• ঢাকা
  • সোমবার, ৬ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৩শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ২৩ অক্টোবর, ২০২২
সর্বশেষ আপডেট : ২৩ অক্টোবর, ২০২২

মাছ ও পেঁপের সাথে এ কেমন শত্রুতা!

অনলাইন ডেস্ক
[sharethis-inline-buttons]

হাজীগঞ্জে পুকুরে রাতের আধারে কে বা কারা বিষ ঢেলে কয়েক লাখ টাকার মাছ নিধন করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার দিবাগত রাতের কোন এক সময়ে উপজেলার হাজীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের সুদিয়া গ্রামের খাঁন বাড়ির মো. হারুন খাঁনের পুকুরে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

জানা গেছে, মো. হারুন খাঁন কুয়েত প্রবাসী। তিনি ছুটিতে দেশে এসে প্রায় ৫লাখ টাকা ব্যয় করে তার ১৫ গন্ডা (৯০ শতাংশ) ভুমির পুকুরটিতে মাছ চাষ শুরু করেন। তাঁর পুকুরটি স্ত্রী হাওয়া বেগমসহ মেয়েরা দেখাশুনা করেন। শনিবার সকালে তিনি ফজরের নামাজ শেষে প্রতিদিনের মতো পুকুরে গিয়ে দেখেন পুকুরের সব মাছ মরে ভেসে রয়েছে।

সে সময় তিন তার বাড়ি ও আশপাশের লোকজনকে ডেকে এনে বিষয়টি জানান এবং পরে হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ, স্থানীয় ইউপি সদস্য ও ইউপি চেয়ারম্যান ইউসুফ প্রধানীয়া সুমনকে অবহিত করেন। খবর পেয়ে হাজীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. নাজিম উদ্দীনসহ সঙ্গীয় ফোর্স ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

এ বিষয়ে মো. হারুন খাঁন ও তার স্ত্রী হাওয়া বেগম জানান, শনিবার সকালে পুকুরে গিয়ে দেখেন সব মাছ মরে ভেসে উঠেছে। শুক্রবার রাতের কোনো এক সময় কে বা কারা পুকুরে বিষ দিয়ে সব মাছ মেরে ফেলে। এতে তাদের ৭/৮ লাখ টাকার ক্ষতি হয়।

ক্ষতিগ্রস্ত মো. হারুন খাঁন বলেন, এর আগে গত সেপ্টেম্বর ও চলতি (অক্টোবর) মাসে কে বা কারা আমার খেরের পারায় (খড়ের গাদা) দুই বার এবং রান্নাঘরে একবার আগুন ধরিয়ে দেয়। এছাড়া আমার বাগানের ৭/৮টি ফলনসহ পেঁপে গাছ কেটে ফেলে এবং অন্যান্য গাছের পেঁপে ছুরি দিয়ে কেটে কয়েক মন পেঁপে নষ্ট করে দেয়।

আগুন ও পেঁপে গাছ কাটার ঘটনায় গত ১৭ অক্টোবর মো. হারুন খাঁনের স্ত্রী হাওয়া বেগম হাজীগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ (নং- ৩১১৪/২২) দিয়েছেন বলে জানান তাদের জামাতা শাহরিয়ার রাসেল।

তিনি বলেন, আমার শশুরের পরিবারের সাথে অন্য কোন লোকের সম্পত্তিগত বিরোধ নেই। তারপরও কে বা কারা এমন ক্ষতি করে যাচ্ছেন। এতে তার শশুরের পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে তিনি জানান।

এ বিষয়ে অভিযোগের তদন্ত কর্মকর্তা ও হাজীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. নাজিম উদ্দীনের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এসেছি। তারা একজনকে সন্দেহ করছেন বলে আমাকে জানিয়েছেন। তবে এখনো ওই ব্যক্তির নাম বলেন নি। নামটি জানতে পারলে তদন্তপুর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Sharing is caring!

[sharethis-inline-buttons]

আরও পড়ুন

error: Content is protected !!