মতলব উত্তরে হাসপাতাল নির্মাণের কাজে বাঁধা : এলাকায় তোলপাড়

  • আপডেট: ০৩:৫৭:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ জুন ২০১৯
  • ৮৯

মতলব উত্তর ব্যুরো :
মতলব উত্তর উপজেলার আমেনা জহির ফাউন্ডেশন কর্তৃক প্রস্তাবিত ‘ডায়াবেটিক ও হাইপারটেনশন হাসপাতাল’ নির্মাণের জন্য শনিবার মাটি ভরাটের কাজ শুরু হয়। ওই কাজে এলাকার একটি কুচক্রি মহল বাঁধা প্রদান ও থানায় অভিযোগ দায়ের করলে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়।
জানা গেছে, লুধুয়া গ্রামের কৃতি সন্তান ইউএনডিপি’র সদস্য ডা. এমদাদুল হক মানিক নিজ গ্রামের মানুষের কল্যাণের কথা চিন্তা করে এলাকাবাসীর দাবীর পরিপেক্ষিতে একটি ডায়াবেটিক ও হাইপারটেনশন হাসপাতাল নির্মাণ করার উদ্যোগ গ্রহন করেন। এ লক্ষ্যে লুধুয়া গ্রামে মতলব-ছেঙ্গারচর আঞ্চলিক মহাসড়ক সংলগ্ন তার নিজ জায়গা ভরাটের কাজ শুরু করেন। কিন্তু স্থানীয় গ্রামের হাশেম মিয়াসহ কয়েকজন সরকারি জায়গা দাবী করে কাজে বাঁধা প্রদান এবং থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর লুধুয়া গ্রামের শত শত নারী-পুরুষ থানায় ও উপজেলা চেয়ারম্যানের কাছে গিয়ে হাসপাতাল নির্মাণের কাজে জোড় সমর্থন জানান।
এলাকাবাসী জানায়, আমাদের এখানে একটি হাসপাতাল নির্মাণ হলে এলাকাবাসীর অনেক উপকার হবে। মতলব, চাঁদপুর এমনকি ঢাকায় যেতে হবে না। বাড়ির পাশেরই আধুনিক চিকিৎসা সেবা পাবো। কিন্তু এলাকার একটি মহল চাইছে না এ হাপতালটি হোক। ফতেপুর পূর্ব ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম নবী বাদল ও স্থানীয় ইউপি সদস্য গোলাম জিলানীসহ অনেক লোকজন বলেন, হাসপাতালটি আমাদের জরুরী প্রয়োজন। এটি হলে মতলব উত্তরবাসীর অনেক উপকার হবে। ডায়াবেটিস ও হাইপারটেনশন জনিত রোগে ঢাকায় যেতে হবে না। আমরা সকল বাঁধা বিপত্তি ও অসংকোচ পেরিয়ে কাজে এগিয়ে যাবো। তাদের এ বাঁধা সম্পূর্ণ অন্যায়। হাসপাতাল নির্মাণে অবৈধভাবে বাঁধা দিয়ে তারা কিছুই করতে পারবে না।
ডা. এমদাদুল হক মানিক বলেন, আমি আমার এলাকাবাসীর কল্যাণের কথা চিন্তা করে একটি হাসপাতাল নির্মাণের কাজ শুরু করেছি। সম্পূর্ণ হাসপাতালটি আমার ব্যক্তিগত জায়গায় নির্মাণ হবে। শুধু মাত্র যাতায়াতের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) সামান্য একটিু জায়গা নিয়েছি। সেটা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে লিজ আনা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, শুধু হাসপাতালই নয়, আমার বাড়ির পাশে ডাকঘর নির্মাণ ও কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণের জন্য আমি ব্যক্তিগত জায়গা দিয়েছি শুধু মানুষের কল্যাণের কথা চিন্তা করে।
বাঁধা প্রদানকারী হাশেম মিয়া বলেন, আমার জানামতে হাসপাতাল নির্মাণের স্থানে পাউবোর জায়গা পড়েছে। তাই থানায় অভিযোগ দিয়েছি।
মতলব উত্তর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মুরশেদুল আলম ভুইয়া বলেন, এ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ পেয়েছি। কাগজপত্র দেখে তদন্ত সাপেক্ষে একটি সঠিক সিদ্ধান্তে যাবো।

Tag :

সম্পাদক ও প্রকাশক:
মোঃ মহিউদ্দিন আল আজাদ

মোবাইল : ০১৭১৭-৯৯২০০৯ (নিউজ) বিজ্ঞাপন : ০১৬৭০-৯০৭৩৬৮
ইমেইলঃ notunerkotha@gmail.com

