হাড়ভাঙ্গা চিকিৎসালয় কাগজে বন্ধ, বাস্তবে চালু

  • আপডেট: ০৮:১৩:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ জুন ২০২২
  • ৩৭

মতলব উত্তর প্রতিনিধি :
নিবন্ধন না থাকার অভিযোগে সম্প্রতি চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ছেংগারচর বাজারের ব্র্যাক রোডে অবস্থিত হাড়ভাঙ্গা চিকিৎসালয় নামে অবৈধ ভাবে ক্লিনিক চলছে দীর্ঘদিন ধরে। গত ২৮ মে উপজেলা পর্যায়ে এ চিকিৎসালয়ের কোন বৈধ কাগজপত্র দেখাতে না পারায় বন্ধের (সীলগালা) ঘোষণা দেয় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. আসাদুজ্জামান জুয়েল।

গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ওই প্রতিষ্ঠানকে অবৈধও ঘোষণা করেন সিভিল সার্জন কার্যালয়। কিন্তু সরেজমিনে দেখা যায়, সিভিল সার্জনের তালিকায় বন্ধ উল্লেখ করা ‘হাড়ভাঙ্গা চিকিৎসালয়’ বাস্তবে চালু আছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ৬ জুন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার অনুমতি ব্যাতিত ক্ষমতার অপব্যবহার করে ‘হাড়ভাঙ্গা চিকিৎসালয়’ এর মালিক তালা ভেঙ্গে ফেলেন। অবৈধভাবে গড়ে উঠা হাড়ভাঙ্গা চিকিৎসালয় খোলে চিকিৎসা দেয়া শুরু করে।

ছেংগারচর বাজারের ব্র্যাক রোডে হেকিম মো. জয়নাল আবেদীন ও হেকিম মো. হাসানুজ্জামান পিতা-পুত্র টিনের ঘরে গড়ে তুলেন হাড়ভাঙ্গা চিকিৎসালয়।

হেকিম মো. জয়নাল আবেদীন নিজেকে হাড় ভাঙ্গা, হাড় জোড়া, বাত ব্যথা, কোমড় ব্যাথা রোগে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ও হেকিম মো. হাসানুজ্জামান ‘গভঃ রেজিষ্টার্ড চিকিৎসক’ উল্লেখ করে চিকিৎসাপত্র দিচ্ছে।

তবে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. আসাদুজ্জামান জুয়েল অভিযান পরিচালনার সময় হেকিম মো. হাসানুজ্জামান ইউনানী কলেজের অধ্যয়নরত বলে দাবি করলেও কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেনি।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. আসাদুজ্জামান জুয়েল দাবি করেন, যেসব ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে, সেগুলো বন্ধই আছে। তবে হাড়ভাঙ্গা চিকিৎসালয় ফাঁকি দিয়ে চালু রেখেছেন বলে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। আবার অভিযান চালানো হবে।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

চাঁদপুরে ৪’শ নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হল ম্যারাথন প্রতিযোগিতা

হাড়ভাঙ্গা চিকিৎসালয় কাগজে বন্ধ, বাস্তবে চালু

আপডেট: ০৮:১৩:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ জুন ২০২২

মতলব উত্তর প্রতিনিধি :
নিবন্ধন না থাকার অভিযোগে সম্প্রতি চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ছেংগারচর বাজারের ব্র্যাক রোডে অবস্থিত হাড়ভাঙ্গা চিকিৎসালয় নামে অবৈধ ভাবে ক্লিনিক চলছে দীর্ঘদিন ধরে। গত ২৮ মে উপজেলা পর্যায়ে এ চিকিৎসালয়ের কোন বৈধ কাগজপত্র দেখাতে না পারায় বন্ধের (সীলগালা) ঘোষণা দেয় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. আসাদুজ্জামান জুয়েল।

গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ওই প্রতিষ্ঠানকে অবৈধও ঘোষণা করেন সিভিল সার্জন কার্যালয়। কিন্তু সরেজমিনে দেখা যায়, সিভিল সার্জনের তালিকায় বন্ধ উল্লেখ করা ‘হাড়ভাঙ্গা চিকিৎসালয়’ বাস্তবে চালু আছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ৬ জুন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার অনুমতি ব্যাতিত ক্ষমতার অপব্যবহার করে ‘হাড়ভাঙ্গা চিকিৎসালয়’ এর মালিক তালা ভেঙ্গে ফেলেন। অবৈধভাবে গড়ে উঠা হাড়ভাঙ্গা চিকিৎসালয় খোলে চিকিৎসা দেয়া শুরু করে।

ছেংগারচর বাজারের ব্র্যাক রোডে হেকিম মো. জয়নাল আবেদীন ও হেকিম মো. হাসানুজ্জামান পিতা-পুত্র টিনের ঘরে গড়ে তুলেন হাড়ভাঙ্গা চিকিৎসালয়।

হেকিম মো. জয়নাল আবেদীন নিজেকে হাড় ভাঙ্গা, হাড় জোড়া, বাত ব্যথা, কোমড় ব্যাথা রোগে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ও হেকিম মো. হাসানুজ্জামান ‘গভঃ রেজিষ্টার্ড চিকিৎসক’ উল্লেখ করে চিকিৎসাপত্র দিচ্ছে।

তবে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. আসাদুজ্জামান জুয়েল অভিযান পরিচালনার সময় হেকিম মো. হাসানুজ্জামান ইউনানী কলেজের অধ্যয়নরত বলে দাবি করলেও কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেনি।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. আসাদুজ্জামান জুয়েল দাবি করেন, যেসব ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে, সেগুলো বন্ধই আছে। তবে হাড়ভাঙ্গা চিকিৎসালয় ফাঁকি দিয়ে চালু রেখেছেন বলে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। আবার অভিযান চালানো হবে।