পাবনায় ইফতারি খেয়ে ৯ বিচারকসহ ৩০জন অসুস্থ

  • আপডেট: ০২:১২:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ এপ্রিল ২০২২
  • ৪৩

অনলাইন ডেস্কঃ

পাবনায় একটি অভিজাত হোটেলের ইফতারি খেয়ে জেলার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ৯ বিচারকসহ অন্তত ৩০ জন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।

এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে শহরের রূপকথা সড়কের কাশমেরি ফুড গার্ডেনের সত্ত্বাধিকারী ও সরকারি এডওয়ার্ড কলেজছাত্র সংসদের সাবেক জিএস হাসানুর রহমান রনিসহ (৪৫) ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পরে রাতেই তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।

গ্রেফতার অন্যরা হলেন- কাশমেরি ফুড গার্ডেনের ব্যবস্থাপক সাব্বির হোসেন (৪৬) ও নাজমুস সাদাত মাসুদ (৪০)। এ ঘটনায় শহরে বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত বুধবার সন্ধ্যায় পাবনা চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের একজন বিচারকের বিদায় উপলক্ষে সংবর্ধনা ও ইফতারের আয়োজন করা হয়। ওই অনুষ্ঠানে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. শামসুজ্জামান, জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. হাসান আল আজাদ ও সহকারী জজ মো. তৌহিদুল ইসলামসহ ৯ বিচারক এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এই অনুষ্ঠানের জন্য কাশমেরি ফুড গার্ডেন থেকে আনা ইফতারি খাওয়ার পর বৃহস্পতিবার সকাল থেকে একে একে সবাই অসুস্থ হয়ে পড়েন। বৃহস্পতিবার রাতে তাদের মধ্যে ছয় জনকে পাবনার বেসরকারি শিমলা হাসপাতালে নেয়া হয় এবং সেখানে তারা চিকিৎসা নেন। অন্যরা নিজ নিজ বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছেন।

পাবনা থানার ওসি আমিনুল ইসলাম জানান, পাবনা জজকোর্ট কনফারেন্স রুমে এক ইফতার পার্টির আয়োজন করা হয়। এতে পাবনা শহরের রূপকথা সড়কের কাশমেরি ফুড গার্ডেনে অর্ডার দিয়ে ৭০ প্যাকেট ইফতার সামগ্রী ও বিরিয়ানি প্যাকেট আনা হয়। পরে ওই খাবার খেয়ে কমপক্ষে ৩০ জন অসুস্থ হন। পরীক্ষা করে দেখা যায়, খাবারগুলো খাওয়ার অনুপযুক্ত এবং দুর্গন্ধযুক্ত ও তৈলাক্ত।

পাবনার অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (এসিজেএম) মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, আমি ও আমার স্ত্রী ইফতারের খাবার খেয়ে চরম অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিই। পরে আমি বাদী হয়ে পাবনা সদর থানায় নিরাপদ খাদ্য আইন ২০১৩-এর ৩৩ ধারায় মামলা করি। একইসঙ্গে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করি।

পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম ও প্রশাসন) মাসুদ আলম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে নিরাপদ খাদ্য আইনে মামলা হলে রাতেই তাদেরকে গ্রেফতার করে কারাগারের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

Tag :

সম্পাদক ও প্রকাশক:
মোঃ মহিউদ্দিন আল আজাদ

মোবাইল : ০১৭১৭-৯৯২০০৯ (নিউজ) বিজ্ঞাপন : ০১৬৭০-৯০৭৩৬৮
ইমেইলঃ notunerkotha@gmail.com

দেশে HMPV ভাইরাসে আক্রান্ত নারীর মৃত্যু, বাড়ছে আতঙ্ক

পাবনায় ইফতারি খেয়ে ৯ বিচারকসহ ৩০জন অসুস্থ

আপডেট: ০২:১২:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ এপ্রিল ২০২২

অনলাইন ডেস্কঃ

পাবনায় একটি অভিজাত হোটেলের ইফতারি খেয়ে জেলার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ৯ বিচারকসহ অন্তত ৩০ জন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।

এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে শহরের রূপকথা সড়কের কাশমেরি ফুড গার্ডেনের সত্ত্বাধিকারী ও সরকারি এডওয়ার্ড কলেজছাত্র সংসদের সাবেক জিএস হাসানুর রহমান রনিসহ (৪৫) ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পরে রাতেই তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।

গ্রেফতার অন্যরা হলেন- কাশমেরি ফুড গার্ডেনের ব্যবস্থাপক সাব্বির হোসেন (৪৬) ও নাজমুস সাদাত মাসুদ (৪০)। এ ঘটনায় শহরে বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত বুধবার সন্ধ্যায় পাবনা চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের একজন বিচারকের বিদায় উপলক্ষে সংবর্ধনা ও ইফতারের আয়োজন করা হয়। ওই অনুষ্ঠানে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. শামসুজ্জামান, জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. হাসান আল আজাদ ও সহকারী জজ মো. তৌহিদুল ইসলামসহ ৯ বিচারক এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এই অনুষ্ঠানের জন্য কাশমেরি ফুড গার্ডেন থেকে আনা ইফতারি খাওয়ার পর বৃহস্পতিবার সকাল থেকে একে একে সবাই অসুস্থ হয়ে পড়েন। বৃহস্পতিবার রাতে তাদের মধ্যে ছয় জনকে পাবনার বেসরকারি শিমলা হাসপাতালে নেয়া হয় এবং সেখানে তারা চিকিৎসা নেন। অন্যরা নিজ নিজ বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছেন।

পাবনা থানার ওসি আমিনুল ইসলাম জানান, পাবনা জজকোর্ট কনফারেন্স রুমে এক ইফতার পার্টির আয়োজন করা হয়। এতে পাবনা শহরের রূপকথা সড়কের কাশমেরি ফুড গার্ডেনে অর্ডার দিয়ে ৭০ প্যাকেট ইফতার সামগ্রী ও বিরিয়ানি প্যাকেট আনা হয়। পরে ওই খাবার খেয়ে কমপক্ষে ৩০ জন অসুস্থ হন। পরীক্ষা করে দেখা যায়, খাবারগুলো খাওয়ার অনুপযুক্ত এবং দুর্গন্ধযুক্ত ও তৈলাক্ত।

পাবনার অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (এসিজেএম) মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, আমি ও আমার স্ত্রী ইফতারের খাবার খেয়ে চরম অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিই। পরে আমি বাদী হয়ে পাবনা সদর থানায় নিরাপদ খাদ্য আইন ২০১৩-এর ৩৩ ধারায় মামলা করি। একইসঙ্গে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করি।

পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম ও প্রশাসন) মাসুদ আলম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে নিরাপদ খাদ্য আইনে মামলা হলে রাতেই তাদেরকে গ্রেফতার করে কারাগারের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।