দুদকের পাঠানো অর্ধেক অভিযোগের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি মাউশি

  • আপডেট: ০৭:১৬:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২১
  • ২৯

দুর্নীতি দমন কমিশন ১৮৪টি অভিযোগের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বললেও অর্ধেক অভিযোগের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থাই নেয়নি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।

অভিযোগের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় মাউশি অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে ডেকে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, ফেব্রুয়ারির মধ্যে অভিযোগুলোর বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে। মাউশি প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে তারা দুদককে জানাবে।

পরীক্ষা ও ভর্তিতে অতিরিক্ত ফি আদায়, এমপিওভুক্তকরণ, নিয়োগ ও বদলি বাণিজ্যসহ বিস্তর অভিযোগ রয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে।

জনবল সংকটের কারণে সব অভিযোগের বিরুদ্ধে দুদক ব্যবস্থাও নিতে পারে না। আবার এখতিয়ারে না থাকায় কিছু অভিযোগের বিষয়ে দুদক ব্যবস্থাও নিতে পারে না। গত তিন বছরে সুনির্দিষ্ট ১৮৪টি অভিযোগের বিষয়ে অধিদপ্তরকে বিভাগীয় তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছিল।

এসব বিষয়ে অধিদপ্তর কী ব্যবস্থা নিয়েছে তা জানতে প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালককে দুদকে হাজির হতে নোটিশ দেয়া হয়। বুধবার ডিজিসহ প্রতিষ্ঠানটির ছয় কর্মকর্তা দুদকের প্রধান কার্যালয়ে আসেন। দুই ঘণ্টা শুনানি শেষে দুদক সচিব জানান, অর্ধেক অভিযোগের বিরুদ্ধে মাউশি কোনো ব্যবস্থাই না নেয়ায় দুই মাস সময় বেঁধে দিয়েছে সংস্থাটি।

দুর্নীতি দমন কমিশনের সচিব ডক্টর মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেন, আমরা তাদেরকে যে ১৮৪টি অভিযোগ দিয়েছি সেগুলো নিয়েই আলাপ-আলোচনা করেছি। মাউশির একজন ফোকাল পয়েন্ট থাকবে, যার কাছে আমাদের অভিযোগগুলো যাবে। প্রাথমিকভাবে তিনি মহাপরিচালকের নির্দেশে সেগুলো পর্যালোচনা করে আমাদের জানাবেন।

অধিদপ্তরের মহাপরিচালক দাবি করেন, দুর্নীতি বন্ধে তারা তৎপর। মাউশি’র মহাপরিচালক সৈয়দ মোহাম্মদ গোলাম ফারুক বলেন, আমাদের কাছে অভিযোগ এসেছে এবং তার বিরুদ্ধে আমরা তদন্ত করেনি এমন কেউ নেই আমাদের দপ্তরে। যেগুলোর এখনো সমাধান হয়নি সেগুলোর বিষয়ে আমাদেরকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় দেয়া হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে আমরা সেগুলো পর্যালোচনা করে দুদকে পাঠাব।

দুদক সচিব জানান, পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্তাদেরও ডাকা হবে।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় উপ-অর্থ সম্পাদক হাজীগঞ্জের মাহবুব আলম ২ দিনের রিমান্ডে

দুদকের পাঠানো অর্ধেক অভিযোগের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি মাউশি

আপডেট: ০৭:১৬:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২১

দুর্নীতি দমন কমিশন ১৮৪টি অভিযোগের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বললেও অর্ধেক অভিযোগের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থাই নেয়নি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।

অভিযোগের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় মাউশি অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে ডেকে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, ফেব্রুয়ারির মধ্যে অভিযোগুলোর বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে। মাউশি প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে তারা দুদককে জানাবে।

পরীক্ষা ও ভর্তিতে অতিরিক্ত ফি আদায়, এমপিওভুক্তকরণ, নিয়োগ ও বদলি বাণিজ্যসহ বিস্তর অভিযোগ রয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে।

জনবল সংকটের কারণে সব অভিযোগের বিরুদ্ধে দুদক ব্যবস্থাও নিতে পারে না। আবার এখতিয়ারে না থাকায় কিছু অভিযোগের বিষয়ে দুদক ব্যবস্থাও নিতে পারে না। গত তিন বছরে সুনির্দিষ্ট ১৮৪টি অভিযোগের বিষয়ে অধিদপ্তরকে বিভাগীয় তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছিল।

এসব বিষয়ে অধিদপ্তর কী ব্যবস্থা নিয়েছে তা জানতে প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালককে দুদকে হাজির হতে নোটিশ দেয়া হয়। বুধবার ডিজিসহ প্রতিষ্ঠানটির ছয় কর্মকর্তা দুদকের প্রধান কার্যালয়ে আসেন। দুই ঘণ্টা শুনানি শেষে দুদক সচিব জানান, অর্ধেক অভিযোগের বিরুদ্ধে মাউশি কোনো ব্যবস্থাই না নেয়ায় দুই মাস সময় বেঁধে দিয়েছে সংস্থাটি।

দুর্নীতি দমন কমিশনের সচিব ডক্টর মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেন, আমরা তাদেরকে যে ১৮৪টি অভিযোগ দিয়েছি সেগুলো নিয়েই আলাপ-আলোচনা করেছি। মাউশির একজন ফোকাল পয়েন্ট থাকবে, যার কাছে আমাদের অভিযোগগুলো যাবে। প্রাথমিকভাবে তিনি মহাপরিচালকের নির্দেশে সেগুলো পর্যালোচনা করে আমাদের জানাবেন।

অধিদপ্তরের মহাপরিচালক দাবি করেন, দুর্নীতি বন্ধে তারা তৎপর। মাউশি’র মহাপরিচালক সৈয়দ মোহাম্মদ গোলাম ফারুক বলেন, আমাদের কাছে অভিযোগ এসেছে এবং তার বিরুদ্ধে আমরা তদন্ত করেনি এমন কেউ নেই আমাদের দপ্তরে। যেগুলোর এখনো সমাধান হয়নি সেগুলোর বিষয়ে আমাদেরকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় দেয়া হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে আমরা সেগুলো পর্যালোচনা করে দুদকে পাঠাব।

দুদক সচিব জানান, পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্তাদেরও ডাকা হবে।