চরমেশা শ্রী শ্রী ভক্তিবেদান্ত গীতা স্কুল ও বৈদিক শিক্ষালয়ের ধর্মীয় আলোচনা অনুষ্ঠান

  • আপডেট: ০৫:৫৯:১৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৯ মার্চ ২০২০
  • ৩৩

সদর প্রতিনিধি :
গত রবিবার বিকেলে চাঁদপুর সদর উপজেলা চরমেশা গ্রামের শ্রী শ্রী ভক্তিবেদান্ত গীতা স্কুল ও বৈদিক শিক্ষালয়ের উদ্যেগে শ্রী শ্রী কালি মন্দির প্রাঙ্গণে সাপ্তাহিক মন্দির ভিত্তিক নৈতিক ও সনাতন ধর্ম শিক্ষার গীতার স্কুল আয়োজনে উক্ত অনুষ্টানের শ্রীধাম চন্দ্র দাস (জয়) সভাপত্বিতে এবং অর্জুন দাস, সাধারণ সম্পাদক এর পরিচালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শ্রীমৎ ধ্রুব চৈতন্য, প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি-বাংলাদেশ লোকনাথ গীতা প্রচার সংঘ, শ্রীশ্রী লোকনাথ ব্রহ্মচারী আশ্রম ও মন্দির, ৮৪/১ স্বামীবাগ রোড ঢাকা। শ্রীমৎ ধ্রুব চৈতন্য ভক্তগণকে বলেন, প্রত্যেকে গীতা মুখী হতে হবে এবং অন্যদের গীতা পাঠে আগ্রহী করে তুলতে হবে। নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত হলে আর বাবা, মা বৃদ্ধাআশ্রমে যেতে হবে না। এভাবে গীতা আলো ছড়িয়ে পড়ুবে প্রতি ঘরে ঘরে, গীতা শুধু একটা জাতি বা একটা সম্প্রদায়ের জন্য নয়। তাই ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বলেন হে অর্জুন আমি গীতা জ্ঞানে ত্রিলোক পরিচালনা করি। যুব ছেলেরা যে ভাবে প্রতিটি গ্রামে গ্রামে গীতা স্কুল খুলছে এক দিন এই স্কুল গুলো থেকে কোন একটি পরিবর্তন আমাদের সমাজে ঘটবে। তাঁরা গীতাকে ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়ার জন্য কাজ করছে তাদের ধন্যবাদ জানাই। আমার অন্য ধর্মীর অমঙ্গল চাইন না আমার আমাদের ধর্ম জানি এটা চাই। কারণ আমার সনাতন ধর্মের অধিকারী। সনাতন ধর্ম সকল ধর্মকে শ্রদ্ধা করি। এবং সম্মান দেখায়। তিনি আরো বলেন এই চাঁদপুরে যতটি গীতা শিক্ষালয়ে যত গীতার প্রয়োজন হবে সেগুলো বিনামূল্যে বাংলাদেশ লোকনাথ গীতা প্রচার সংঘের পক্ষ হতে প্রদান করা হবে। বিশেষ অথিতির বক্তব্য বাংলাদেশ লোকনাথ প্রচার সংঘের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক প্রদীব চন্দ্র বলেন আমাদের সমাজ ব্যবস্থাকে পরিবর্তন করতে হলে গীতা ও ধর্মীয় শিক্ষার প্রচার আরো বাড়াতে হবে। তিনি আরো বলেন আমাদের পরিবার থেকে এ শিক্ষার জন্য তাগিদ দিয়ে এই অজপাড়া গায়ে এক জাক তরুনেরা যে উদ্যেগ গ্রহণ করেছে আমি বিশেষ ভাবে তাদের ধন্যবাদ ও নমষ্কার জানাই। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ লোকনাথ প্রচার সংঘের চাঁদপুর জেলা সমন্বয়ক সাংবাদিক সুজন দাস বলেন প্রতিটি মন্দির হোক ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষালয়, গীতা শিক্ষা ও গীতার প্রচার সকল সনাতন ধর্মের লোকদের কাছে পৌছাতে হবে। সনাতন শব্দ অর্থ জানলে আমার সবাই ভালো ভাবে চলতে পারবো। বাংলাদেশ লোকনাথ প্রচার সংঘের চাঁদপুর জেলা সমন্বয়ক শুভ দীপ বলেন, তিনটি গুনের সমন্বয়ে মানুষ, সত্ত্ব, রজ ও তম । এর মধ্যে রজ ও তম এই দুইটি গুনকে সম্পূর্ন্নরুপে ত্যাগ করতে পারলে মানুষ হতে পারবে। তিনি নিজে প্রশ্ন করেন এবং তিনিই উত্তর প্রদান করেন। তিনি বলেন, গীতা পাঠ করলে আত্ম তৃপ্তি লাভ হয়। সবাইকে গীতা পাঠ করার জন্য তিনি উব্ধুদ্ধ করেন। হাজীগঞ্জ হিন্দু পরিবার ও বাংলাদেশ লোকনাথ গীতা প্রচার সংঘ কার্যকর্তা মিঠুন দাস ও হাজীগঞ্জ হিন্দু পরিবার প্রচার সম্পাদক প্রিতমসহ চরমেশা শ্রী শ্রী ভক্তিবেদান্ত গীতা স্কুল ও বৈদিক শিক্ষালয় পরিচালা কর্তপক্ষের সকল সদস্যরা উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলো।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটি সদস্য মোতাহার হোসেন পাটোয়ারী’র সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ব্যাপক জনসমাগম

