উন্নয়নের প্রশংসা শুনে মাথা খারাপ করা যাবে না: পরিকল্পনামন্ত্রী

  • আপডেট: ১২:৩৩:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২১
  • ৩০

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, অনেক দেশে আমাদের উন্নয়নের প্রশংসা করছে। এটি ভালো তবে উন্নয়নের প্রশংসা শুনে মাথা ঘুরে যেন ঘুরে না যায়। আমাদের আরও উন্নয়ন করতে হবে, দেশকে সমৃদ্ধ করতে হবে।

বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) ‘বিডা-বিএফএফ শোকেস বাংলাদেশ এন্ড ইনভেস্টমেন্ট সামিট-২০২১’ এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, অনেক দেশ বলেছিল বাংলাদেশের অর্থনীতি মুখ থুবরে পড়ে যাবে। কিন্তু তা হয়নি আমরা ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম হয়েছি। আমাদের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ঘটে প্রায় ৫০ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি পৌঁছেছে।

প্রধানমন্ত্রী ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেন জানিয়ে তিনি বলেন, নিজস্ব অর্থায়নে আমরা পদ্মা সেতু করছি। রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, মেট্রোরেল সহ আটটি মেগা প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছনোর কাজ প্রধানমন্ত্রী ঝুঁকি নিয়ে শুরু করছিলেন এটি ৯৮ শতাংশের বেশি শেষ হয়েছে। প্রতিটি কাজেই প্রধানমন্ত্রী ঝুঁকি নেন এবং সেগুলো বাস্তবায়ন করেন।

তিনি বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে আমাদের মাথাপিছু আয় ১৫ থেকে ২০ হাজার ডলার হবে। তখনকার সময়ের মুদ্রারমান হিসেবে আমরা এটি পারব। আমাদের জাপানিদের মতো কাজ প্রিয় হতে হবে। জাপানিদের নিয়ে একটি কথা প্রচলিত আছে যে তারা কাজ করতে করতে নিজের টেবিলের মধ্যে মারা যায়। আমাদেরও এমন কাজের প্রতি ভালোবাসা তৈরি করতে হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম বলেন, আগে বাংলাদেশকে বিদেশিরা চিনত না। তাদের কাছে বাংলাদেশ বললে জিজ্ঞাসা করত এটা আফগানিস্তান বা ভারতের কোন প্রদেশ কিনা। এখন সেই সমস্যা নেই সবাই এখন এক নামে বাংলাদেশকে চিনে বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রশংসা করে। দেশে আরও বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। বাংলাদেশ যখন বিনিয়োগের চারণভূমি হয়ে যাবে তখন বাংলাদেশ তার লক্ষ্যে পৌছাতে পারবে।

সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে জাপানি রাষ্ট্রদূত নাওকি ইতো বলেন, বাংলাদেশ উন্নয়নে দক্ষিণ এশিয়ার পাওয়ার স্টেশনে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশ তার প্রবৃদ্ধির ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারবে বলে জাপান বিশ্বাস করে। বাংলাদেশের উন্নয়নে জাপান সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।

সম্মানিত অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন, শ্রীলঙ্কার হাইকমিশনার প্রফেসর সুদর্শন দীপাল সিনিভিরাতনে, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের জেরেমি ওপ্রিতেস্ক, অস্ট্রেলিয়ার ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার নারদিয়া সিম্পসন, বিজিএমইর সভাপতি ফারুক হাসান, চেয়ার বেটার বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর মাসুদ এ খান।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় উপ-অর্থ সম্পাদক হাজীগঞ্জের মাহবুব আলম ২ দিনের রিমান্ডে

উন্নয়নের প্রশংসা শুনে মাথা খারাপ করা যাবে না: পরিকল্পনামন্ত্রী

আপডেট: ১২:৩৩:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২১

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, অনেক দেশে আমাদের উন্নয়নের প্রশংসা করছে। এটি ভালো তবে উন্নয়নের প্রশংসা শুনে মাথা ঘুরে যেন ঘুরে না যায়। আমাদের আরও উন্নয়ন করতে হবে, দেশকে সমৃদ্ধ করতে হবে।

বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) ‘বিডা-বিএফএফ শোকেস বাংলাদেশ এন্ড ইনভেস্টমেন্ট সামিট-২০২১’ এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, অনেক দেশ বলেছিল বাংলাদেশের অর্থনীতি মুখ থুবরে পড়ে যাবে। কিন্তু তা হয়নি আমরা ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম হয়েছি। আমাদের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ঘটে প্রায় ৫০ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি পৌঁছেছে।

প্রধানমন্ত্রী ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেন জানিয়ে তিনি বলেন, নিজস্ব অর্থায়নে আমরা পদ্মা সেতু করছি। রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, মেট্রোরেল সহ আটটি মেগা প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছনোর কাজ প্রধানমন্ত্রী ঝুঁকি নিয়ে শুরু করছিলেন এটি ৯৮ শতাংশের বেশি শেষ হয়েছে। প্রতিটি কাজেই প্রধানমন্ত্রী ঝুঁকি নেন এবং সেগুলো বাস্তবায়ন করেন।

তিনি বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে আমাদের মাথাপিছু আয় ১৫ থেকে ২০ হাজার ডলার হবে। তখনকার সময়ের মুদ্রারমান হিসেবে আমরা এটি পারব। আমাদের জাপানিদের মতো কাজ প্রিয় হতে হবে। জাপানিদের নিয়ে একটি কথা প্রচলিত আছে যে তারা কাজ করতে করতে নিজের টেবিলের মধ্যে মারা যায়। আমাদেরও এমন কাজের প্রতি ভালোবাসা তৈরি করতে হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম বলেন, আগে বাংলাদেশকে বিদেশিরা চিনত না। তাদের কাছে বাংলাদেশ বললে জিজ্ঞাসা করত এটা আফগানিস্তান বা ভারতের কোন প্রদেশ কিনা। এখন সেই সমস্যা নেই সবাই এখন এক নামে বাংলাদেশকে চিনে বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রশংসা করে। দেশে আরও বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। বাংলাদেশ যখন বিনিয়োগের চারণভূমি হয়ে যাবে তখন বাংলাদেশ তার লক্ষ্যে পৌছাতে পারবে।

সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে জাপানি রাষ্ট্রদূত নাওকি ইতো বলেন, বাংলাদেশ উন্নয়নে দক্ষিণ এশিয়ার পাওয়ার স্টেশনে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশ তার প্রবৃদ্ধির ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারবে বলে জাপান বিশ্বাস করে। বাংলাদেশের উন্নয়নে জাপান সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।

সম্মানিত অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন, শ্রীলঙ্কার হাইকমিশনার প্রফেসর সুদর্শন দীপাল সিনিভিরাতনে, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের জেরেমি ওপ্রিতেস্ক, অস্ট্রেলিয়ার ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার নারদিয়া সিম্পসন, বিজিএমইর সভাপতি ফারুক হাসান, চেয়ার বেটার বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর মাসুদ এ খান।