‘শিক্ষার্থীদের পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে গড়তে পারলে সমাজ উপকৃত হবে’

  • আপডেট: ০৮:৫০:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৩
  • ১৪২

ছবি-নতুনেরকথা।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সমন্বয়ক (এসডিজি) মো. আখতার হোসেন বলেছেন, যে কোন উপায়ে শিক্ষার্থীদের গুনগত শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে। আমরা শিক্ষা গ্রহণ করি শুধু নিজের জন্য নয় বরং মানব কল্যাণে। শিক্ষার্থীদের পরিপূর্ণ বিকাশে কাজ করতে হবে। সময়ের পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে শিক্ষার্থীদের গড়ে তোলতে পারলে সমাজ উপকৃত হবে।

শনিবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের সম্মেলন কক্ষে চাঁদপুর মেডিকেল কলেজের শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের সাথে মতিবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, একজন ছাত্র যদি একজন ভালো মানের চিকিৎসক হয়ে বেরুতে পারে, তাহলে সে সমাজের জন্য অনেক গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। আমি মনে করি সে শিক্ষা গ্রহন করে, মানুষ এবং সমাজের জন্য কাজ করবে।

তিনি আরো বলেন, এই কলেজে এসে আপনাদের যে সমস্যার কথাগুলো শুননাম, এখানে না আসলে হয়তো তা বুঝা যেত না। শিক্ষক সংকট ও শিক্ষার্থীদের থাকার সমস্যা। বিশেষ করে মেয়েদের থাকার যে সমস্যাটি সেটি সমাধান করা দরকার। স্থানীয় প্রশাসন ও মহাপরিচালক একত্রিতভাবে চেষ্টা করলে এসব সমস্যা সমাধান সম্ভব।

মূখ্য সমন্বয়ক বলেন, এসডিজির মূল লক্ষ্য হলো কোন মানুষ পিছনে থাকবে না। যেটি আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিলো। বঙ্গবন্ধু জাতিসংঘে যে ভাষণ দিয়েছিলেন, সেখানেও কিন্তু তিনি এসব কথাগুলো বলেছিলেন।

তিনি বলেন, এসডিজি বাস্তবায়নে বাংলাদেশ ভালো করছে। এসডিজির ১৭ টি গোল। এসডিজির মূল কথাই হলো কেউ পিছয়ে থাকবে না। বাংলাদেশে ২০১৫ সালে এসডিজি গ্রহণ করা হয়। এসডিজি বাস্তবে প্রাথমিকভাবে ৪১টি টার্গেট পূরণ করতে হয়। সরকার বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়নের মধ্যে দিয়ে এসব টার্গেট পূরণ করে যাচ্ছে। জীবন মান উন্নয়নে যতগুলো সূচক রয়েছে, সবগুলো সূচকেই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। তারমানে সরকার কাজ করছে। এজন্য আমাদের প্রত্যেকে নিজ স্থান থেকে সক্রিয়ভাবে কাজ করতে হবে।

সভায় সভাপতিত্ব করেন কলেজ অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডাঃ মো. হারুন অর রশিদ। বক্তব্য দেন স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আজিজুর রহমান, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. টিটো মিঞা ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অতিরিক্ত সচিব (এসডিজি) মো. মনিরুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক (ডিসি) কামরুল হাসান, চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাপসাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. একেএম মাহবুবুর রহমান, সিভিল সার্জন ডাঃ মো. শাহাদাত হোসেন।

উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের উপসচিব মোহাম্মদ রুহুল কুদ্দুস, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের উপসচিব (এসডিজি) সোহেল আহম্মেদ, চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ডাঃ জে আর ওয়াদুদ টিপু, চাঁদপুর পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপপরিচালক ডাঃ মো. ইলিয়াছ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোছাম্মৎ রাশেদা আক্তার প্রমূখ।

সভায় শোকের মাস হিসেবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সকল শহীদদের রুহের মাহগফেরাত কামনায় দোয়া করা হয়।

পরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মূখ্য সমন্বয়ক (এসডিজি) মো. আখতার হোসেনসহ কর্মকর্তারা চাঁদপুর মেডিকেল কলেজ ও সরকারি জেনারেল হাসপাতাল পরিদর্শন করেন।

সভার সঞ্চলনায় ছিলেন চাঁদপুর মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক (সার্জারি) ডাঃ মো. হারুন-অর-রশিদ।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটি সদস্য মোতাহার হোসেন পাটোয়ারী’র সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ব্যাপক জনসমাগম