চরমেশা শ্রী শ্রী ভক্তিবেদান্ত গীতা স্কুল ও বৈদিক শিক্ষালয়ের ধর্মীয় আলোচনা অনুষ্ঠান

আপডেট: ০৫:৫৯:১৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৯ মার্চ ২০২০

সদর প্রতিনিধি :
গত রবিবার বিকেলে চাঁদপুর সদর উপজেলা চরমেশা গ্রামের শ্রী শ্রী ভক্তিবেদান্ত গীতা স্কুল ও বৈদিক শিক্ষালয়ের উদ্যেগে শ্রী শ্রী কালি মন্দির প্রাঙ্গণে সাপ্তাহিক মন্দির ভিত্তিক নৈতিক ও সনাতন ধর্ম শিক্ষার গীতার স্কুল আয়োজনে উক্ত অনুষ্টানের শ্রীধাম চন্দ্র দাস (জয়) সভাপত্বিতে এবং অর্জুন দাস, সাধারণ সম্পাদক এর পরিচালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শ্রীমৎ ধ্রুব চৈতন্য, প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি-বাংলাদেশ লোকনাথ গীতা প্রচার সংঘ, শ্রীশ্রী লোকনাথ ব্রহ্মচারী আশ্রম ও মন্দির, ৮৪/১ স্বামীবাগ রোড ঢাকা। শ্রীমৎ ধ্রুব চৈতন্য ভক্তগণকে বলেন, প্রত্যেকে গীতা মুখী হতে হবে এবং অন্যদের গীতা পাঠে আগ্রহী করে তুলতে হবে। নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত হলে আর বাবা, মা বৃদ্ধাআশ্রমে যেতে হবে না। এভাবে গীতা আলো ছড়িয়ে পড়ুবে প্রতি ঘরে ঘরে, গীতা শুধু একটা জাতি বা একটা সম্প্রদায়ের জন্য নয়। তাই ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বলেন হে অর্জুন আমি গীতা জ্ঞানে ত্রিলোক পরিচালনা করি। যুব ছেলেরা যে ভাবে প্রতিটি গ্রামে গ্রামে গীতা স্কুল খুলছে এক দিন এই স্কুল গুলো থেকে কোন একটি পরিবর্তন আমাদের সমাজে ঘটবে। তাঁরা গীতাকে ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়ার জন্য কাজ করছে তাদের ধন্যবাদ জানাই। আমার অন্য ধর্মীর অমঙ্গল চাইন না আমার আমাদের ধর্ম জানি এটা চাই। কারণ আমার সনাতন ধর্মের অধিকারী। সনাতন ধর্ম সকল ধর্মকে শ্রদ্ধা করি। এবং সম্মান দেখায়। তিনি আরো বলেন এই চাঁদপুরে যতটি গীতা শিক্ষালয়ে যত গীতার প্রয়োজন হবে সেগুলো বিনামূল্যে বাংলাদেশ লোকনাথ গীতা প্রচার সংঘের পক্ষ হতে প্রদান করা হবে। বিশেষ অথিতির বক্তব্য বাংলাদেশ লোকনাথ প্রচার সংঘের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক প্রদীব চন্দ্র বলেন আমাদের সমাজ ব্যবস্থাকে পরিবর্তন করতে হলে গীতা ও ধর্মীয় শিক্ষার প্রচার আরো বাড়াতে হবে। তিনি আরো বলেন আমাদের পরিবার থেকে এ শিক্ষার জন্য তাগিদ দিয়ে এই অজপাড়া গায়ে এক জাক তরুনেরা যে উদ্যেগ গ্রহণ করেছে আমি বিশেষ ভাবে তাদের ধন্যবাদ ও নমষ্কার জানাই। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ লোকনাথ প্রচার সংঘের চাঁদপুর জেলা সমন্বয়ক সাংবাদিক সুজন দাস বলেন প্রতিটি মন্দির হোক ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষালয়, গীতা শিক্ষা ও গীতার প্রচার সকল সনাতন ধর্মের লোকদের কাছে পৌছাতে হবে। সনাতন শব্দ অর্থ জানলে আমার সবাই ভালো ভাবে চলতে পারবো। বাংলাদেশ লোকনাথ প্রচার সংঘের চাঁদপুর জেলা সমন্বয়ক শুভ দীপ বলেন, তিনটি গুনের সমন্বয়ে মানুষ, সত্ত্ব, রজ ও তম । এর মধ্যে রজ ও তম এই দুইটি গুনকে সম্পূর্ন্নরুপে ত্যাগ করতে পারলে মানুষ হতে পারবে। তিনি নিজে প্রশ্ন করেন এবং তিনিই উত্তর প্রদান করেন। তিনি বলেন, গীতা পাঠ করলে আত্ম তৃপ্তি লাভ হয়। সবাইকে গীতা পাঠ করার জন্য তিনি উব্ধুদ্ধ করেন। হাজীগঞ্জ হিন্দু পরিবার ও বাংলাদেশ লোকনাথ গীতা প্রচার সংঘ কার্যকর্তা মিঠুন দাস ও হাজীগঞ্জ হিন্দু পরিবার প্রচার সম্পাদক প্রিতমসহ চরমেশা শ্রী শ্রী ভক্তিবেদান্ত গীতা স্কুল ও বৈদিক শিক্ষালয় পরিচালা কর্তপক্ষের সকল সদস্যরা উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলো।