আমেরিকা ন্যায় বিচারের কথা বলে; কিন্তু তারাই বঙ্গবন্ধুর খুনিদের আশ্রয় দিয়েছে: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

  • আপডেট: ০৭:০৫:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২১
  • ২৭

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমেরিকা ন্যায় বিচার, গণতন্ত্র ও ভোটাধিকারের কথা বলে; কিন্তু তারাই বঙ্গবন্ধুর খুনিদের আশ্রয় দিয়ে বসে আছে।

মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে আয়োজিত অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি জানান, দেশটির প্রত্যেক রাষ্ট্রপতির কাছে চিঠি দিয়ে খুনিদের ফিরিয়ে দিতে বারবার অনুরোধ করেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। এখন তাদের কাছ থেকেই ন্যায় বিচারের কথা শোনা দুঃখজনক।

প্রসঙ্গত, মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে গত ১০ ডিসেম্বর পুলিশের বিশেষায়িত শাখা র‌্যাবের সাবেক ও বর্তমান সাতজন কর্মকর্তাকে দেশটিতে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আমেরিকা। নিষেধাজ্ঞার ১৮ দিন পর মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু সরকারের সময়ে আমেরিকার ভূমিকা কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী৷

প্রধানমন্ত্রী বলেন, পিতাসহ পরিবারের সবাইকে হত্যার পর সাধারণ নাগরিক হিসেবে বিচার চাওয়ার অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছিলো। বঙ্গবন্ধুকে হত্যাসহ সব কিছুর পেছনে ছিল খুনি জিয়াউর রহমান।

বিচার বিভাগের শীর্ষ কর্তাদের উপস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী জানান, সাধারণ মানুষের হাতে ক্ষমতা দিতে বাকশাল করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। ক্ষমতা কুক্ষিগত করার কোনো বাসনা বঙ্গবন্ধুর ছিল না।

এসময় প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট বাংলা ও ইংরেজিতে ‘বঙ্গবন্ধু ও বিচার বিভাগ নামে মুজিব স্মারকগ্রন্থ এবং ‘ন্যায় কণ্ঠ’ নামে মুজিববর্ষ স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন করেন। গ্রন্থ দুইটিতে বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে হওয়া মামলা ও রায়ের বিবরণ লিপিবদ্ধ করা হয়েছে।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় উপ-অর্থ সম্পাদক হাজীগঞ্জের মাহবুব আলম ২ দিনের রিমান্ডে

আমেরিকা ন্যায় বিচারের কথা বলে; কিন্তু তারাই বঙ্গবন্ধুর খুনিদের আশ্রয় দিয়েছে: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

আপডেট: ০৭:০৫:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২১

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমেরিকা ন্যায় বিচার, গণতন্ত্র ও ভোটাধিকারের কথা বলে; কিন্তু তারাই বঙ্গবন্ধুর খুনিদের আশ্রয় দিয়ে বসে আছে।

মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে আয়োজিত অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি জানান, দেশটির প্রত্যেক রাষ্ট্রপতির কাছে চিঠি দিয়ে খুনিদের ফিরিয়ে দিতে বারবার অনুরোধ করেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। এখন তাদের কাছ থেকেই ন্যায় বিচারের কথা শোনা দুঃখজনক।

প্রসঙ্গত, মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে গত ১০ ডিসেম্বর পুলিশের বিশেষায়িত শাখা র‌্যাবের সাবেক ও বর্তমান সাতজন কর্মকর্তাকে দেশটিতে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আমেরিকা। নিষেধাজ্ঞার ১৮ দিন পর মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু সরকারের সময়ে আমেরিকার ভূমিকা কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী৷

প্রধানমন্ত্রী বলেন, পিতাসহ পরিবারের সবাইকে হত্যার পর সাধারণ নাগরিক হিসেবে বিচার চাওয়ার অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছিলো। বঙ্গবন্ধুকে হত্যাসহ সব কিছুর পেছনে ছিল খুনি জিয়াউর রহমান।

বিচার বিভাগের শীর্ষ কর্তাদের উপস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী জানান, সাধারণ মানুষের হাতে ক্ষমতা দিতে বাকশাল করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। ক্ষমতা কুক্ষিগত করার কোনো বাসনা বঙ্গবন্ধুর ছিল না।

এসময় প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট বাংলা ও ইংরেজিতে ‘বঙ্গবন্ধু ও বিচার বিভাগ নামে মুজিব স্মারকগ্রন্থ এবং ‘ন্যায় কণ্ঠ’ নামে মুজিববর্ষ স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন করেন। গ্রন্থ দুইটিতে বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে হওয়া মামলা ও রায়ের বিবরণ লিপিবদ্ধ করা হয়েছে।