মো. মহিউদ্দিন আল আজাদ:
তরুণ প্রজন্মই জাতির জনকের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে দেশকে আরো এগিয়ে নেবে বলে মন্তব্য করেছেন মুক্তিযুদ্ধের ১নং সেক্টর কমান্ডার, নৌ পরিবহন মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও চাঁদপুর-৫ (হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি) আসনের সংসদ সদস্য মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম এমপি।
বৃহস্পতিবার বিকেলে হাজীগঞ্জ পৌর আওয়ামীলীগ কর্তৃক আয়োজিত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনাসভা, মিলাদ, দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পেছনে স্বাধীনতা বিরোধীদের বিশাল চক্রন্ত ছিল। এ চক্রান্তের প্রধান ছিল মোস্তাক ও বিরোধী দলের প্রধান।
তিনি বলেন, বিশে^ যতোগুলো রাজনৈতিক হত্যাকা- ঘটেছে, এমন নৃশংস হত্যাকা- কোন দেশে ঘটেনি। খুনীরা শুধু বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেনি, তার আট বছরের শিশুসহ পরিবারের নারী ও শিশুসহ সকল সদস্যকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছিল। বর্তমান শেখ হাসিনার নেতৃত্বে খুনীদের বিচার হয়েছে। কয়েকজনের ফাঁসির রায় কার্যকর হয়েছে। বাকী দণ্ডপ্রাপ্তদের খুঁজে বের করে সাজা প্রদান করা হবে।
তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালে জাতির জনককে হত্যার ২১টি বছর বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের জনগন নির্যাতিত, নিপিড়িত ছিল। অনেকে পাশবর্তী দেশে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে। এদেশ স্বাধীনতার শ্লোগান জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু বলা নিষিদ্ধ ছিল। ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় এসে জনগণের ভাগ্য পরিবর্তন করেন।
তিনি বলেন, বিএনপি কখনোই ক্ষমতার স্বাদ পাবেনা। বাংলার জনগণ তাদের সকল কাজ প্রত্যাখ্যান করছে এবং করবে। তারা যেখানে আছে, সেখান থেকে ক্ষমতার মসনদ দেখা স্বপ্ন বৈই কিছুই না।
তিনি হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তির উন্নয়ন নিয়ে বলেন, ১৯৯৬ সালে আমি যখন এমপি হয়, তখন এ দু’উপজেলায় মাত্র ৫ কিলোমিটার সড়ক পাকা ছিল। এখন সাড়ে ৩’শ কিলোমিটার সড়ক পাকা। ৫’শর মতো প্রাইমারী স্কুল, কলেজ, হাই স্কুল, মাদরাসা ভবন পাকা করা হয়েছে। যে ডাকাতিয়া নদীর উপর একটি সেতুও ছিলনা, এখন সেখানে ৮টি সেতু হয়েছে।
তিনি বলেন, হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি উপজেলা এখন শতভাগ বিদ্যুতায়িত এলাকা। বিদ্যুতের জন্য হা-হা-কার নেই। এ সবগুলোই সম্ভব হয়েছে জাতির জনকের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্ষমতায় থাকার কারণে।
অনুষ্ঠানের সভাপতি পৌর মেয়র ও পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি আ. স. ম মাহবুব-উল আলম লিপন সভাপতিত্বের বক্তব্যে বলেন, আমাদের মধ্যে দলা-দলি বন্ধ করতে হবে। এমন দলা-দলি হাজীগঞ্জে ইতিপূর্বে ছিলনা। হঠাৎ কেনো এতো দলা-দলি। দলকে ভালবাসতে হবে। দলের জন্য নিবেদিত হয়ে কাজ করতে হবে।
আমি মনে প্রাণে চাই এবং বিশ্বাস করি ‘মেজর রফিকই আমাদের নেতা, তিনিই আমাদের নেতৃত্বে দিবে, আমরা তার নেতৃত্বে এগিয়ে যাবো’। এর বাহিরে আমাদের আর কোন নেতা নেই বলে মন্তব্য করেন তিনি।
পৌর আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক, সাবেক বিপ্লবী ছাত্রনেতা আলহাজ¦ সৈয়দ আহমদ খসরু’র পরিচালনায় এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য আলহাজ¦ অধ্যাপক আবদুর রশিদ মজুমদার, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক গাজী মাইনুদ্দীন, জেলা আওয়ামীলীগের কোষাধ্যক্ষ রোটা. আহসান হাবিব অরুন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য ও সাবেক ভাই চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ মুন্সি, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক মুরাদ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মির্জা শিউলি পারভীন মিলি, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আনোয়ারুল হক হেলাল, হাজী সেলিম, যুগ্ম সম্পাদক আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান-২ হাজী জসিম, হাজীগঞ্জ ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ মাসদু আহমেদ, প্রফেসর স্বপন পাল, পৌর আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি হাজী কবির কাজী, কাজী মনিরুজ্জামান মিঠু, সাংগঠনিক সম্পাদক আহসান মৃধা, উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি গাজী বিল্লাল হোসেন, পৌর আওয়ামীলীগের মহিলা সভানেত্রী ফেরদৌস আকতার, পৌর যুবলীগের সাবেক সভাপতি সোহাগ আহমেদ মাইনু, উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক মাসুদ ইকবাল, যুগ্ম আহবায়ক জাকির হোসেন সোহেল, পৌর যুবলীগের আহবায়ক ও ব্যবসায়ী সমিতির সাধারন সম্পাদক হায়দার পারভেজ সুজন, যুগ্ম আহবায়ক তাজুল ইসলাম, জসিম উদ্দিন, রামপুর বাজার ব্যবসায়ী সমিতি সাধারন সম্পাদক এস এম মানিক, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এবায়েদুর রহমান খোকন বলি, সাধারন সম্পাদক আবু ইউছুফ গাজী মোহন প্রমূখ।
আলোচনা সভা শেষে মিলাদ মাহফিল ও দোয়া অনুষ্ঠানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানসহ ১৫ আগস্টে সকল শহীদদের জন্য বিশেষ দোয়া করা হয়।