মতলব উত্তরে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতে হার্ডলাইনে ইউএনও

  • আপডেট: ০৪:৪৯:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ এপ্রিল ২০২০
  • ২৩

মনিরুল ইসলাম মনির :

প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে মতলব উত্তর উপজেলা প্রশাসন সামাজিক দূূরত্ব নিশ্চিত করতে নানা পদক্ষেপ নিলেও সচেতনতার এসব কার্যক্রম মানছেন না সাধারণ মানুষ। এমন অবস্থায় হার্ডলাইনে উপজেলা প্রশাসন। লকডাউনেও চাঁদপুর, মুন্সিগঞ্জ ও কুমিল্লা জেলার মানুষ কালিরবাজারে মিলিত হয়ে কেনাকাটা করছে। দূরত্ব সৃষ্টি করতে ইউএনও এএম জহিরুল হায়াত কঠোর নির্দেশনা প্রদান করেছেন। চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার কালির বাজরে পার্শ্ববর্তী জেলা মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া ও কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি উপজেলার ক্রেতা-বিক্রেতারা সকালে বাজার করা জন্য আসলে নদী পথে ট্রলারে ৫জনের বেশি লোক না আসতে বলা হয়। সকাল ১০টার মধ্যে কেনাকাটা করে এ উপজেলা ত্যাগ করার জন্য বলা হয়।

আরো পড়ুন: প্রতি রাতে ছিন্নমূল ও সুবিধাবঞ্চিতদের খাবার বিতরণ করছেন এক ঝাঁক তরুণ

শুক্রবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার উত্তর-পূর্ব সীমানায় কালিরবাজার (মিয়ার বাজার) এ করোনা মোকাবেলায় সামাজিক দূরত্বে থেকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করা, অন্য জেলা থেকে আগত ক্রেতা-বিক্রেতা কিভাবে বাজারে না আসতে নিরুৎসাহিত করা যায় এ জন্য বাজার পরিদর্শন করেন ইউএনও এএম জহিরুল হায়াত। এ সময় মতলব উত্তর থানার ওসি মো. নাছির উদ্দিন মৃধা ও বেলতলী নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মো. আবু তাহের, বাগানবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নান্নু মিয়া, উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, কালির বাজার পরিচালনা কমিটির সভাপতি আবদুর রহমান বকাউল, সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম খলিল, সমাজসেবক হাজী খোরশেদ আলম, ইউপি সদস্য মো. মিলন মিয়া, মো. মাসুম মিয়া, সমাজসেবক আবদুল মান্নান মাষ্টার’সহ বাজারের ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধকল্পে চাঁদপুর মতলব উত্তর উপজেলার ১৪ ইউনিয়ন ও এক পৌরসভার সর্বস্তরের জনসাধারণের মাঝে সচেতনতা তৈরি এবং নিত্যপণ্যের বাজার স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে মাঠ পর্যায়ে হার্ডলাইনে রয়েছে উপজেলা প্রশাসন।

আরো পড়ুন:রাতের অন্ধকারে দরিদ্র ও মধ্যবিত্তদের জন্য ত্রাণ নিয়ে যাচ্ছেন অতিরিতক্ত পুলিশ সুপার আফজাল হোসেন

ইতোমধ্যে সরকারি নির্দেশনার আলোকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এএম জহিরুল হায়াত এর তত্ত্ববাবধানে প্রতি এলাকায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে উপজেলা প্রশাসনের মাঠপর্যায়ে কাজ করেছেন। প্রতি জনপদে চলছে প্রশাসনের টহল। প্রতিদিনই ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানসহ চলছে পুলিশের কঠোর অভিযান।

আরো পড়ুন: হাজীগঞ্জবাসিকে সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচাতে লকডাউন আরো কঠের হতে হবে

তিনি বাজার মনিটরিং এবং স্থানীয় জনসাধারণকে করোনা প্রাদুর্ভাব সম্পর্কে সচেতনতামূলক দিকনির্দেশনা দেন। ইউএনও এএম জহিরুল হায়াত বলেন, বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে বিরামহীনভাবে কাজ করে যাচ্ছে প্রশাসন। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারমূল্য স্থিতিশীল রাখতে উপজেলা প্রশাসনের নিয়মিত মনিটরিং অব্যাহত রয়েছে। বিনা কারণে বাড়ির বাইরে না আসার জন্য লোকজনকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

