অটোরিকশা-পিকআপ ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে গুরুতর আহত শিক্ষার্থীর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু

  • আপডেট: ০৮:০৮:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • ২৯

ছবি-নতুনেরকথা।

মামাতো বোনের সাথে দেখা করে আর বাড়ি ফেরা হয়নি রাশেদুল ইসলামের। পথেই সিএনজি চালিত অটোরিকশা-পিকআপ ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় প্রাণ গেলো তার।

বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে নিজ বাড়িতে নামাজে জানাযা শেষে চিরনিন্দ্রায় শায়িত হয় রাশেদ।

রাশেদুল ইসলাম ফরিদগঞ্জ উপজেলার ৫ নং গুপ্টি ইউনিয়নের শ্রীকালিয়া শফিক মৌ-লোভী বাড়ির খোরশেদ আলমের ছেলে। তিন ভাইয়ের মধ্যে রাশেদ ছিলো দ্বিতীয়। সে হাজীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী।

দুর্ঘটনায় অপর আহতরা হলেন-অটোরিকশা চালক মিনহাজ(২৬), যাত্রী ফরিদগঞ্জের দুলাল কর্মকারের ছেলে বিজয় কর্মকার(২০), আইয়ুব আলীর ছেলে শহীদুল ইসলাম (২৭)। এরা বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

এর আগে বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে হাজীগঞ্জ উপজেলার বেলচোঁ বাজার ও সেন্দ্রা গ্যাস পাম্প সংলগ্ন এলাকায় রামগঞ্জগামী একটি অটোরিকশা ও হাজীগঞ্জগামী একটি পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে অটোরিকশায় থাকা তিন যাত্রী ও চালক আহত হয়। পরে তাদের উদ্ধার করে হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে গেলে চিকিৎসক দুজনকে আশঙ্কাজনক বলে ধারণা করেন। পরে রাতেই মৃত্যু হয় রাশেদুল ইসলামের।

রাশেদের ফুফাতো ভাই জুয়েল পাটোয়ারী জানান, রাশেদ হাজীগঞ্জ উপজেলার বাকিলা ইউনিয়নে মামাতো বোনের বাড়িতে বেড়াতে যায়। সেখান থেকে ফিরার পথে বাড়ি থেকে এক কিলোমিটার দূরে অটোরিকশা পিক-আপ ভ্যানের সংঘর্ষে না ফেরার দেশে চলে গেছে। রাশেদ হাজীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের ডিগ্রি প্রথম বর্ষের বিবিএস শাখার শিক্ষার্থী ছিলো।

হাজীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মাসুদ আহমেদ রাশেদুল ইসলামের মৃত্যুতে কলেজ পরিচালনা পর্ষদ ও কলেজ শিক্ষক পরিষদের পক্ষ থেকে শোক প্রকাশ করেন।

হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুর রশিদ বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় ৪ জন গুরুতর আহত হন। বুধবার রাতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাশেদুল ইসলাম মারা যান। নিহতের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সিএনজি ও পিকআপ জব্দ করা হয়েছে।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

উপদেষ্টাদের যাচ্ছেতাই কর্মকাণ্ড মেনে নেয়া হবে না-রিজভী

অটোরিকশা-পিকআপ ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে গুরুতর আহত শিক্ষার্থীর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু

আপডেট: ০৮:০৮:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩

মামাতো বোনের সাথে দেখা করে আর বাড়ি ফেরা হয়নি রাশেদুল ইসলামের। পথেই সিএনজি চালিত অটোরিকশা-পিকআপ ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় প্রাণ গেলো তার।

বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে নিজ বাড়িতে নামাজে জানাযা শেষে চিরনিন্দ্রায় শায়িত হয় রাশেদ।

রাশেদুল ইসলাম ফরিদগঞ্জ উপজেলার ৫ নং গুপ্টি ইউনিয়নের শ্রীকালিয়া শফিক মৌ-লোভী বাড়ির খোরশেদ আলমের ছেলে। তিন ভাইয়ের মধ্যে রাশেদ ছিলো দ্বিতীয়। সে হাজীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী।

দুর্ঘটনায় অপর আহতরা হলেন-অটোরিকশা চালক মিনহাজ(২৬), যাত্রী ফরিদগঞ্জের দুলাল কর্মকারের ছেলে বিজয় কর্মকার(২০), আইয়ুব আলীর ছেলে শহীদুল ইসলাম (২৭)। এরা বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

এর আগে বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে হাজীগঞ্জ উপজেলার বেলচোঁ বাজার ও সেন্দ্রা গ্যাস পাম্প সংলগ্ন এলাকায় রামগঞ্জগামী একটি অটোরিকশা ও হাজীগঞ্জগামী একটি পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে অটোরিকশায় থাকা তিন যাত্রী ও চালক আহত হয়। পরে তাদের উদ্ধার করে হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে গেলে চিকিৎসক দুজনকে আশঙ্কাজনক বলে ধারণা করেন। পরে রাতেই মৃত্যু হয় রাশেদুল ইসলামের।

রাশেদের ফুফাতো ভাই জুয়েল পাটোয়ারী জানান, রাশেদ হাজীগঞ্জ উপজেলার বাকিলা ইউনিয়নে মামাতো বোনের বাড়িতে বেড়াতে যায়। সেখান থেকে ফিরার পথে বাড়ি থেকে এক কিলোমিটার দূরে অটোরিকশা পিক-আপ ভ্যানের সংঘর্ষে না ফেরার দেশে চলে গেছে। রাশেদ হাজীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের ডিগ্রি প্রথম বর্ষের বিবিএস শাখার শিক্ষার্থী ছিলো।

হাজীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মাসুদ আহমেদ রাশেদুল ইসলামের মৃত্যুতে কলেজ পরিচালনা পর্ষদ ও কলেজ শিক্ষক পরিষদের পক্ষ থেকে শোক প্রকাশ করেন।

হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুর রশিদ বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় ৪ জন গুরুতর আহত হন। বুধবার রাতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাশেদুল ইসলাম মারা যান। নিহতের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সিএনজি ও পিকআপ জব্দ করা হয়েছে।