অনলাইন ডেস্ক:
বিবাহিত মিশুকে স্বামীর ঘর ছেড়ে নতুন করে বিয়ের প্রস্তাবদেয় সুজন। এতেও মিশু আগের অবস্থানেই থাকে এবং তার বিয়ের প্রস্তাবে অস্বীকৃতি জানায়। এ কারণে ক্ষিপ্ত হয়ে মিশুকে দুনিয়া থেকে চিরতরে সরিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সুজন।
ফরিদগঞ্জে গৃহবধূ জাহেদা আক্তার মিশুকে একাই ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যার কথা স্বীকার করে বুধবার (৩১ জুলাই) বিকালে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন ঘাতক সুজন খান।
চাঁদপুরের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মো. কামালউদ্দিনের আদালতে এ জবানবন্দি দেন তিনি।
জবানবন্দিতে সুজন খান আরও জানায়, মিশুকে সে অনেক ভালোবাসত। কিন্তু অন্যত্র মিশুর বিয়ের পর তাকে পাত্তা না দেয়ায় তার মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
একপর্যায়ে বিবাহিত মিশুকে স্বামীর ঘর ছেড়ে নতুন করে তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। তার বিয়ের প্রস্তাবে অস্বীকৃতি জানায়। এ কারণে গত সোমবার ভোরে সুজন একাই মিশুদের বসতঘরে প্রবেশ করে।
এর পর তার কাছে থাকা ধারালো দা দিয়ে মিশুর মুখম-লসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। পরে স্বজনরা উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার পথে মিশু মারা যায়। মিশুর মৃত্যুর কথা জেনেও সুজন এলাকায় অবস্থান করে। আদালতে স্বীকারোক্তির পর বিচারকের নির্দেশে সুজনকে জেলহাজতে পাঠিয়ে দেয়া হয়।
এর আগে মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) বিকালে ঘাতক সুজন খানকে আটক করেছে পুলিশ। তারও আগে তার ভাই সোয়েব খান (২৩), তাদের বন্ধু আমজাদ হোসেনকে (২৪) আটক করা হয়।
ফরিদগঞ্জ থানার ওসি আবদুর রকিব জানান, বিকালে রূপসা উত্তর ইউনিয়নের নারিকেল তলার একটি বাগান থেকে পুলিশ তাকে আটক করে। আটকের পর থানা পুলিশের কাছে প্রাথমিক স্বীকারোক্তিতে সুজন মিশুকে হত্যার কথা স্বীকার করেন।
তিনি জানান, বিয়ের আগে মিশুর সঙ্গে তার প্রেম ছিল। একপর্যায়ে প্রেমের মধ্যে ফাঁটল ধরে। এরই মধ্যে মিশুর বিয়ে হয়ে যায়। পরে মিশু বাবার বাড়িতে ফিরে এলে তার সঙ্গে আবারও সম্পর্ক গড়ে তোলার চেষ্টা করে। কিন্তু সম্পর্ক গড়ে তুলতে ব্যর্থ হয়ে সে ধারালো অস্ত্র নিয়ে সোমবার ভোরবেলা মিশুর ঘরে গিয়ে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে তাকে কুপিয়ে হত্যা করে।