অনলাইন ডেস্ক:
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বাংলাদেশ দিন দিন অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত হচ্ছে। এখন পরিস্থিতি দেখে মনে হয় দেশে কোনো সরকারই নেই।
তিনি বলেন, ক্ষমতা জোর করে বেশি দিন ধরে রাখা যায় না, জোর জবরদস্তির পরিণতি বড় করুণ ও ভয়ঙ্কর, তাই ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিন।
মঙ্গলবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, দেশে আইনশৃঙ্খলার ভয়াবহ অবনতি হয়েছে। গতকাল কুমিল্লা আদালতে বিচারকের খাস কামরায় নজিরবিহীন নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। আদালতের বিচারক, কর্মকর্তা, পুলিশ, আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের সামনে একজন আসামি আরেক আসামিকে কুপিয়ে হত্যা করেছে।
বিএনপির এ নেতা আরও বলেন, ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তৃতীয় আদালতের বিচারক বেগম ফাতেমা ফেরদৌস সাংবাদিকদের বলেন, ‘এই হত্যার শিকার আমিও হতাম কিংবা এটির শিকার আমার কোনো সহযোগী বা কোনো আইনজীবীও হতে পারতেন। আমাদের নিরাপত্তা কোথায়? আমাদের আসলে কোনো নিরাপত্তাই নেই।’
রিজভী বলেন, সন্ত্রাস উইপোকার মতো রাষ্ট্র-সমাজকে ভেতর থেকে খেয়ে ফেলছে। দেশে কী ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি হলে একজন বিচারক এজলাসে তার নিজের নিরাপত্তা নিয়ে এমন আতঙ্কবোধ করেন।
তিনি বলেন, সন্ত্রাসের নিরবচ্ছিন্নতা ও প্রসারে দেশজুড়ে জনগণের মধ্যে নীরব আতঙ্ক বিরাজ করছে। দেশজুড়ে কেবল গুম, খুন, ধর্ষণ, হামলা-মামলা, নারী-শিশুদের ওপর পাশবিক নির্যাতন, প্রকাশ্য দিবালোকে কুপিয়ে হত্যা, আগুনে পুড়িয়ে লোমহর্ষক কায়দায় হত্যাসহ দেশ ভরে উঠেছে অনাচার-অবিচারের মহামারীতে।
‘আর অবৈধ সরকার ব্যস্ত ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখতে। প্রশাসন, বিচার ও আইনিব্যবস্থায় গণবিরোধী প্রতারণামূলক নীতি কার্যকর আছে বলেই এসব সরকারি যন্ত্র ক্ষমতাসীনদের পক্ষে কাজ করে আসছে।’
রিজভী বলেন, এ যন্ত্রই ২৯ ডিসেম্বর মধ্যরাতে ভোটবাক্স ভর্তিতে সহযোগিতা করে এবং জনগণকে ভোটকেন্দ্রের ত্রিসীমানায় ঢুকতে না দিয়ে অবৈধভাবে গদি দখলে সরকারকে সহযোগিতা করে কৃপাধন্য হয়েছে। ফলে তারা আর সরকারের আদেশ নির্দেশ তোয়াক্কা করছে না।