তুমি কি দেখো না,প্রাতের সেই মৃদু আলোর বিপরীতে নেমে আসে সন্ধ্যার পরিচিত কালো,হারিয়ে দিনের তীব্র রোদ।
তীব্র গতিতে ধেয়ে আসা সেই কাল বৈশাখী ঝড়ও এক সময় নিঃশেষ হয়ে যায়।
পাখির মত উড়বার সেই ছোট্ট স্বপ্নটাও একদিন অলস হয়ে পড়ে,
নিত্যনতুন স্বপ্নের বাজারে আজ দিশেহারা আত্মা।
পুড়িয়ে যায়,প্রাত্রের রাখা সেই জলটুকুও একদিন একক ফোঁটায় পরিণত হয়,একসময় তাও শুষে নেয় রবি।
পিশাচী রূপ ধারণ করা সেই টর্নেডোও এক সময় থেমে যায়, ফিরে যায় নতুন উৎসে।
গ্রীষ্মের সেই পরিচিত রৌদ্রোজ্জ্বল দুপুরটিও পরিণত হয় বৃষ্টির রাজ্যে।
মাথায় উপর চলতে থাকা পাখাটাও একসময় বন্ধ হয়ে যায়।
মাইগ্রেশানে থাকা পাখিটির ক্লান্তি এসে যায়,সেও বিশ্রাম নেয়।
হাইজেনবার্গের অনিশ্চয়তার নীতিও অনিশ্চিত থেকে যায়,নতুন করে শুরু করবার চেষ্টা নেই।
মহাকাশে পাড়ি দেওয়া নভোচারীও ফিরে আসে,সেও পরিবর্তন চায়।
আড্ডা প্রিয় তরুণও একসময় বাড়ি ফিরে আসে,কিছু পিছুটান থেকে যায়।
প্রিয় সেই চায়ের দোকানটিও কোনো এক বহুতল ভবনের চাপে পিষে যায়।
সহোদর খ্যাত সেই বন্ধুটিও পিছু হটে,হয়তো নতুনত্বের লোভে।
বাবার দেওয়া নীল হাতঘড়ি এখন ছোট্ট জারিফের খেলনা।
অহংকারী তেজী কুকুরটাও আজ অস্তিত্বহীন,সেও থেকে যায়নি।
চির পরিচিত কাঠের টেবিলটাও ভেঙে যায়,পরিণত হয় উনুনের সহায়কে।
কৃষকের ক্লান্তি লাঘবে বইতে থাকে দক্ষিণা বাতাস,সেও হারিয়ে যায় প্রান্তে।
প্রিয় সেই পুতুলটিও পড়ে থাকে ঘরের এক কোণে শুধু নতুনটির ব্যবহারে।
বাবার দেওয়া কালো শার্টটি আজ কোথায় আছে? জানি নে।
শুধু জানি রঙবেরঙে শার্টে আজ ভরপুর এই জীবন।
প্রিয়তমেষু, জগতের সব কিছুই রূপ বদলায়,বদলায় তাদের গতিপথ।
বদলানোতেই তারা পায় সুখ।
কিন্তু তোমার প্রতি আমার ভালোবাসা, আমার সেই প্রেমটুকু ফুরাবার নয়।
জগৎ সংসার ত্যাগে পরকালের সেই দোরগোড়ায় আমি অপেক্ষায় থাকব,
তবুও আমি বিশ্বাস করি তুমি আমার হবে।
আমি জগতের বদলানো রুখে দিবো আমার ভালোবাসার তীব্রতা প্রমাণে।
ফাহাদ মজুমদার