নিজস্ব প্রতিনিধি॥
চাঁদপুরের মেঘনা নদীর মোহনা এলাকায় যাত্রীবাহী লঞ্চ এমভি ময়ূর-২ এর ধাক্কায় ভারত থেকে আসা সিমেন্ট তৈরীর কাঁচামাল বোঝাই এমভি শাওন-১ জাহাজ ডুবে যাওয়ার ১২দিন অতিবাহিত হলেও জাহাজটি ক্লিংকার উদ্বারে তেমন কোন তৎপরতা দেখা যায়নি।
খবর নিয়ে জানা যায়, ক্লিংকার বহনকারী জাহাজটি গত ৩মাস পূর্বে চলাচলের রুটিপূর্ন ও অযোগ্য ঘোষনা করার পর ও জাহাজ মালিক জাহাজটি মালামাল পরিবহন করে যাচিছল। জাহাজটি মেরামতের জন্য না পাঠিয়ে মালিক পক্ষ থেকে ভারতে জাহাজটি পাঠায় ক্লিংকার পরিবহনের জন্য। যার ফলে জাহাজটি ক্লিংকার নিয়ে চাঁদপুর আসলে জাহাজটিতে রুটি জনিত কারনে যাত্রীবাহী লঞ্চ এমভি ময়ূর-২ এর ধাক্কা লেগে ফুটো হয়ে যায় ও দূর্ঘটনার শিকার হয়।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জাহাজের মাস্টার মো: শহিদুল ইসলাম ও নৌ-পুলিশের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র। বর্তমানে জাহাটির অনুকুলে ইনসুরেন্স কোম্পানির ইনসুরেন্স থাকার কারনে ব্যাপক তদন্ত কার্যক্রম ও ইনসুরেন্স কোম্পানীর পক্ষ থেকে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ চাঁদপুরে ঘটনাস্থলে এসে পরিদর্শনের অপেক্ষার জন্য ক্লিংকারসহ ডুবে যাওয়া জাহাজটি দূর্ঘটনাস্থল থেকে উদ্বার না করে ঘটনাস্থলে এখন ও রাখা হয়েছে। ক্লিংকারসহ জাহাজটি ডুবে থাকায় সেখানে পুলিশ সার্বক্ষনিক পাহাড়ার ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা করে যাচেছ। একটি সূত্রে জানা গেছে,পুলিশ দিন-রাত ক্লিংকার বোঝাই জাহাজটি পাহাড়ার ব্যবস্থা গ্রহন করলে ও দিনে তেমন পাহাড়া না থাকায় স্থানীয় একটি নদীর চোরাচালানি চক্র স্থনীয় যুবকদের দিয়ে পানির নীচে থাকা জাহাজ থেকে ক্লিংকার কেটে বস্তাভর্তি করে লুটপাট করে নিয়ে যাচেছ বলে অভিযোগ উঠেছে।
শারমিন-হান্নান নেভিগেশনের এমভি শাওন-১এর ক্লিংকারসহ জাহাজের ক্ষয়ক্ষতি পরিমান আড়াই কোটি টাকা। দূর্ঘটনার সময় লঞ্চে থাকা ৭জন নাবিককে উদ্ধার করেছে চাঁদপুর নৌ থানার পুলিশ। এরা হচেছ,মাস্টার শহিদুল ইসলাম,ড্রাইভার মাইনুদ্দিন,সুকানী আশিকসহ ৪ জন লশকর ছিল।
মঙ্গলবার (১১ জুন) বিকেলের দিকে দুর্ঘটনা ঘটলে ও জাহাজটি ছিদ্র হয়ে যাওয়ায় পানি প্রবেশ করে আস্তে-আস্তে নিমর্জ্জিত হয়ে চাঁদপুর লঞ্চঘাটের পূর্ব দিকে রাত ১০টায় এই দূর্ঘটনা ঘটে। এখন পর্যন্ত জাহাজটি ডুবন্ত অবস্থায় ঘটনাস্থলেই রয়েছে।
লঞ্চের মাষ্টার শহীদুল ইসলামর সাথে যোগাযোগ করলে সে জানান,জাহাজটি গত ৩ মাস পূর্বে ডর্কে উঠিয়ে মেরামত করার কথা ছিল। জাহাজ মালিক এ রুক্রিপূর্ন জাহাজটি নিয়ে আমাদেরকে ভারতে পাঠায় ক্লিংকার বহন করার জন্য। এ দূর্ঘটনায় যাত্রীবাহী লঞ্চ এমভি ময়ূর-২ কোন দোষ ছিল না। জাহাজটি নোঙ্গর করার সময় লঞ্চের সাথে লেগে গিয়ে এ দূর্ঘটনা ঘটেছে।
লঞ্চের মাষ্টার শহীদুল ইসলামের বরাত দিয়ে চাঁদপুর নৌ-থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু তাহের খান বলেন, এই ঘটনায় লঞ্চের মাষ্টার চাঁদপুর মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়ের করেছেন। ডাইরী নং-৫৭৬। ১জুন জাহাজটি ভারতের কলকাতা টিডিসেট বন্দর থেকে চাঁদপুর হয়ে নারায়নগঞ্জ যাওয়ার সময় দূর্ঘটনার শিকার হয়। যাত্রীবাহী লঞ্চের ধাক্কার পর আস্তে আস্তে পানিতে তলিয়ে যায়।
তিনি আরো বলেন, ওই জাহাজটিতে ৬৮৫টন ক্লিংকার ছিলো। শারমিন-হান্নান নেভিগেশনের এমভি শাওন-১এর ক্লিংকারসহ জাহাজের ক্ষয়ক্ষতি পরিমান আড়াই কোটি টাকা বলে মাষ্টার ডায়েরিতে উল্লেখ করেন।