দুই প্রার্থীর হামলায় অপর কাউন্সিলের প্রার্থী ভাইসহ আহত

  • আপডেট: ০৭:৫০:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ জুলাই ২০২৩
  • ২৪

ছবি-নতুনেরকথা।

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ছেংগারচর পৌরসভা নির্বাচনে দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর হামলায় আহত হয়েছেন অপর কাউন্সিলর প্রার্থী সাইফুদ্দিন মিয়া সবুজ ও তার আপন ভাই রিপন মিয়া। এই ঘটনায় ভোটারদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং প্রায় ৩০ মিনিট ভোটগ্রহণ বন্ধ থাকে। এরপর পুলিশ কঠোর অবস্থান নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আইনে।

সোমবার (১৭ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ছেংগারচর সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় নারী ভোটার কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।

১নং ওয়ার্ড আহত কাউন্সিলর প্রার্থী সাইফুদ্দিন মিয়া জানান, এই ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী সাত জন। এরমধ্যে তার ভোটার সংখ্যা বেশি। অন্য প্রার্থীদের ভোটার সংখ্যা কম হওয়ায় তারা হামলার ঘটনা ঘটিয়ে ভোটার মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। ঢেঁড়স প্রতীকের কাউন্সিলর প্রার্থী মো. সোলায়মান ও টেবিল ল্যাম্প প্রতীকের কাউন্সিলর প্রার্থী সাইফুল ইসলামের সমর্থকদের হামলায় আমি নিজেও আমার ভাই রিপন মিয়া আহত হয়। বিকেল ৪টায় পুনরায় তারা আমাকে বেধম পিটিয়ে আহত করে। পরে আমি থানায় গিয়ে আশ্রয় নেই।

চাঁদপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) মোঃ মিলন মাহমুদ জানান, ছেংগারচর উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে কিছুটা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছিল। তবে পুলিশ তাৎক্ষণিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। যারা এই ঘটনায় সাথে জড়িত অথবা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আমাদের কাছে এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি।

কেন্দ্র পরিদর্শনে আসা চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক (ভিসি) কামরুল হাসান বলেন, ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ হয়। এই প্রথম ইভিএম এ ভোট হওয়ায় নারীদের ভোট দিতে কিছুটা বিলম্ব হয়। ভোটারদের ব্যাপক উপস্থিত ছিল। আমরা শেষ সময় পর্যন্ত ভোট গ্রহণ করেছি। কেন্দ্রে থাকা সকল ভোটার ভোট দিতে সক্ষম হয়েছে।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

‘ম্যানেজ করে’ এক সাথে দুই স্বামীর সংসার করছিলেন জান্নাতুল!

দুই প্রার্থীর হামলায় অপর কাউন্সিলের প্রার্থী ভাইসহ আহত

আপডেট: ০৭:৫০:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ জুলাই ২০২৩

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ছেংগারচর পৌরসভা নির্বাচনে দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর হামলায় আহত হয়েছেন অপর কাউন্সিলর প্রার্থী সাইফুদ্দিন মিয়া সবুজ ও তার আপন ভাই রিপন মিয়া। এই ঘটনায় ভোটারদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং প্রায় ৩০ মিনিট ভোটগ্রহণ বন্ধ থাকে। এরপর পুলিশ কঠোর অবস্থান নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আইনে।

সোমবার (১৭ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ছেংগারচর সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় নারী ভোটার কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।

১নং ওয়ার্ড আহত কাউন্সিলর প্রার্থী সাইফুদ্দিন মিয়া জানান, এই ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী সাত জন। এরমধ্যে তার ভোটার সংখ্যা বেশি। অন্য প্রার্থীদের ভোটার সংখ্যা কম হওয়ায় তারা হামলার ঘটনা ঘটিয়ে ভোটার মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। ঢেঁড়স প্রতীকের কাউন্সিলর প্রার্থী মো. সোলায়মান ও টেবিল ল্যাম্প প্রতীকের কাউন্সিলর প্রার্থী সাইফুল ইসলামের সমর্থকদের হামলায় আমি নিজেও আমার ভাই রিপন মিয়া আহত হয়। বিকেল ৪টায় পুনরায় তারা আমাকে বেধম পিটিয়ে আহত করে। পরে আমি থানায় গিয়ে আশ্রয় নেই।

চাঁদপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) মোঃ মিলন মাহমুদ জানান, ছেংগারচর উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে কিছুটা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছিল। তবে পুলিশ তাৎক্ষণিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। যারা এই ঘটনায় সাথে জড়িত অথবা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আমাদের কাছে এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি।

কেন্দ্র পরিদর্শনে আসা চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক (ভিসি) কামরুল হাসান বলেন, ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ হয়। এই প্রথম ইভিএম এ ভোট হওয়ায় নারীদের ভোট দিতে কিছুটা বিলম্ব হয়। ভোটারদের ব্যাপক উপস্থিত ছিল। আমরা শেষ সময় পর্যন্ত ভোট গ্রহণ করেছি। কেন্দ্রে থাকা সকল ভোটার ভোট দিতে সক্ষম হয়েছে।