স্টাফ রিপোর্টার ॥
চাঁদপুর জেলাধীন ফরিদগঞ্জ উপজেলায় একটি ধর্ষণের ঘটনা দেখিয়ে থানায় ও আদালতে দুটি মামলা দায়ের করার ঘটনা ঘটেছে। ফরিদগঞ্জ ১১ নং পূর্ব চর দুঃখিয়া ইউনিয়নের আলোনিয়া গ্রামে মানসিক রোগী ১৫ বছরের কিশোরীকে যৌন নিপীড়নের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনা নিয়ে মা ফরিদগঞ্জ থানায় ২৩ আগস্ট একটি মামলা দায়ের করেন। একই ঘটনায় মেয়ের বাবা তথ্য গোপন করে আদালতে আরেকটি মামলা দায়ের করেন। এলাকার একটি কুচক্রীমহল মেয়ের বাবাকে লোভ দেখিয়ে ৩ জনকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করার ঘটনায় এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। বুধবার বিকেলে ঘটনা তদন্তে তদন্তকারী কর্মকর্তা ফরিদগঞ্জ থানার ওসি তদন্ত অহিদুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এ সময় মামলার এজাহারে উল্লিখিত ঘটনাস্থল ১১নং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বাছির আহমেদের বাড়ির পূর্ব পাশের বিটু পাটোয়ারীর নির্মাণাধীন বাড়ির সামনে বেশ কয়েকজন লোকের কাছ থেকে ঘটনা সম্পর্কে জানেন। গত ২০ই আগস্ট মঙ্গলবার সন্ধ্যায় স্থানীয়রা মানসিক রোগী কিশোরীকে উদ্ধার করে তার বাড়িতে নিয়ে যায়। ঘটনাটি পুলিশকে জানালে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মফিজুর রহমান ঢালীর ছেলে জসিম ঢালিকে থানায় নিয়ে আসে। এসময় কিশোরী ও তার মাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা জসিম ঢালি এর সাথে জড়িত নয় বলে পুলিশকে জানায়। পুলিশ জসিম ঢালীকে ৫৪ ধারায় আদালতে প্রেরণ করেন। মেয়ের মা অজ্ঞাত ৩/৪ জনকে আসামি করে ফরিদগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-২৮। তারিখ ২৩/২০১৯। এদিকে জসিম ঢালির প্রতিপক্ষরা মেয়ের বাবা কে প্রলোভন দিয়ে তথ্য গোপন করে একই ঘটনায় তিনজনকে আসামি করে আদালতে একটি মামলা দায়ের করলে আদালত মামলাটি ফরিদগঞ্জ থানায় রুজু করার জন্য নির্দেশ দেন। যার মামলা নং- ৩। তারিখ ১/৯/২০১৯। এদিকে ধর্ষণের ঘটনায় মামলা দায়ের করায় মানসিক কিশোরীকে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ফরিদগঞ্জ থানার তদন্ত ওসি অহিদুর রহমান তাকে মেডিকেল চেকআপ করার জন্য নিয়ে আসে। এসময় কিশোরী নিজে বলেন, কেউ তাকে ধর্ষণ করেনি উপস্থিত ডাক্তার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে জানায় এবং মেডিকেল চেকআপ করবে না বলে জানিয়ে দেয়। তার মা ও তদন্তকারী কর্মকর্তা উপস্থিতিতে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে আর এম ও ডাক্তার হাসিবুর রহমানকে একটি লিখিত দিয়ে আসে। একই ঘটনায় দুটি মামলা দায়ের হওয়ায় জসিম ঢালী মিথ্যা মামলার আসামি হয়ে কারাগারে রয়েছেন। এ বি য়ে স্থানীয় বেশ কয়েকজন জানান, মানসিক রোগী কিশোরীকে কেউ ধর্ষণ করে নি, ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি। এলাকার একটি কুচক্রী মহল একটি অপপ্রচার চালিয়ে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। ঘটনার পরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান ঘটনাস্থলে গিয়ে সবকিছু খোঁজ-খবর নেন মেয়ে ও তার মাকে থানায় নিয়ে এসে জিজ্ঞাসা করেন। মেয়ের মা পুলিশকে জানায়, যে তার মেয়েকে কে বা কারা শ্লীলতাহানীর চেষ্টা করেছে এই মর্মে থানায় অজ্ঞাত নামা আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন।
আরো পড়ুন :ফরিদগঞ্জে প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় ২ ধর্ষক আটক
এই ঘটনায় ১১ নং পূর্ব চর দুখিয়া ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ সুমন জানায়, মেয়েটি সবার সামনে বলেছেন জসিম ঢালি তাকে ধর্ষণ করেনি। কিন্তু একটি পক্ষ মেয়ের বাবাকে দিয়ে আদালতে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন। এই ঘটনাটি সঠিক তদন্ত করে আসল রহস্য উদঘাটন করার জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি জানাচ্ছি।
এই বিষয়ে ফরিদগঞ্জ থানার ওসি তদন্ত অহিদুর রহমান জানায়, একই ঘটনা নিয়ে থানায় ও আদালতে দু’টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মেয়েকে মেডিকেল চেকআপের জন্য হাসপাতালে নিয়ে গেলে সে মেডিকেল চেকআপ করবে না বলে লিখিত দে