প্রবীর চক্রবর্তী :
চাঁদপুর-৪ ফরিদগঞ্জ আসনের সংসদ সদস্য মুহম্মদ শফিকুর রহমান বলেছেন, আজ আমরা বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে বিশ্বের কাছে মাথা উঁচু করে দাড়াতে ও কথা বলতে পারছি এই দেশটি স্বাধীন হওয়ার কারণে । যিনি এই দেশের মানুষের মুক্তির কথা ভেবেছেন, নিজের সারাটা জীবন এমনকি ঘাতকের নির্মম বুলেটের আঘাতে পরিবারের ১৫ সদস্যসহ শাহাদাত বরণ করেছেন তিনি আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আমরা তাঁর আর্দশের অনুসারী হওয়ার কারণে আমাদর পথচলা থেকে শুরু করে প্রতিটি ক্ষেত্রে তাকে অনুসরণ করা উচিত। তিনি আপাদ মস্তকে একজন বাঙ্গালী ছিলেন বলেই পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠতম ভাষণগুলোর একটি দিতে পেরেছিলেন।
তিনি এই বাংলাদেশকে ক্ষুধা দারিদ্রমুক্ত ও অর্থনৈতিক ভাবে স্বাবলম্বী একটি জাতি হিসেবে দেখতে চেয়েছিলেন। জাতির পিতার সেই সোনার বাংলা তিনি জীবদ্দশায় দেখে যেতে না পারলেও তাঁর সুযোগ্য কন্যা প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা সে পথে আমাদের নিয়ে চলেছেন। তাই আমরা বলে পারি যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন জাতির পিতার নীতি ও আর্দশেই দেশ চলবে। আমাদের দায়িত্ব মাননীয় প্রধান মন্ত্রীকে এই কাজে সার্বিক সহযোগিতা করা। তিনি আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান দিয়েছেন। তাই আমাদের এবং আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের উচিত তাকে সহায়তা করা।
বৃহষ্পতিবার সকালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে একথা বলেন।
উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা(ভারপ্রাপ্ত) মমতা আফরিনের সভাপতিত্বে ও উপজেলা প্রকৌশলী ড. জিয়াউল ইসলাম মজুমদারের পরিচালনায় এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পৌর মেয়র মাহফুজুল হক, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জাহাংগীর আলম শিপন, থানা অফিসার ইনচার্জ মো: আবদুর রকিব, জেলা আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়খ সম্পাদক আবুল কাশেম , আওয়ামী লীগ নেতা আমির আজম রেজা, সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শহিদ উল্ল্যা তপদার, সাবেক ডেপুটি কমান্ডার সরোয়ার হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কুদ্দুছ, বঙ্গবন্ধু সমাজ কল্যান পরিষদের জেলা শাখার সম্পাদক কামরুল হাসান সউদ, আওয়ামী লীগ নেতা হেলাল উদ্দিন প্রমুখ। এর আগে উপজেলা পরিষদ থেকে শোক র্যালী বের হয়ে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে এসে শেষ হয়। পরে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলী নিবেদন করেন বিভিন্ন সংগঠন।