বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক: স্ট্রিট লাইট যার বাংলা শাব্দিক অর্থ হলো রাস্তার আলো । হ্যা সৌরশক্তি ব্যবহার করে ফটোভোল্টাইক প্রযুক্তির মাধ্যমে সূর্যের আলো থেকে রাস্তায় আলো জ্বালানোর পদ্ধতিকেই এক কথায় স্ট্রিট লাইট বলে । ফটোভোল্টাইক প্রযু্ক্তি সাধারণত সূর্যের আলোকে ডিসি বিদ্যুৎতে রুপান্তরিত করে। যেই বিদ্যুৎ তাৎক্ষণিক ভাবেও ব্যবহার করা যায আবার তা বৈদ্যুতিক ব্যাটারিতে সংরক্ষণ করে রাতের বেলাতেও ব্যবহার করা যায়।
স্ট্রিট লাইটের উপাদানসমূহ:-
- সোলারফটোভোল্টাইক মডিউল
- ব্যাটারি
- ব্যাটারিরাখার বাক্স
- আলোউৎপাদন করার জন্য লাইট
- চার্জকন্ট্রোলার
- সেন্সর
- প্রয়োজনীয়তার
- স্তম্ভ
গ্রঠন প্রণালী : প্রথমে রাস্তায় বা যে স্থানে আলো দরকার সে স্থানের যে কোন এক পাশে একটি লোহার বা যে কোন ধাতব তৈরি একটি স্তম্ভ স্থাপন করতে হয় । তারপর সেই স্তম্ভের সবার উপরে সোলার ফটোভোল্টাইক মডিউলটি স্থাপন করা থাকে তারপর তার একটু নিচে লাইট ও সেন্সর স্থাপন করা থাকে। এবং সাথে স্তম্ভের সুবিধা মত স্থানে ব্যাটারি রাখার বাক্সটি স্থাপন করে সেটার মধ্যে ব্যাটারিটি স্থাপন করে ফটোভোল্টাইক থেকে তারের মাধ্যমে ব্যাটারির সাথে চার্জ কন্ট্রোলার স্থাপন করা হয়।
কার্যপ্রণালী : দিনের বেলা যখন সূর্যের আলো থাকে তখন সূর্যের আলো থেকে ফটোভোল্টাইক মডিউলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয় তারপর সেই বিদ্যুৎ চার্জ কন্ট্রোলারের মাধ্যমে ব্যাটারিতে জমা থাকে। আর যখন রাত হয়ে যায় তখন সেন্সর এর মাধ্যমে অটোমেটিক সেই ব্যাটারির মধ্যে জমা থাকা বিদ্যুৎ থেকে লাইট জলে উঠে। এবং দিনের বেলা আবার বন্ধ হয়ে যায়। এভাবে যথারীতি চলতে থাকে। ব্যাটারিটি ও লাইটটি এমন অনুপাতে দেওয়া থাকে যাতে সেটি কমপক্ষে ১২-১৪ ঘন্টা একটানা জলে থাকতে পারে।
সুবিধা :
- বিদ্যুৎতেরকোন খরচ নাই।
- পরিবেশবান্ধব।
- সার্ভিসিংকরা সহজ।
- টেকসই
- যেকোন স্থানে যেমন প্রত্যন্ত গ্রামে বা অঞ্চলেও ব্যবহার উপযোগী।
- সহজেইব্যবহার করা যায় রক্ষণাবেক্ষন সহজ।
অসুবিধা :
- এককালিনখরচ বেশি।
- যেসবস্থানে সূর্যের রশ্নি পৌছায় না সেখানে কার্যকর নয়।
গুণগত মানের উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন দামে স্ট্রেট লাইট পাওয়া যায়। ভালো মানের স্ট্রিট লাইট ক্রয় করতে ও দাম সম্পর্কে জানতে এখানে দেখতে পারেন।