মতলব উত্তর প্রতিনিধি: পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেছেন, বাংলাদেশের জাতীয় অর্থনীতিতে এ সেতুর প্রভাব হবে সুদূর প্রসারী। সামাজিক উন্নয়নেও এর বড় প্রভাব থাকবে।
তিনি বলেন, মতলব উত্তর-গজারিয়া সেতু দেশের এ অঞ্চলের মানুষের জন্য অর্থনৈতিক লাইফ লাইন রূপে কাজ করবে। বাণিজ্য, আঞ্চলিক বাণিজ্য, শিল্পাঞ্চল গড়ে ওঠা, কৃষি সম্প্রসারণ, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিসহ আর্থসামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখবে এ সেতু।
মঙ্গলবার সকালে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার কালিপুর পাম্প হাউজ সংলগ্ন মাঠে মেঘনা-ধনাগোদা নদীর উপর মতলব উত্তর (জামালপুর)-গজারিয়া (ভবেরচর) সড়কে সেতু নির্মাণের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা পরিচালনায় অংশীজন মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম এ কথা বলেন। মতলব উত্তর জামাপুর-গজারিয়া ভবেরচর সড়কে সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সেতু বিভাগ।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সেতু বিভাগের সচিব মো. মনজুর হোসেন এর সভাপতিত্বে ও যুগ্ম-সচিব ভিখারুদ্দৌলা চৌধুরীর সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, চাঁদপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব এডভোকেট নুরুল আমিন রুহুল, ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সচিব ও সদস্য সত্যজিত কর্মকার, চাঁদপুর জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী, পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ পিপিএম (বার), জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মনজুর আহমদ, মতলব উত্তর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ কুদ্দুস, টিপসা’র প্রতিনিধি গাডরেস ব্যারেজ, সাদুল্লাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি লোহমান আহমেদ মুন্সি, ষাটনল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মফিজুল ইসলাম ভুলন চৌধুরী, জেলা স্বেচ্চাসেবক লীগের সহ-সভাপতি রহমত উল্লাহ চৌধুরী।
পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেন, মতলব-গজারিয়া সেতু এ এলাকার আত্মমর্যাদা এবং আত্মনির্ভরতার প্রতীক। জাতি হিসেবে এটি আমাদের দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন। এতো আকাঙ্ক্ষার এই সেতু আর স্বপ্ন নয়, এখন বাস্তব। এটি আমাদের অহংকার। মতলব-গজারিয়া সেতু বাংলাদেশের বহুমাত্রিক ক্ষেত্র সৃষ্টি করেছে। সেতুকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে শিল্প বিপ্লব হবে। চাঁদপুরের এ পাড়ে নতুন শিল্পাঞ্চল গড়ে উঠবে, অর্থনৈতিক উন্নয়ন হবে।
প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেন, মতলব গজারিয়া সংযোগ সেতু একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প। এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে মতলব, চাঁদপুর তথা দেশের দক্ষিণাঞ্চলের সাথে ঢাকা যোগাযোগ পথ অনেক কমে যাবে। আর চাঁদপুর থেকে দুরত্ব কমবে প্রায় ৫২ কিলোমিটার। এতে করে সময় কম লাগবে অর্থও বাঁচবে। মতলববাসীর প্রাণের দাবী ছিল এই সেতুটি। আমি প্রতিমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে গুরুত্ব সহকারে কাজ শুরু করেছি। এখন অনেক এগিয়ে আছে, আশা করি সহসাই যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সেতুটি বাস্তবায়ন করা হবে। তিনি আরও বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেকোনো উন্নয়নের ব্যাপারে অগ্রগামী। বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে আরো এগিয়ে যাবে। ১০০ বছরের ডেলটা প্ল্যান অনুযায়ী এগিয়ে চলেছে।
সভাপতির বক্তব্যে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব মনজুর হোসেন বলেন, আমরা এখানে বুজলাম আপনাদের প্রাণের দাবী এই সেতুটি। আমরা এই দাবীকে গুরুত্ব দিয়ে প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়নের ব্যাপারে কাজ করব। এছাড়াও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী মহোদয় এই প্রকল্পটি নিয়ে কাজ করছেন, এটি পিছানোর কোন সুযোগ নেই। জনগণের চাহিদা অনুযায়ী সেতু নির্মাণ করা হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা রয়েছে উন্নয়ন প্রকল্পের ব্যাপারে দ্রুত কাজ করার।
অন্যান্য বক্তারা মতলব গজারিয়া সংযোগ সেতু বাস্তবায়নের জন্য দাবী জানান।