যালয়ে সেবা নেয়ার জন্য অফিসে আসার অনুরোধ জানিয়েছেন।
জানা গেছে, উপজেলা তথ্য সেবা কর্মকর্তা শারমিন সুলতানা কচুয়ায় তথ্য সেবা কর্মকর্তা হিসেবে ২০১৮ সালের ২ ডিসেম্বর যোগদান করেন। তিনি এ কার্যালয়ে যোগদানের পর থেকে ল্যাপটপ ইন্টারনেটের মাধ্যমে সচেতনতামূলক সভা,সেমিনার,ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতামূলক সভা,নারীদের উদ্বুদ্ধুকরণ,সময় সাময়িক বিষয়ে বিভিন্ন সভা করে আসছেন। বিশেষ করে ভোটার আইডি হারানো, চিকিৎসা সেবা সহায়তা,শিক্ষিত ও যোগ্যতা সম্পন্ন মেয়েদের চাকরি ও কলেজ বিদ্যালয়ে ভর্তি সংক্রান্ত সহযোগিতা করছেন। এসময় পর্যন্ত তথ্য আপা ১২টি ইউনিয়নের মধ্যে ৪নং পালাখাল মডেল ইউনিয়ন, ৬নং কচুয়া উত্তর,কাদলা, ১০ নং গোহট উত্তর ও ১২নং আশ্রাফপুর ইউনিয়নে উঠান বৈঠক সম্পন্ন করেছেন। পাশাপাশি তিনি পালাখাল রোস্তম আলী ডিগ্রি কলেজ,নিন্দপুর এম.কে আলমগীর স্কুল এন্ড কলেজ, কচুয়া শহীদ স্মৃতি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, তেগুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়,রহিমানগর বিএবি উচ্চ বিদ্যালয়,ভূঁইয়ারা উচ্চ বিদ্যালয়,রহিমানগর হাজী চাঁদ মিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়,মাঝিগাছা এমএম উচ্চ বিদ্যালয়,নন্দনপুর ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয় গিয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে বিভিন্ন সচেতনতামূলক আলোচনা করেন। এর আগে কচুয়ার প্রাক্তন উপজেলা নির্বাহী অফিসার নীলিমা আফরোজ ৫ মে এ কার্যালয়টি উদ্বোধন করেন।
স্থানীয় উপকারভোগী লোকজন জানিয়েছেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে নারীদের তথ্য সেবা এগিয়ে নিতে সরকারের যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে সেটি সত্যিই প্রশংসার দাবি বলে তারা দাবি করেন। কিন্তু কচুয়ায় তথ্য সেবা কার্যালয়টি উপজেলা সদর থেকে দূরে হওয়ায় উপজেলা পরিষদের কাছাকাছি স্থাপনের জন্য জোরদাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
এর আগে সদ্য বিদায়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার নীলিমা আফরোজ ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রুমন দে এ কার্যালয়ে এসে বাস্তবে পরিদর্শন করেন কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের কার্যক্রম আরো এগিয়ে যাওয়ার দিক নিদের্শনা প্রদান করের এবং ভূয়সী প্রশংসা করেন। তাঁরা মনে করেন, নারীর ক্ষমতায়নের পাশাপাশি তৃনমূল পর্যায়ের নারীদের সম্পৃক্ত করে বঙ্গবন্ধুর ‘স্বপ্নের সোনার বাংলা গঠন এবং মানর্নীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মানে দূর্বার গতিতে কাজ করছে ‘কচুয়া তথ্য কেন্দ্রের তথ্য আপারা’ ।