দেশে HMPV ভাইরাসে আক্রান্ত নারীর মৃত্যু, বাড়ছে আতঙ্ক

মতলব উত্তরে হাসপাতাল নির্মাণের কাজে বাঁধা : এলাকায় তোলপাড়

আপডেট: ০৩:৫৭:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ জুন ২০১৯

মতলব উত্তর ব্যুরো :
মতলব উত্তর উপজেলার আমেনা জহির ফাউন্ডেশন কর্তৃক প্রস্তাবিত ‘ডায়াবেটিক ও হাইপারটেনশন হাসপাতাল’ নির্মাণের জন্য শনিবার মাটি ভরাটের কাজ শুরু হয়। ওই কাজে এলাকার একটি কুচক্রি মহল বাঁধা প্রদান ও থানায় অভিযোগ দায়ের করলে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়।
জানা গেছে, লুধুয়া গ্রামের কৃতি সন্তান ইউএনডিপি’র সদস্য ডা. এমদাদুল হক মানিক নিজ গ্রামের মানুষের কল্যাণের কথা চিন্তা করে এলাকাবাসীর দাবীর পরিপেক্ষিতে একটি ডায়াবেটিক ও হাইপারটেনশন হাসপাতাল নির্মাণ করার উদ্যোগ গ্রহন করেন। এ লক্ষ্যে লুধুয়া গ্রামে মতলব-ছেঙ্গারচর আঞ্চলিক মহাসড়ক সংলগ্ন তার নিজ জায়গা ভরাটের কাজ শুরু করেন। কিন্তু স্থানীয় গ্রামের হাশেম মিয়াসহ কয়েকজন সরকারি জায়গা দাবী করে কাজে বাঁধা প্রদান এবং থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর লুধুয়া গ্রামের শত শত নারী-পুরুষ থানায় ও উপজেলা চেয়ারম্যানের কাছে গিয়ে হাসপাতাল নির্মাণের কাজে জোড় সমর্থন জানান।
এলাকাবাসী জানায়, আমাদের এখানে একটি হাসপাতাল নির্মাণ হলে এলাকাবাসীর অনেক উপকার হবে। মতলব, চাঁদপুর এমনকি ঢাকায় যেতে হবে না। বাড়ির পাশেরই আধুনিক চিকিৎসা সেবা পাবো। কিন্তু এলাকার একটি মহল চাইছে না এ হাপতালটি হোক। ফতেপুর পূর্ব ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম নবী বাদল ও স্থানীয় ইউপি সদস্য গোলাম জিলানীসহ অনেক লোকজন বলেন, হাসপাতালটি আমাদের জরুরী প্রয়োজন। এটি হলে মতলব উত্তরবাসীর অনেক উপকার হবে। ডায়াবেটিস ও হাইপারটেনশন জনিত রোগে ঢাকায় যেতে হবে না। আমরা সকল বাঁধা বিপত্তি ও অসংকোচ পেরিয়ে কাজে এগিয়ে যাবো। তাদের এ বাঁধা সম্পূর্ণ অন্যায়। হাসপাতাল নির্মাণে অবৈধভাবে বাঁধা দিয়ে তারা কিছুই করতে পারবে না।
ডা. এমদাদুল হক মানিক বলেন, আমি আমার এলাকাবাসীর কল্যাণের কথা চিন্তা করে একটি হাসপাতাল নির্মাণের কাজ শুরু করেছি। সম্পূর্ণ হাসপাতালটি আমার ব্যক্তিগত জায়গায় নির্মাণ হবে। শুধু মাত্র যাতায়াতের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) সামান্য একটিু জায়গা নিয়েছি। সেটা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে লিজ আনা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, শুধু হাসপাতালই নয়, আমার বাড়ির পাশে ডাকঘর নির্মাণ ও কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণের জন্য আমি ব্যক্তিগত জায়গা দিয়েছি শুধু মানুষের কল্যাণের কথা চিন্তা করে।
বাঁধা প্রদানকারী হাশেম মিয়া বলেন, আমার জানামতে হাসপাতাল নির্মাণের স্থানে পাউবোর জায়গা পড়েছে। তাই থানায় অভিযোগ দিয়েছি।
মতলব উত্তর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মুরশেদুল আলম ভুইয়া বলেন, এ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ পেয়েছি। কাগজপত্র দেখে তদন্ত সাপেক্ষে একটি সঠিক সিদ্ধান্তে যাবো।