ভারতে মসজিদের স্থানে মন্দির দাবি করে জরিপের চেস্টায় উত্তেজনা, পুলিশের গুলিতে ৩ মুসল্লি নিহত (ভিডিওসহ)

মতলব উত্তরে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতে হার্ডলাইনে ইউএনও

আপডেট: ০৪:৪৯:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ এপ্রিল ২০২০

মনিরুল ইসলাম মনির :

প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে মতলব উত্তর উপজেলা প্রশাসন সামাজিক দূূরত্ব নিশ্চিত করতে নানা পদক্ষেপ নিলেও সচেতনতার এসব কার্যক্রম মানছেন না সাধারণ মানুষ। এমন অবস্থায় হার্ডলাইনে উপজেলা প্রশাসন। লকডাউনেও চাঁদপুর, মুন্সিগঞ্জ ও কুমিল্লা জেলার মানুষ কালিরবাজারে মিলিত হয়ে কেনাকাটা করছে। দূরত্ব সৃষ্টি করতে ইউএনও এএম জহিরুল হায়াত কঠোর নির্দেশনা প্রদান করেছেন। চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার কালির বাজরে পার্শ্ববর্তী জেলা মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া ও কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি উপজেলার ক্রেতা-বিক্রেতারা সকালে বাজার করা জন্য আসলে নদী পথে ট্রলারে ৫জনের বেশি লোক না আসতে বলা হয়। সকাল ১০টার মধ্যে কেনাকাটা করে এ উপজেলা ত্যাগ করার জন্য বলা হয়।

আরো পড়ুন: প্রতি রাতে ছিন্নমূল ও সুবিধাবঞ্চিতদের খাবার বিতরণ করছেন এক ঝাঁক তরুণ

শুক্রবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার উত্তর-পূর্ব সীমানায় কালিরবাজার (মিয়ার বাজার) এ করোনা মোকাবেলায় সামাজিক দূরত্বে থেকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করা, অন্য জেলা থেকে আগত ক্রেতা-বিক্রেতা কিভাবে বাজারে না আসতে নিরুৎসাহিত করা যায় এ জন্য বাজার পরিদর্শন করেন ইউএনও এএম জহিরুল হায়াত। এ সময় মতলব উত্তর থানার ওসি মো. নাছির উদ্দিন মৃধা ও বেলতলী নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মো. আবু তাহের, বাগানবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নান্নু মিয়া, উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, কালির বাজার পরিচালনা কমিটির সভাপতি আবদুর রহমান বকাউল, সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম খলিল, সমাজসেবক হাজী খোরশেদ আলম, ইউপি সদস্য মো. মিলন মিয়া, মো. মাসুম মিয়া, সমাজসেবক আবদুল মান্নান মাষ্টার’সহ বাজারের ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধকল্পে চাঁদপুর মতলব উত্তর উপজেলার ১৪ ইউনিয়ন ও এক পৌরসভার সর্বস্তরের জনসাধারণের মাঝে সচেতনতা তৈরি এবং নিত্যপণ্যের বাজার স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে মাঠ পর্যায়ে হার্ডলাইনে রয়েছে উপজেলা প্রশাসন।

আরো পড়ুন:রাতের অন্ধকারে দরিদ্র ও মধ্যবিত্তদের জন্য ত্রাণ নিয়ে যাচ্ছেন অতিরিতক্ত পুলিশ সুপার আফজাল হোসেন

ইতোমধ্যে সরকারি নির্দেশনার আলোকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এএম জহিরুল হায়াত এর তত্ত্ববাবধানে প্রতি এলাকায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে উপজেলা প্রশাসনের মাঠপর্যায়ে কাজ করেছেন। প্রতি জনপদে চলছে প্রশাসনের টহল। প্রতিদিনই ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানসহ চলছে পুলিশের কঠোর অভিযান।

আরো পড়ুন: হাজীগঞ্জবাসিকে সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচাতে লকডাউন আরো কঠের হতে হবে

তিনি বাজার মনিটরিং এবং স্থানীয় জনসাধারণকে করোনা প্রাদুর্ভাব সম্পর্কে সচেতনতামূলক দিকনির্দেশনা দেন। ইউএনও এএম জহিরুল হায়াত বলেন, বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে বিরামহীনভাবে কাজ করে যাচ্ছে প্রশাসন। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারমূল্য স্থিতিশীল রাখতে উপজেলা প্রশাসনের নিয়মিত মনিটরিং অব্যাহত রয়েছে। বিনা কারণে বাড়ির বাইরে না আসার জন্য লোকজনকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।