আমাদের দক্ষ জনশক্তি তৈরি করতে হবে : প্রধানমন্ত্রী

  • আপডেট: ০৮:২৫:০৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৪ মার্চ ২০২০
  • ১৮

অনলাইন ডেস্ক:

ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের (এসএমই) মাধ্যমে সুনীল অর্থনীতির বিকাশ ঘটাতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, বাংলাদেশকে এতদিন সবাই সস্তা শ্রমের দেশ হিসেবে গণ্য করত। আমরা চাই, দেশের মানুষ উপযুক্তভাবে গড়ে উঠুক। আমাদের যাতে কেউ সস্তা শ্রমের দেশ মনে না করে। আমাদের দক্ষ জনশক্তি তৈরি করতে হবে।

বুধবার (৪মার্চ) সকালে রাজধানীর খামারবাড়িতে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন এসএমই পণ্য মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে আজ থেকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে নয় দিনব্যাপী ‘৮ম জাতীয় এসএমই পণ্য মেলা-২০২০’ শুরু হবে। মেলা চলবে আগামী ১২ মার্চ পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মেলা চলবে এবং সবার জন্য তা উন্মুক্ত থাকবে।

মেলার উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বিশাল সমুদ্রসীমা আমরা অর্জন করেছি। এই সমুদ্র সম্পদকে আমাদের অর্থনীতিতে কাজে লাগাতে হবে। এর জন্য আামদের ব্যবস্থা নিতে হবে।’ এজন্য নতুন ও গভীর সমুদ্র বন্দর, নির্মাণ ও যোগাযোগ নেটওয়ার্কের সার্বিক উন্নয়নসহ বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের মেয়াদে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন তথা খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়াও চাষ উপযোগী জমি বাঁচাতে ও সেই লক্ষ্য নিয়ে একশ’টি বিশেষ শিল্পাঞ্চল গড়ে তোলা হয়েছে বলেও জানান তিনি। এসব অর্থনৈতিক অঞ্চলে নারী উদ্যোক্তারা যাতে বিশেষ সুবিধা পায়, সে ব্যাপারেও বিশেষ নির্দেশনা রয়েছে বলে জানান তিনি।

আরও বেশি নারী উদ্যোক্তা তৈরির প্রত্যাশা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সেদিকে আমরা বিশেষ দৃষ্টি দিতে চাই। আমি আশা করব, আমাদের বোনেরা আরও একটু আগ্রহী হবেন। বোনেরা কেন, পুরুষরাও একটু চালাকি করতে পারেন? বউয়ের নামে নিলে তো সুবিধাই পাবেন, অসুবিধা হবে না। সেই সুযোগটাও নিতে পারেন আপনারা।’

শিল্পখাতকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা চাই, দেশটা এগিয়ে যাক। আমরা কৃষি প্রধান দেশ। কৃষিতে গবেষণা করছি। আমাদের এখন এগুলো প্রক্রিয়াজাত শিল্প গড়ে তোলা প্রয়োজন। যদি আমরা প্রক্রিয়াজাত করতে পারি, তাহলে তা বিদেশে রফতারি করতে পারব।’

দেশের তরুণ সমাজের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘শুধুমাত্র ডিগ্রি নিয়ে চললে হবে না। কারিগরি শিক্ষাকে আমরা গুরুত্ব দিয়েছি। দেশে বা বিদেশে যেখানেই কাজের খোঁজে যাক না কেন, সব জায়গাই কিন্তু এখন দক্ষ জনশক্তি চায়। সেই দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে আমরা গুরুত্ব দিয়ে যাচ্ছি। আমরা মনে করি, আমাদের গৃহীত পদক্ষেপের শুভফল মানুষ পাবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের যেমন নিজস্ব বাজার সৃষ্টি করতে হবে, সেইসঙ্গে নতুন নতুন বাজার অন্বেষণ করতে হবে। কোথায় আমরা নতুন বাজার পেতে পারি। কোন দেশে কোন ধরনের পণ্যের চাহিদা বেশি, সেটাও খুঁজে বের করা এবং সেই ধরনের পণ্য উৎপাদন করার উদ্যোগ আমাদের নিতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করি সার্বিকভাবে কাজ করতে। আশা করি আমাদের দেশ এগিয়ে যাবে। আর এসএমই ফাউন্ডেশনকে আমরা সবসময় গুরুত্ব দেই। তবে এখানে উদ্যোক্তার সংখ্যা যতটা আমরা আশা করি, ততটা আসে না।
এসএমই খাতে উৎপাদিত পণ্য বিশ্বমানের। এগুলোর সঙ্গে আামদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যও জড়িত। তাই এই খাতের উন্নয়নে আমাদের ঐতিহ্যবাহী পণ্যের পাশাপাশি উন্নত বিশ্বের চাহিদা নির্ভর রফতানিমুখী পণ্য উৎপাদনেও মনোনিবেশ করতে হবে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘পরীক্ষায় পাস করে চাকরির পেছনে না ছুটে ঋণ নিয়ে ক্ষুদ্র ব্যবসা শুরু করতে পারেন। অন্যান্য ঋণের সুদের হার অত্যন্ত বেশি। সেই সুদের হারও কমিয়ে আনার উদ্যোগ নিয়েছি। সিঙ্গেল ডিজিটে আমরা নামিয়ে আনতে চাচ্ছি; যাতে করে উদ্যোক্তারা সহজে ঋণ নিয়ে বিনিয়োগ করতে পারেন। সেই সুবিধাটা আমরা সৃষ্টি করে দিচ্ছি।’

