ভুয়া সনদে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হওয়ার অভিযোগ

  • আপডেট: ০৩:০৭:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জুন ২০২২
  • ৩৭
ফরিদপুর প্রতিনিধি

ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ইউনিয়নের ১৭নং ছুলনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভুয়া সনদ দাখিল করে স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।২০২১ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর উক্ত স্কুলটির সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হন মো. ইমদাদুল হক। সে সময় তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্র বিজ্ঞানের ৪র্থ বর্ষের সনদ দাখিল করেন।
ম্যানেজিং কমিটির মেয়াদ আগামী ২০২৪ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বলবৎ। ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হয়ে তিনি স্কুলের প্রধান শিক্ষকসহ সহকারী শিক্ষকদের ওপর নানা ধরনের নির্যাতন শুরু করেন। একই সঙ্গে নারী-শিক্ষিকাও তার হাতে বিভিন্নভাবে লাঞ্ছিত হন। তার আচরণে এলাকাবাসী ও কর্তৃপক্ষ শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
বিষয়টি নিয়ে শুরু হয় তদন্ত। তদন্তের এক পর্যায় বেরিয়ে আসে থলের বিড়াল। তার জমা দেয়া সনদ অনলাইনে যাচাই করে দেখা যায় সনদটি যশোর ক্যান্টনমেন্ট কলেজের রাষ্ট্র বিজ্ঞানের হোসেন ই আলী খান নামের এক ব্যক্তির। মো. ইমদাদুল হক ওই সনদটি কম্পিউটারের দোকান থেকে হুবহু নকল করে জাল সনদ তৈরি করেন। এরপর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিমের সাহায্যে সত্যায়িত করে বিভিন্ন দপ্তরে দাখিল করে। বিষয়টি জানাজানি হলে নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। স্কুলের প্রধান শিক্ষক শিউলি আক্তার একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মুন্সি রুহুল আসলাম জানান, ইমদাদুল হকের আচরণ শুরু থেকেই প্রশ্নবিদ্ধ ছিল। একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হয়েও তিনি স্কুলের নিয়মবহির্ভূত নানা আচরণ করেছেন শিক্ষকদের সঙ্গে। তাছাড়া এখন প্রমাণিত হয়েছে যে, সে ভুয়া সনদ দাখিল করে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। সরকারি প্রাইমারি স্কুলে গ্র্যাজুয়েট ছাড়া কেউই সভাপতি নির্বাচিত হতে পারবেন না বলে সরকার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। সেখানে ইমদাদুল হক ভুয়া সনদ দাখিল করে সভাপতি হয়েছেন। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজিমউদ্দিন জানান, এই আধুনিক ডিজিটাল দুনিয়ায় ভুয়া কোনো কিছুই বেশি সময় টিকে থাকতে পারে না। সে অনেক বড় অপরাধ করেছে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। বিষয়টি নিয়ে অভিযুক্ত মো. ইমদাদুল হক মুঠোফোনে তিনি বলেন, বিষয়টি আমি নিজেও বুঝতে পারছি না।
আমি ঢাকার কবি নজরুল ইসলাম কলেজ থেকে লেখাপড়া করেছি। আমাকে একটু সময় দেন আমি বিষয়টি সুরাহা করে দিব। আর ইতোমধ্যেই আমি উপজেলায় একটি দরখাস্ত দিয়েছি সভাপতি পদ থেকে অব্যাহতির জন্য।
https://www.dainikshiksha.com
Tag :
সর্বাধিক পঠিত

উপদেষ্টাদের যাচ্ছেতাই কর্মকাণ্ড মেনে নেয়া হবে না-রিজভী

ভুয়া সনদে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হওয়ার অভিযোগ

আপডেট: ০৩:০৭:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জুন ২০২২
ফরিদপুর প্রতিনিধি

ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ইউনিয়নের ১৭নং ছুলনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভুয়া সনদ দাখিল করে স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।২০২১ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর উক্ত স্কুলটির সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হন মো. ইমদাদুল হক। সে সময় তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্র বিজ্ঞানের ৪র্থ বর্ষের সনদ দাখিল করেন।
ম্যানেজিং কমিটির মেয়াদ আগামী ২০২৪ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বলবৎ। ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হয়ে তিনি স্কুলের প্রধান শিক্ষকসহ সহকারী শিক্ষকদের ওপর নানা ধরনের নির্যাতন শুরু করেন। একই সঙ্গে নারী-শিক্ষিকাও তার হাতে বিভিন্নভাবে লাঞ্ছিত হন। তার আচরণে এলাকাবাসী ও কর্তৃপক্ষ শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
বিষয়টি নিয়ে শুরু হয় তদন্ত। তদন্তের এক পর্যায় বেরিয়ে আসে থলের বিড়াল। তার জমা দেয়া সনদ অনলাইনে যাচাই করে দেখা যায় সনদটি যশোর ক্যান্টনমেন্ট কলেজের রাষ্ট্র বিজ্ঞানের হোসেন ই আলী খান নামের এক ব্যক্তির। মো. ইমদাদুল হক ওই সনদটি কম্পিউটারের দোকান থেকে হুবহু নকল করে জাল সনদ তৈরি করেন। এরপর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিমের সাহায্যে সত্যায়িত করে বিভিন্ন দপ্তরে দাখিল করে। বিষয়টি জানাজানি হলে নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। স্কুলের প্রধান শিক্ষক শিউলি আক্তার একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মুন্সি রুহুল আসলাম জানান, ইমদাদুল হকের আচরণ শুরু থেকেই প্রশ্নবিদ্ধ ছিল। একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হয়েও তিনি স্কুলের নিয়মবহির্ভূত নানা আচরণ করেছেন শিক্ষকদের সঙ্গে। তাছাড়া এখন প্রমাণিত হয়েছে যে, সে ভুয়া সনদ দাখিল করে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। সরকারি প্রাইমারি স্কুলে গ্র্যাজুয়েট ছাড়া কেউই সভাপতি নির্বাচিত হতে পারবেন না বলে সরকার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। সেখানে ইমদাদুল হক ভুয়া সনদ দাখিল করে সভাপতি হয়েছেন। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজিমউদ্দিন জানান, এই আধুনিক ডিজিটাল দুনিয়ায় ভুয়া কোনো কিছুই বেশি সময় টিকে থাকতে পারে না। সে অনেক বড় অপরাধ করেছে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। বিষয়টি নিয়ে অভিযুক্ত মো. ইমদাদুল হক মুঠোফোনে তিনি বলেন, বিষয়টি আমি নিজেও বুঝতে পারছি না।
আমি ঢাকার কবি নজরুল ইসলাম কলেজ থেকে লেখাপড়া করেছি। আমাকে একটু সময় দেন আমি বিষয়টি সুরাহা করে দিব। আর ইতোমধ্যেই আমি উপজেলায় একটি দরখাস্ত দিয়েছি সভাপতি পদ থেকে অব্যাহতির জন্য।
https://www.dainikshiksha.com