গাজী মহিনউদ্দিন:
ইউপি নির্বাচনে বিএনপির চেয়ারম্যান প্রার্থীদের নিয়ে হাজীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও হাজীগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আব্দুল মান্নান খান বাচ্চুর ফেসবুক স্ট্যাটাস ভাইরাল হয়ে ছড়িয়ে পড়েছে নেট দুনিয়ায়।
চলমান ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করলেও বিএনপির প্রার্থী থাকছে না। রাজনৈতিক কৌশলের কারণে দলীয় প্রতীকে স্থানীয় নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি।
এ দিকে দলটির চেয়ারম্যান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। দলটির প্রধানকে বিদেশ নিয়ে চিকিৎসা করানোর অনুমতি না পেয়ে আন্দোলন কর্মসূচি পালন করে আসছে হাই কমান্ডের দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দ।
এ কঠিন মুহূর্তে নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দৌঁড় ঝাঁপ দিচ্ছে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। আর এ চেয়ারম্যান প্রার্থীদের নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের নামীয় আইডিতে বিএনপির চেয়ারম্যান প্রার্থীদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার আবেদন জানান। ফেসবকু স্ট্যাটাস তুলে ধারা হলো
বিএনপির চেয়ারম্যান প্রার্থীদের প্রতি আবেদন :-
১৯৯৩ সালে হাজীগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তখন আমি ছিলাম বিএনপির প্রার্থী এবং অধ্যাপক আব্দুর রশিদ মজুমদার ছিলেন আওয়ামী- লীগের প্রার্থী। সে নির্বাচনে আমি ৩৫০ ভোটে হেরে যাই। আবার ১৯৯৮ সালে পৌর নির্বাচন ঘোষণা দেয়া হয়। রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বিএনপি নির্বাচন বয়কট করে। সে সময়ে আওয়ামীলীগের প্রার্থী হয় অধ্যাপক আব্দুর রশিদ মজুমদার এবং জাতীয় পার্টি থেকে প্রার্থী হয় মরহুম তোফাজ্জল হায়দার নসু চৌধুরী। বিএনপি নির্বাচন বয়কট করাতে দলের সিদ্ধান্তর প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আমি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করিনি। আমি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলে নির্ঘাত পাশ করতাম। কারন বিরোধী দলে ছিলো দুইজন প্রার্থী আর আমি বিএনপি থেকে মাত্র একজন প্রার্থী ।
এ বছর ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে পৌর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। পার্টির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করি। নির্বাচনে আমি নির্ঘাত পাশ করি কিন্তুু তারা জোর করে আমার বিজয় ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এসব স্থানীয় সরকার নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি বলে বিএনপি নির্বাচন বয়কটের ঘোষণা দেয়। এখন বিএনপির দুঃসময়। পার্টির চেয়ারপার্সন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। ম্যাডামকে বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে সারাদেশে বিএনপি আন্দোলনের ডাক দিয়েছে। সারাদেশে আন্দোলনও চলছে।
বাংলাদেশের মধ্যে হাজীগঞ্জ একমাত্র উপজেলা যেখানে কোনো আন্দোলন হয়নি।
এখন আপনারা যারা চেয়ারম্যান নির্বাচন করছেন, পার্টির এই দুঃসময়ে পার্টির সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচন করা কি ঠিক হবে?
এই মুহূর্তে আমাদের প্রয়োজন ম্যাডামের বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ দরকার। দয়া করে পার্টির এই দুঃসময়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার মতো আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নিবেন না।
আসুন, আমরা সবাই মিলে ম্যাডামের বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করি।
আবদুল মান্নান খান বাচ্চু
সাবেক মেয়র- হাজীগঞ্জ পৌরসভা।
প্রতিষ্ঠাতা আহবায়ক- হাজীগঞ্জ উপজেলা বিএনপি ও সাবেক সভাপতি উপজেলা বিএনপি।