মিয়ানমারের কাছে ‘নতি স্বীকার’ করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল

  • আপডেট: ১২:৪৬:৩৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ অগাস্ট ২০১৯
  • ৪১
অনলাইন ডেস্ক:

রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের কাছে সরকার ‘নতি স্বীকার’ করেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

আজ শনিবার বিকেলে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকের পর সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি এ অভিযোগ করেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আন্তর্জাতিক সমর্থন আদায়ে সরকার ব্যর্থ হয়েছে। যে কারণে রোহিঙ্গা শরণার্থী প্রত্যাবাসন শুরু করা যায়নি। রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব, তাদের নিরাপত্তা, নিজের সম্পত্তির মালিক হয়ে বাসভূমিতে ফিরে যাওয়া—এই বিষয়গুলো নিশ্চিত হয়নি বলেই আস্থার অভাবে রোহিঙ্গারা রাখাইনে যায়নি।

রোহিঙ্গা সমস্যার কীভাবে সমাধান হতে পারে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আমরা বলেছিলাম, এই সমস্যার সমাধানে প্রথমত সব দলের সঙ্গে সংলাপ করা। একটা জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি করার মধ্য দিয়ে ওখান থেকে বেরিয়ে আসতে আমাদের কী করতে হবে। প্রথমে দরকার ছিল সরকারপ্রধানের সেই সব রাষ্ট্র সফর করা, হেড অব দ্য স্টেটের সঙ্গে দেখা করা, যারা মিয়ানমারের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিল। সেটা সরকার করেনি। বরং মিয়ানমার যে ফর্মুলাগুলো দিচ্ছে, সেগুলো তারা নিচ্ছে। এখানে বোঝা যায় তারা বাংলাদেশের ইন্টারেস্টটা সেভাবে দেখতে ব্যর্থ হচ্ছে।’

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীসহ মন্ত্রীদের বক্তব্যকে ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক’ বলেও অভিযোগ করেন মির্জা ফখরুল।

স্থায়ী কমিটির ওই বৈঠকে  মহাসচিব ছাড়াও সদস্যদের মধ্যে খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ উপস্থিত ছিলেন।

 

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটি সদস্য মোতাহার হোসেন পাটোয়ারী’র সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ব্যাপক জনসমাগম

মিয়ানমারের কাছে ‘নতি স্বীকার’ করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল

আপডেট: ১২:৪৬:৩৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ অগাস্ট ২০১৯
অনলাইন ডেস্ক:

রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের কাছে সরকার ‘নতি স্বীকার’ করেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

আজ শনিবার বিকেলে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকের পর সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি এ অভিযোগ করেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আন্তর্জাতিক সমর্থন আদায়ে সরকার ব্যর্থ হয়েছে। যে কারণে রোহিঙ্গা শরণার্থী প্রত্যাবাসন শুরু করা যায়নি। রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব, তাদের নিরাপত্তা, নিজের সম্পত্তির মালিক হয়ে বাসভূমিতে ফিরে যাওয়া—এই বিষয়গুলো নিশ্চিত হয়নি বলেই আস্থার অভাবে রোহিঙ্গারা রাখাইনে যায়নি।

রোহিঙ্গা সমস্যার কীভাবে সমাধান হতে পারে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আমরা বলেছিলাম, এই সমস্যার সমাধানে প্রথমত সব দলের সঙ্গে সংলাপ করা। একটা জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি করার মধ্য দিয়ে ওখান থেকে বেরিয়ে আসতে আমাদের কী করতে হবে। প্রথমে দরকার ছিল সরকারপ্রধানের সেই সব রাষ্ট্র সফর করা, হেড অব দ্য স্টেটের সঙ্গে দেখা করা, যারা মিয়ানমারের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিল। সেটা সরকার করেনি। বরং মিয়ানমার যে ফর্মুলাগুলো দিচ্ছে, সেগুলো তারা নিচ্ছে। এখানে বোঝা যায় তারা বাংলাদেশের ইন্টারেস্টটা সেভাবে দেখতে ব্যর্থ হচ্ছে।’

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীসহ মন্ত্রীদের বক্তব্যকে ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক’ বলেও অভিযোগ করেন মির্জা ফখরুল।

স্থায়ী কমিটির ওই বৈঠকে  মহাসচিব ছাড়াও সদস্যদের মধ্যে খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ উপস্থিত ছিলেন।