‘শিক্ষার্থীদের পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে গড়তে পারলে সমাজ উপকৃত হবে’

আপডেট: ০৮:৫০:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৩

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সমন্বয়ক (এসডিজি) মো. আখতার হোসেন বলেছেন, যে কোন উপায়ে শিক্ষার্থীদের গুনগত শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে। আমরা শিক্ষা গ্রহণ করি শুধু নিজের জন্য নয় বরং মানব কল্যাণে। শিক্ষার্থীদের পরিপূর্ণ বিকাশে কাজ করতে হবে। সময়ের পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে শিক্ষার্থীদের গড়ে তোলতে পারলে সমাজ উপকৃত হবে।

শনিবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের সম্মেলন কক্ষে চাঁদপুর মেডিকেল কলেজের শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের সাথে মতিবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, একজন ছাত্র যদি একজন ভালো মানের চিকিৎসক হয়ে বেরুতে পারে, তাহলে সে সমাজের জন্য অনেক গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। আমি মনে করি সে শিক্ষা গ্রহন করে, মানুষ এবং সমাজের জন্য কাজ করবে।

তিনি আরো বলেন, এই কলেজে এসে আপনাদের যে সমস্যার কথাগুলো শুননাম, এখানে না আসলে হয়তো তা বুঝা যেত না। শিক্ষক সংকট ও শিক্ষার্থীদের থাকার সমস্যা। বিশেষ করে মেয়েদের থাকার যে সমস্যাটি সেটি সমাধান করা দরকার। স্থানীয় প্রশাসন ও মহাপরিচালক একত্রিতভাবে চেষ্টা করলে এসব সমস্যা সমাধান সম্ভব।

মূখ্য সমন্বয়ক বলেন, এসডিজির মূল লক্ষ্য হলো কোন মানুষ পিছনে থাকবে না। যেটি আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিলো। বঙ্গবন্ধু জাতিসংঘে যে ভাষণ দিয়েছিলেন, সেখানেও কিন্তু তিনি এসব কথাগুলো বলেছিলেন।

তিনি বলেন, এসডিজি বাস্তবায়নে বাংলাদেশ ভালো করছে। এসডিজির ১৭ টি গোল। এসডিজির মূল কথাই হলো কেউ পিছয়ে থাকবে না। বাংলাদেশে ২০১৫ সালে এসডিজি গ্রহণ করা হয়। এসডিজি বাস্তবে প্রাথমিকভাবে ৪১টি টার্গেট পূরণ করতে হয়। সরকার বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়নের মধ্যে দিয়ে এসব টার্গেট পূরণ করে যাচ্ছে। জীবন মান উন্নয়নে যতগুলো সূচক রয়েছে, সবগুলো সূচকেই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। তারমানে সরকার কাজ করছে। এজন্য আমাদের প্রত্যেকে নিজ স্থান থেকে সক্রিয়ভাবে কাজ করতে হবে।

সভায় সভাপতিত্ব করেন কলেজ অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডাঃ মো. হারুন অর রশিদ। বক্তব্য দেন স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আজিজুর রহমান, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. টিটো মিঞা ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অতিরিক্ত সচিব (এসডিজি) মো. মনিরুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক (ডিসি) কামরুল হাসান, চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাপসাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. একেএম মাহবুবুর রহমান, সিভিল সার্জন ডাঃ মো. শাহাদাত হোসেন।

উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের উপসচিব মোহাম্মদ রুহুল কুদ্দুস, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের উপসচিব (এসডিজি) সোহেল আহম্মেদ, চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ডাঃ জে আর ওয়াদুদ টিপু, চাঁদপুর পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপপরিচালক ডাঃ মো. ইলিয়াছ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোছাম্মৎ রাশেদা আক্তার প্রমূখ।

সভায় শোকের মাস হিসেবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সকল শহীদদের রুহের মাহগফেরাত কামনায় দোয়া করা হয়।

পরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মূখ্য সমন্বয়ক (এসডিজি) মো. আখতার হোসেনসহ কর্মকর্তারা চাঁদপুর মেডিকেল কলেজ ও সরকারি জেনারেল হাসপাতাল পরিদর্শন করেন।

সভার সঞ্চলনায় ছিলেন চাঁদপুর মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক (সার্জারি) ডাঃ মো. হারুন-অর-রশিদ।