ত্রাণের টাকা তোলা নিয়ে দ্বন্দ্ব, শিক্ষার্থীকে কুপিয়ে হত্যা

ছবি-সংগৃহিত।

রাজধানীর পশ্চিম রামপুরার ওয়াবদা রোড এলাকায় বন্যার্তদের জন্য ত্রাণের টাকা তোলা নিয়ে দ্বন্দ্বে মো. হাফিজ (২১) নামে এক শিক্ষার্থীকে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন।

শনিবার (২৪ আগস্ট ) রাত ৮টা ৪০ মিনিটের দিকে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত হাফিজ সিদ্ধেশ্বরী কলেজ থেকে এ বছর এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন। তিনি পশ্চিম রামপুরার লুৎফুর রহমানের ছেলে।

নিহতের বন্ধু নাঈম বলেন, আমরা বানভাসি মানুষের সাহায্যের জন্য ত্রাণের টাকা তুলছিলাম। আমাদের গ্রুপটিতে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী রয়েছেন। রামপুরার উলন এলাকার আরেকটি গ্রুপ তারা আমাদের সাথে ত্রাণের জন্য টাকা তুলতে চায় এবং তাদের সঙ্গে নিয়ে ত্রাণ দেওয়ার জন্য বলে। আমাদের সিনিয়ররা তাদের জানায় আমাদের গ্রুপে অনেক লোকজন আছে আমরা আপনাদের গ্রুপে নিতে চাই না। এই নিয়ে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। পরে আজ সন্ধ্যার দিকে আমরা টাকা তুলছিলাম। এ সময় হাফিজ চায়ের দোকানে বসে ছিলেন। হঠাৎ করে ১৫ থেকে ২০ জন ধারালো অস্ত্র নিয়ে হাফিজকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে ফেলে চলে যায়। পরে আমরা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান হাফিজ আর বেঁচে নেই।

নিহতের বন্ধু নাঈম বলেন, আমরা বানভাসি মানুষের সাহায্যের জন্য ত্রাণের টাকা তুলছিলাম। আমাদের গ্রুপটিতে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী রয়েছেন। রামপুরার উলন এলাকার আরেকটি গ্রুপ তারা আমাদের সাথে ত্রাণের জন্য টাকা তুলতে চায় এবং তাদের সঙ্গে নিয়ে ত্রাণ দেওয়ার জন্য বলে। আমাদের সিনিয়ররা তাদের জানায় আমাদের গ্রুপে অনেক লোকজন আছে আমরা আপনাদের গ্রুপে নিতে চাই না। এই নিয়ে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। পরে আজ সন্ধ্যার দিকে আমরা টাকা তুলছিলাম। এ সময় হাফিজ চায়ের দোকানে বসে ছিলেন। হঠাৎ করে ১৫ থেকে ২০ জন ধারালো অস্ত্র নিয়ে হাফিজকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে ফেলে চলে যায়। পরে আমরা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান হাফিজ আর বেঁচে নেই।

তিনি আরও জানান, আজ রাতে আমাদের ত্রাণ নিয়ে নোয়াখালী ও ফেনী যাওয়ার কথা ছিল। এর মধ্যেই কী থেকে কী হয়ে গেল! আমি হামলাকারীদের চিনি কিন্তু নাম বলতে পারছি না, তারা উলন এলাকায় থাকে।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন, মরদেহটি হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। আমরা বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে জানিয়েছি।

সর্বাধিক পঠিত

কচুয়ায় আলমগীর হত্যার মামলা মূল আসামী গ্রেফতার

ত্রাণের টাকা তোলা নিয়ে দ্বন্দ্ব, শিক্ষার্থীকে কুপিয়ে হত্যা

আপডেট: ১০:৩১:৫৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৪

রাজধানীর পশ্চিম রামপুরার ওয়াবদা রোড এলাকায় বন্যার্তদের জন্য ত্রাণের টাকা তোলা নিয়ে দ্বন্দ্বে মো. হাফিজ (২১) নামে এক শিক্ষার্থীকে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন।

শনিবার (২৪ আগস্ট ) রাত ৮টা ৪০ মিনিটের দিকে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত হাফিজ সিদ্ধেশ্বরী কলেজ থেকে এ বছর এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন। তিনি পশ্চিম রামপুরার লুৎফুর রহমানের ছেলে।

নিহতের বন্ধু নাঈম বলেন, আমরা বানভাসি মানুষের সাহায্যের জন্য ত্রাণের টাকা তুলছিলাম। আমাদের গ্রুপটিতে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী রয়েছেন। রামপুরার উলন এলাকার আরেকটি গ্রুপ তারা আমাদের সাথে ত্রাণের জন্য টাকা তুলতে চায় এবং তাদের সঙ্গে নিয়ে ত্রাণ দেওয়ার জন্য বলে। আমাদের সিনিয়ররা তাদের জানায় আমাদের গ্রুপে অনেক লোকজন আছে আমরা আপনাদের গ্রুপে নিতে চাই না। এই নিয়ে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। পরে আজ সন্ধ্যার দিকে আমরা টাকা তুলছিলাম। এ সময় হাফিজ চায়ের দোকানে বসে ছিলেন। হঠাৎ করে ১৫ থেকে ২০ জন ধারালো অস্ত্র নিয়ে হাফিজকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে ফেলে চলে যায়। পরে আমরা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান হাফিজ আর বেঁচে নেই।

নিহতের বন্ধু নাঈম বলেন, আমরা বানভাসি মানুষের সাহায্যের জন্য ত্রাণের টাকা তুলছিলাম। আমাদের গ্রুপটিতে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী রয়েছেন। রামপুরার উলন এলাকার আরেকটি গ্রুপ তারা আমাদের সাথে ত্রাণের জন্য টাকা তুলতে চায় এবং তাদের সঙ্গে নিয়ে ত্রাণ দেওয়ার জন্য বলে। আমাদের সিনিয়ররা তাদের জানায় আমাদের গ্রুপে অনেক লোকজন আছে আমরা আপনাদের গ্রুপে নিতে চাই না। এই নিয়ে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। পরে আজ সন্ধ্যার দিকে আমরা টাকা তুলছিলাম। এ সময় হাফিজ চায়ের দোকানে বসে ছিলেন। হঠাৎ করে ১৫ থেকে ২০ জন ধারালো অস্ত্র নিয়ে হাফিজকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে ফেলে চলে যায়। পরে আমরা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান হাফিজ আর বেঁচে নেই।

তিনি আরও জানান, আজ রাতে আমাদের ত্রাণ নিয়ে নোয়াখালী ও ফেনী যাওয়ার কথা ছিল। এর মধ্যেই কী থেকে কী হয়ে গেল! আমি হামলাকারীদের চিনি কিন্তু নাম বলতে পারছি না, তারা উলন এলাকায় থাকে।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন, মরদেহটি হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। আমরা বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে জানিয়েছি।