• ঢাকা
  • সোমবার, ১৩ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৩০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ২১ মার্চ, ২০২০
সর্বশেষ আপডেট : ২১ মার্চ, ২০২০

করোনা থেকে বাঁচতে যে ৯টি নিয়ম আপনাকে মানতেই হবে

অনলাইন ডেস্ক
[sharethis-inline-buttons]

অনলাইন ডেস্ক:

করোনাভাইরাসের কারণে আতঙ্কের মধ্য দিয়ে দিন পার করছে সারাবিশ্বের মানুষ। এর জেরে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা আরো কঠিন হয়ে পড়ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, করোনাভাইরাস ছড়িয়ে যাওয়া ঠেকাতে কিছু অভ্যাস আসলেই পরিবর্তন করা দরকার। আর এসব অভ্যাস পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে নিজের যেমন ঝুঁকি কমে, অন্যরাও ঝুঁকি থেকে বাঁচে।

হাত মেলানো

দিনের পর দিন করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। আক্রান্ত হওয়া থেকে বাঁচতে অন্যের সঙ্গে হাত মেলাতে নিষেধ করেছে বিশেষজ্ঞরা। কারণ, হাত মেলানোর ফলে জীবাণু ছড়িয়ে পড়ে।

সামাজিকতা পরিহার

রেস্টুরেন্ট, নাইট ক্লাব, চার্চ, মসজিদ, বিয়ের অনুষ্ঠান কিংবা শেষকৃত্যে অংশ নেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। প্রতিদিন বাইরে যেভাবে ঘুরে বেড়াতেন, সেটাও কমিয়ে নিয়ে আসতে হবে। সরকারিভাবে এরই মধ্যে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করেছে। সেহেতু সামাজিকতা রক্ষা করতে গিয়ে বিপাকে পড়া থেকে বিরত থাকাই উচিৎ। বন্ধু-বান্ধবদের এই অসময়ে এড়িয়ে চলার বিকল্প নেই।

টাকা

টাকা লেনদেনের মাধ্যমে কিন্তু হাতে জীবাণু লেগে যায়। প্রয়োজনে টাকা স্পর্শ করলে হাত ধুয়ে ফেলতে হবে। তবে নগদ টাকা ছাড়া কার্ড কিংবা অনলাইনে পেমেন্ট করা ভালো।

অফিসে যাওয়া

বিভিন্ন দেশে স্কুল কলেজের পাশাপাশি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কর্মীদের ঘরে বসে কাজ করার কথা বলা হচ্ছে। আমাদের দেশেও বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা বাড়িতে থেকে কাজ করছেন। সে ক্ষেত্রে বাড়িতে থেকে কাজ করা সম্ভব হলে, অফিসে না যাওয়া ভালো।

জীবাণুমুক্ত থাকা

নিজে সর্বোচ্চ পর্যায়ের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকার অভ্যাস করতে হবে। হাত ধোয়ার সময় সাবান কিংবা হ্যান্ডওয়াশ ব্যবহার তরতে হবে। পানি না থাকলে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করা যাবে।

চলাচলে নিয়ন্ত্রণ

চীনে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়তেই উহান শহর লকডাউন করে দেওয়া হয়। পরে পুরো চীন লকডাউনে চলে যায়। ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে বিভিন্ন দেশ সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে। এরকম পরিস্থিতিতে নিজেদের অবাধ চলাচল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা দরকার।

খরচ কমানো

সারাবিশ্বের বিভিন্ন খাত করোনাভাইরাসের কারণে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। বহু মানুষ বেকার হয়ে পড়েছে। দীর্ঘ সময় ধরে ঘরে বসে থাকতে হচ্ছে মানুষজনকে। সবমিলিয়ে বৈশ্বিকভাবে অর্থনৈতিক মন্দার শঙ্কা রয়েছে। এমতাবস্থায় খরচ কমানোর বিকল্প নেই। প্রয়োজনীয় সামগ্রী, খাবার এবং জীবাণু থেকে বাঁচার সরঞ্জাম কিনতে হবে। বাড়তি খরচ এখন না করাই ভালো।

অনলাইনে কেনাকাটা

কেনাকাটার জন্য শপিংমলে না গিয়ে অনলাইনেই কাজটি সেরে নিতে পারেন। এতে করে জনসমাগম যেমন এড়ানো যাবে, ঘরে বসেই ডেলিভারি পাবেন। সেই সঙ্গে দেশের ই-কমার্স কিছুটা গতি পাবে।

চিকিৎসা নেওয়া

অনেকেই একেবারে খারাপ পরিণতি হওয়া পর্যন্ত চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার ব্যাপারে উদাসীনতা দেখান। এটা করবেন না। আবার হালকা সমস্যা হলেই হাসপাতালে দৌড় দেবেন না। বিষয়টি সুচিন্তিতভাবে ভেবে দেখুন। তারপরই সিদ্ধান্ত নিন।

Sharing is caring!

[sharethis-inline-buttons]

আরও পড়ুন

  • স্বাস্থ্য কথা এর আরও খবর
error: Content is protected !!