ফরিদগঞ্জ প্রতিনিধি :
‘মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য।’ বিখ্যাত এই গানের কথাটি বাস্তবায়নের সুযোগ এখন আপনার খুব কাছে। আপনার সামান্য সহযোগিতায় বেঁচে যেতে পারে দু’টি প্রাণ। “আসুন, সাধ্যমতো সহযোগিতার হাত বাড়াই/ চিকিৎসা করিয়ে দুরারোগ্য ব্যাধি সারাই।”
চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের রুহুল আমিনের ছেলে মো.রবিউল এবং ১৫নং রূপসার গাব্দেরগাঁও গ্রামের মো.শাহাদাতের ১৮ মাসের শিশু পুত্র নূরে আলমের জন্য সবার দ্বারে দ্বারে যাচ্ছে ফরিদগঞ্জ লেখক ফোরামের টিম। তাদের চিকিৎসাভার গ্রহণ করে সংগঠন ‘নূরে আলম ও রবিউল চিকিৎসা তহবিল’ খুলেছে। তহবিলকে সমৃদ্ধ করে তাদের দু’জনের চিকিৎসাকে সহজতর করার জন্য সকলকে আহ্বান করেছেন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। ফান্ড গঠনে বাজারে বাজারে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে, মসজিদে এবং বিত্তবানদের কাছে ছুটে যাচ্ছেন টিম লেখক ফোরাম।
দুরারোগ্য ও বিরল রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির পরিবারের মানবিক আবেদনের প্রেক্ষিতে চিকিৎসার জন্য সহযোগিতা ফান্ড গঠন করে সংগঠন। সংগঠনে নেতৃবৃন্দ আপনাদের মানবিক সাড়া চায়। প্রত্যেকের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা বাঁচাতে পারে নূরে আলম ও রবিউল হাসানের জীবন।
মো. নূরে আলম। বয়স প্রায় ১৮ মাস। ‘পেনিস ডিসঅর্ডার’ জনিত বিরল রোগে ভুগছে। তার লিঙ্গের মধ্যে প্রস্রাবের রাস্তার অগ্রভাগ অংশের ছিদ্র পুরোপুরি ব্লক হয়ে আছে। প্রস্রাবের রাস্তার বদলে শিশুটির পেনিসের নিচে সুঁইয়ের মাথার মতো চিকন একটা ছিদ্র রয়েছে। সেখান দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা প্রস্রাব ঝরে। সে সময় শিশুটি প্রচণ্ড যন্ত্রণায় ভোগে এবং চিৎকার করে কাঁদতে থাকে। শিশুটির বাবা অটোরিকশা চালক। ৬ সদস্যের সংসার চলে খুবই কষ্টে ও অভাবে। হাসিখুশি এই শিশুটি স্বাভাবিকভাবে বাঁচতে চায়।
মো. রবিউল হাসান। বয়স- ১৭ বছর। পিতা- মো. রুহুল আমিন। গ্রাম- পশ্চিম বড়ালী (সরকার বাড়ি), পৌরসভা, ফরিদগঞ্জ, চাঁদপুর। রোগের ধরন- মেরুদণ্ডের হাড়ে ক্যান্সার। বর্তমানে ঢাকা ক্যান্সার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। রবিউলের পিতা একজন অটোভ্যান চালক। দুরারোগ্য ব্যাধি ক্যান্সার থেকে বাঁচতে তার পরিপূর্ণ চিকিৎসার প্রয়োজন। আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল পরিবারটি তার পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসাভার গ্রহণ করতে ব্যর্থ হচ্ছে।
শিশু নূরে আলম ও কিশোর রবিউলের পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসা করানোর লক্ষ্যে সমাজের ধনাঢ্য এবং সাধ্য অনুযায়ী সবার আর্থিক অনুদান প্রত্যাশা করছে। আর্থিক সহায়তা পাঠাতে পারেন নিচের বিকাশ এবং নগদ নাম্বার গুলোতে- ০১৬৭৩-৫৩৮৯৬৩ (নগদ), ০১৭৩১-৬৫১৩৪৫ (বিকাশ ও নগদ) ও ০১৬৩৭-১০৪১১৭ (বিকাশ)।