মতলব উত্তর উপজেলায় আপন ভাগিনার হাতে মামা নিহত হয়েছে। শনিবার দুপুর ১ টার দিকে উপজেলার ফরাজীকান্দি ইউনিয়নের চরমাছুয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ভাগিনা আরিফের (২২) ছুরিকাঘাতে মামা মানিক (২৪) গুরুতর আহত হলে স্থানীয়রা তাকে মতলব দক্ষিণ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। দুজনের বাড়ি একই গ্রামে পাশাপাশি।
এ ঘটনায় ঘাতক আরিফ ও তার মা লুৎফা বেগমে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রাম পুলিশ আনোয়ার হোসেন ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী আলমগীর, আছমা’সহ আরো কয়েকজন জানান, আরিফ মানিকের স্ত্রী অর্থাৎ তার মামানীকে অনৈতিক কাজের প্রস্তাব করলে তার মামনি তাকে জুতাপেটা করে। সেই রাগে এবং ক্ষোভে তর্ক হয়। তর্কের একপর্যায়ে মানিক এবং মানিকের স্ত্রীর সাথে আরিফের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এরপর খবর পেয়ে গ্রামপুলিশ আনোয়ার ঘটনাস্থলে এসে তার ছেলে আরিফকে নির্দেশ করেন ছুরি দিয়ে রক্তের বদলে রক্তের শোধ নিতে। এরপরই আরিফ হিংস্র হয়ে স্বজোড়ে ছুরি দিয়ে বুকে আঘাত করে। আর সাথে সাথে মানিকের ভীষণ রক্তপাত হয়ে গুরুতর আহত হয়ে পড়ে।
এ খবর ছড়িয়ে পড়লে আশেপাশের লোকজন, শত শত নারী পুরুষ ঘটনাস্থলে আসেন। খবর পেয়ে মতলব উত্তর থানার কয়েকটি টিম ঘটনাস্থলে আসন পরিদর্শনে। পুলিশ জানায়, ভাগিনা আরিফের ছুরির আঘাতে মামা মানিকের মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। পরবর্তীতে অধিকতর তদন্তে ঘটনার সত্যতা জানা যাবে।
চরমাছুয়া গ্রামবাসী আরো জানান, আরিফের বাবা আনোয়ার গ্রাম পুলিশ। এই গ্রাম পুলিশ আনোয়ার অনেক দাপট খাটিয়ে চলে। এলাকায় যত অসাধু কর্মকান্ড তার সহযোগিতায় করে। তার অত্যাচারে মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। গ্রামের মানুষকে বিভিন্ন বিষয়ে বিভিন্ন সময় হয়রানি করে আসছে গ্রাম পুলিশ আনোয়ার ও তার ছেলে।
মানিকের স্ত্রী এবং পরিবারের স্বজনরা সবাই হাসপাতালে ছুটে যান নিহত মানিকের মৃতদেহের কাছে। এদিকে ঘটনার পর পরই আরিফকে আটক করে জনতা। বর্তমান আরিফ ও তার মা পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। আর গ্রাম পুলিশ আনোয়ার পলাতক আছে বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে মতলব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, এ ঘটনায় ঘাতক আরিফকে আমরা আটক করেছি। মামলার প্রস্তুতি চলছে, তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।