• ঢাকা
  • সোমবার, ১৩ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৩০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ২৯ মার্চ, ২০২০
সর্বশেষ আপডেট : ২৯ মার্চ, ২০২০

করোনা থেকে নিরাপদ থাকতে যা যা করতে হবে

অনলাইন ডেস্ক
[sharethis-inline-buttons]

অনলাইন ডেস্ক

সারাবিশ্বে করোনাভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা ৩০ হাজার ছাড়িয়েছে। বাংলাদেশে এই ভাইরাসে এখন পর্যন্ত ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই ভাইরাসের কোনো প্রতিষেধক বা টিকা এখনও আবিষ্কৃত হয়নি। তাই নিরাপদে থাকতে হলে প্রতিরোধই হলো একমাত্র ব্যবস্থা।

করোনা থেকে নিজে ও পরিবারকে নিরাপদ রাখতে আমাদের কিছু পন্থা মানতে হবে। করোনাভাইরাস থেকে নিজেকে ও পরিবারের অন্য সদস্যদের নিরাপদ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

আসুন জেনে নিই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দেয়া নির্দেশাবলি–

হাত ধোয়া

বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড সাবান দিয়ে ভালোভাবে হাত ধুয়ে নিতে হবে। আর সাবান ছাড়াও বিকল্প হিসেবে ৬০ শতাংশ অ্যালকোহল আছে এমন ‘হ্যান্ড স্যানিটাইজার’ ব্যবহার করতে পারেন। হাত শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত হাতে মাখাতে হবে। এ ছাড়া খাওয়ার আগে ও পরে হাঁচি-কাশি দিলে, শৌচাগার ব্যবহারের পরও হাত পরিষ্কার করতে হবে।

দূরত্ব বজায় রাখা

কেউ হাঁচি-কাশি দিলে তার থেকে এক মিটার দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। কারণ এ ভাইরাস ‘ড্রপলেট’ হাঁচি-কাশির তরলের ফোঁটার মাধ্যমে ছড়ায়। ফলে আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি-কাশির সঙ্গে বেরিয়ে আসা লালা বা ‘ড্রপলেট’ আপনার শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে সহজেই সংক্রমিত হতে পারে।

হাঁচি-কাশির সময় মুখ ঢাকতে হবে

হাঁচি-কাশির সময় অবশ্যই মুখ ঢাকতে হবে। করোনা ছাড়াও বিভিন্ন কারণে দিনে কয়েকবার হাঁচি-কাশির সমস্যা হতে পারে। তাই মুখ ঢাকার অভ্যাস করতে হবে। আর হাতের কাছে মুখ ঢাকার টিস্যু বা রুমাল না থাকলে কনুইয়ের ভাঁজ কাজে লাগাতে হবে। টিস্যু ব্যবহারের পর ময়লার ঝুড়িতে ফেলতে হবে।

মাস্ক পরতে হবে

সাধারণ সর্দিকাশি হলেও মুখে মাস্ক পরতে হবে। আর হাঁচি-কাশি দিতে হবে মাস্ক পরেই। যারা সুস্থ আছেন তারা ঘরে না পরলেও বাইরে বের হওয়ার সময় মাস্ক পরতে হবে। কোনো রোগীর সেবা করার ক্ষেত্রে মাস্ক পরতেই হবে। সঠিকভাবে মাস্ক পরার পদ্ধতিও জেনে নিতে হবে।

কোয়ারেন্টিন সবচেয়ে নিরাপদ

মহামারীর এই সময় নিজেকে ঘরে বন্দি রাখা হচ্ছে সবচেয়ে নিরাপদ উপায়। প্রয়োজনীয় পণ্য, ওষুধ, কাঁচাবাজার, জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হবেন না। এ ছাড়া পোষা প্রাণীদের সংস্পর্শও এড়াতে হবে। কারণ এসব প্রাণীও ভাইরাস বহন করতে পারে।

নিত্যব্যবহার্য অনুষঙ্গ পরিষ্কার

মোবাইল, মানিব্যাগ, দরজার হাতল, সুইচ, পানির কলসহ নিত্যব্যবহার্য অনুষঙ্গ পরিষ্কার রাখতে হবে। নিত্যব্যবহার্য এসব অনুষঙ্গ জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।

ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা এড়িয়ে চলুন

করোনাভাইরাসে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলো এড়িয়ে চলতে হবে। সংবাদমাধ্যমগুলো থেকে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা সম্পর্কে তথ্য পেতে পারেন। এ ছাড়া বৃদ্ধ, ডায়াবেটিস, হাঁপানি, হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের সাবধানে রাখতে হবে।

ভ্রমণে যাবেন না

এ সময় কোনোভাবে ভ্রমণ করা যাবে না। কারণ আপনার মাধ্যমেও ভাইরাস কোনো নিরাপদ এলাকায় ছড়িয়ে যেতে পারে। তাই যে যেখানে আছেন, সেখানেই অবস্থান করুন।

চিকিৎসা

করোনাভাইরাসের কোনো লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

Sharing is caring!

[sharethis-inline-buttons]

আরও পড়ুন

  • স্বাস্থ্য কথা এর আরও খবর
error: Content is protected !!