নিজস্ব প্রতিনিধি॥
শিামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, ‘করোনার নতুন ভেরিয়েন্ট ওমিক্রন মানুষকে শারীরিকভাবে তি করার, এমনকি মেরে ফেলার মতাও রাখে। অতএব আমাদের খুব সাবধান হতে হবে। এখন অধিকাংশের মুখেই মাস্ক দেখা যায় না। অনেকেই ঠিকমতো মাস্ক পরছেন না। তাই এই ঢিলেমি ঝেঁটিয়ে আমাদের আবার স্বাস্থ্যবিধির মধ্যে আসতে হবে।’ সারা বিশে^ ‘করোনার নতুন ভেরিয়েন্ট ওমিক্রন’ আতঙ্ক ছড়াচ্ছে।
মঙ্গলবার রাতে চাঁদপুর প্রেসকাব মিলনায়তনে চাঁদপুর প্রতিদিনের এক যুগ পূর্তি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিামন্ত্রী দীপু মনি এসব কথা বলেন।
শিামন্ত্রী বলেন, সারা বিশ্ব একটি দুর্যোগময় সময় পার করছে। এখন করোনার নতুন ভেরিয়েন্ট অমিক্রন আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। এরই মধ্যে কাল থেকে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত এইচএসসি পরীা। তাই শিার্থীসহ সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে, যেন সংক্রমণ না বাড়ে, পরীা যেন বন্ধ করে দিতে না হয়।
শিামন্ত্রী বলেন, ‘২ থেকে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত এইচএসসি পরীা। এই পরীা আমাদের শিার্থীদের জীবনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই পরীার পরই তাঁরা জীবনে উচ্চশিায় কোথায় যাবেন, সেসব ঠিক করবে। কাজেই এই পরীা সবার জন্য একটি বড় মাইলফলক। সেই পরীা যেন এই সংক্রমণের জন্য কোনোভাবে বাধাগ্রস্ত না হয়। সবাইকে শিার্থীদের স্বার্থে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।’
বিজ্ঞাপন
এইচএসসি পরীা সবার জন্য একটি বড় মাইলফলক। সেই পরীা যেন এই সংক্রমণের জন্য কোনোভাবে বাধাগ্রস্ত না হয়। সবাইকে শিার্থীদের স্বার্থে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
দীপু মনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার কখনোই মানুষের স্বাস্থ্য সুরার বিষয়টি অগ্রাধিকার দেবে না, এটি হতেই পারে না। স্বাস্থ্য সুরাই অগ্রাধিকার পাবে। সঙ্গে জীবন-জীবিকা, পড়ালেখা—সবকিছু চলবে। স্বাস্থ্য সুরা, জীবন রা নিশ্চয়ই ১ নম্বর অগ্রাধিকার। তাই আমাদের গাফিলতির কারণে, মাস্ক না পরার কারণে সংক্রমণ যেন বেড়ে না যায়। জেনেশুনে স্বাস্থ্যবিধি না মানার মতো অবহেলা অপরাধ। কারণ, স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে অবহেলার কারণে আপনার নিজেকে, আপনার আপনজনকে, আপনার পরিবার, প্রতিবেশীকে, দেশকে আপনি বিপদের মুখে ফেলছেন। দয়া করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন। যথাসম্ভব নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখুন।’
পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক ইকবাল হোসেন পাটোয়ারীর সভাপতিত্বে এ সময় আরও বক্তব্য দেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব মাকছুদুর রহমান পাটোয়ারী, জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ, পুলিশ সুপার মো. মিলন মাহমুদ, পৌর মেয়র মো. জিল্লুর রহমান, স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত সৈয়দা বদরুন নাহার চৌধুরী প্রমুখ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ফরিদগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তাফাজ্জল হোসেন।
অনুষ্ঠানে করোনা সংক্রমণ রোধে বিশেষ অবদানে সম্মাননা দেওয়া হয় চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ, পুলিশ সুপার মো. মিলন মাহমুদ, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি জে আর ওয়াদুদ, চাঁদপুরের পৌর মেয়র মো. জিল্লুর রহমান, সাবেক সিভিল সার্জন মো. সাখাওয়াত উল্যাহ, চাঁদপুর ২৫০ শয্যা সরকারি জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা সুজাউদ্দৌলা, সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সাজেদা বেগমকে।
