অনলাইন ডেস্ক:
ঈদুল ফিতরে ট্রেনে চড়ে বাড়ি ফিরতে আগ্রহীরা অগ্রিম টিকিট কিনতে রাজধানীর কমলাপুর রেল স্টেশনে ভিড় করেছেন। সেই সঙ্গে অন্যান্য টিকিট বিক্রির স্থানেও ভিড় জমে উঠেছে। একজন যাত্রী চারটি টিকিট সংগ্রহ করতে পারছেন। কালোবাজারি এড়াতে জাতীয় পরিচয়পত্র দেখিয়ে টিকিট সংগ্রহ করতে হচ্ছে।
আজ শুক্রবার সকাল থেকে কমলাপুরে টিকিট প্রত্যাশীদের জনস্রোত সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই রাত থেকে এখানে ভিড় করেছেন টিকিট কিনতে।
আজ শুক্রবার দেয়া হচ্ছে ২ জুনের অগ্রিম টিকিট। আগামীকাল ২৫ মে ৩ জুনের এবং ২৬ মে ৪ জুনের টিকিট দেয়া হবে। এছাড়া ফিরতি টিকিট বিক্রি শুরু হবে ২৯ মে যা চলবে ২ জুন পর্যন্ত।
এদিকে অ্যাপের মাধ্যমেও রেলের অর্ধেক টিকিট বিক্রি হওয়ার কথা। তবে অ্যাপে টিকিট পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ ব্যবহারকারীদের। লাইনে দাঁড়িয়েও অ্যাপের মাধ্যমে রংপুর এক্সপ্রেসের টিকিট কাটার চেষ্টা করছিলেন অনেকে।
অনেকে বলেন, রেলসেবা অ্যাপে টিকিট সংগ্রহের চেষ্টা করে না পেয়ে আজ ভোরে বাধ্য হয়ে লাইনে দাঁড়িয়েছেন। লাইনে দাঁড়িয়েও অ্যাপে চেষ্টা চলছে টিকিট কাটার।
রেল ভবন সূত্রে জানা গেছে, অনলাইনে ঈদের সময় একসঙ্গে প্রায় দেড় লাখ হিট পড়ে। তবে সিএনএসবিডির যে সক্ষমতা তাতে মাত্র ২০ হাজার লোড নিতে পারে। সে কারণে সাধারণ মানুষের অ্যাপের মাধ্যমে টিকিট পেতে ভোগান্তি হচ্ছে। অনলাইনে ৫০ শতাংশ টিকিট বিক্রি না হলে অবিক্রিত টিকিট কাউন্টার থেকে দেয়া হবে।
এবার ৫০ ভাগ টিকিট অনলাইনে তিন পদ্ধতিতে দেয়া হচ্ছে। প্রথমত মোবাইল এসএমএসে, দ্বিতীয়ত ওয়েবসাইট এবং তৃতীয়ত রেলের টিকিট কাটার সর্বশেষ ফিচার অ্যাপ। সব মিলিয়ে মোট টিকিটের ৫০ ভাগ এ তিন পদ্ধতিতে দেয়া হচ্ছে। ঢাকা থেকে সবগুলো আন্ত:নগর ট্রেন মিলিয়ে দিনে প্রায় ৩০ হাজার ট্রেনের টিকিট রয়েছে। এর মধ্যে পাঁচ ভাগ রেল কমকর্তা কর্মচারী ও পাঁচ ভাগ ভিআইপি ছাড়া বাকি সব টিকিটের ৫০ শতাংশ অনলাইনে পাওয়ার কথা।
কোথা থেকে কোন টিকিট?
যাত্রীর সুবিধার্থে এবার পাঁচটি স্থান থেকে রেলের অগ্রিম টিকিট দেয়া হচ্ছে। যমুনা সেতু দিয়ে সমগ্র পশ্চিমাঞ্চলগামী ট্রেনের টিকিট পাওয়া যাচ্ছে কমলাপুরে। এছাড়া চট্টগ্রাম ও নোয়াখালীগামী ট্রেনের টিকিট পাওয়া যাচ্ছে বিমানবন্দর স্টেশনে। ময়মনসিংহ ও জামালপুরগামী ট্রেনের টিকিট তেজগাঁও স্টেশন, নেত্রকোনাগামী মোহনগঞ্জ ও হাওড় এক্সপ্রেসের টিকিট বনানী স্টেশন থেকে দেয়া হচ্ছে। এছাড়া সিলেট ও কিশোরগঞ্জগামী সব আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট ফুলবাড়িয়া (পুরান রেলভবন) থেকে পাওয়া যাচ্ছে।