সেরা উদ্যোক্তা হিসেবে পুরস্কারপ্রাপ্তদের অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যারা বড় বড় শিল্প করেন। তারাও কিন্তু ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা সৃষ্টি করতে পারেন। কারণ এই শিল্পের জন্য যা প্রয়োজন আমরা নিজের দেশেই কিন্তু তা করতে পারি। আমাদের ছেলেমেয়েরা অত্যন্ত মেধাবী। এটা আমি বিশ্বাস করি। একটু সুযোগ পেলেই তারা অসাধ্য সাধন করতে পারে। এতে কোনো সন্দেহ নাই। আমরা মেধা বিকাশেরও সুযোগ করে দিতে চাই।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের এই অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে হবে। আমরা বিজয়ী জাতি। বিজয়ী জাতি হিসেবে বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে চলব- এটাই আমাদের সিদ্ধান্ত। কারও দয়া ভিক্ষা করে নয়, কারও দান নিয়ে নয়- আমরা নিজেরাই নিজের পায়ে দাঁড়াব। নিজেরাই মাথা উঁচু করে সম্মানের সাথে চলব। জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত ও উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলব।’

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন শিল্প মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আমির হোসেন আমু এমপি, শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, শিল্প সচিব আব্দুল হালিম, এসএমএই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সফিকুল ইসলাম।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন নামঞ্জুর

আমাদের দক্ষ জনশক্তি তৈরি করতে হবে : প্রধানমন্ত্রী

আপডেট: ০৮:২৫:০৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৪ মার্চ ২০২০

অনলাইন ডেস্ক:

ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের (এসএমই) মাধ্যমে সুনীল অর্থনীতির বিকাশ ঘটাতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, বাংলাদেশকে এতদিন সবাই সস্তা শ্রমের দেশ হিসেবে গণ্য করত। আমরা চাই, দেশের মানুষ উপযুক্তভাবে গড়ে উঠুক। আমাদের যাতে কেউ সস্তা শ্রমের দেশ মনে না করে। আমাদের দক্ষ জনশক্তি তৈরি করতে হবে।

বুধবার (৪মার্চ) সকালে রাজধানীর খামারবাড়িতে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন এসএমই পণ্য মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে আজ থেকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে নয় দিনব্যাপী ‘৮ম জাতীয় এসএমই পণ্য মেলা-২০২০’ শুরু হবে। মেলা চলবে আগামী ১২ মার্চ পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মেলা চলবে এবং সবার জন্য তা উন্মুক্ত থাকবে।

মেলার উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বিশাল সমুদ্রসীমা আমরা অর্জন করেছি। এই সমুদ্র সম্পদকে আমাদের অর্থনীতিতে কাজে লাগাতে হবে। এর জন্য আামদের ব্যবস্থা নিতে হবে।’ এজন্য নতুন ও গভীর সমুদ্র বন্দর, নির্মাণ ও যোগাযোগ নেটওয়ার্কের সার্বিক উন্নয়নসহ বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের মেয়াদে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন তথা খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়াও চাষ উপযোগী জমি বাঁচাতে ও সেই লক্ষ্য নিয়ে একশ’টি বিশেষ শিল্পাঞ্চল গড়ে তোলা হয়েছে বলেও জানান তিনি। এসব অর্থনৈতিক অঞ্চলে নারী উদ্যোক্তারা যাতে বিশেষ সুবিধা পায়, সে ব্যাপারেও বিশেষ নির্দেশনা রয়েছে বলে জানান তিনি।

আরও বেশি নারী উদ্যোক্তা তৈরির প্রত্যাশা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সেদিকে আমরা বিশেষ দৃষ্টি দিতে চাই। আমি আশা করব, আমাদের বোনেরা আরও একটু আগ্রহী হবেন। বোনেরা কেন, পুরুষরাও একটু চালাকি করতে পারেন? বউয়ের নামে নিলে তো সুবিধাই পাবেন, অসুবিধা হবে না। সেই সুযোগটাও নিতে পারেন আপনারা।’

শিল্পখাতকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা চাই, দেশটা এগিয়ে যাক। আমরা কৃষি প্রধান দেশ। কৃষিতে গবেষণা করছি। আমাদের এখন এগুলো প্রক্রিয়াজাত শিল্প গড়ে তোলা প্রয়োজন। যদি আমরা প্রক্রিয়াজাত করতে পারি, তাহলে তা বিদেশে রফতারি করতে পারব।’

দেশের তরুণ সমাজের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘শুধুমাত্র ডিগ্রি নিয়ে চললে হবে না। কারিগরি শিক্ষাকে আমরা গুরুত্ব দিয়েছি। দেশে বা বিদেশে যেখানেই কাজের খোঁজে যাক না কেন, সব জায়গাই কিন্তু এখন দক্ষ জনশক্তি চায়। সেই দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে আমরা গুরুত্ব দিয়ে যাচ্ছি। আমরা মনে করি, আমাদের গৃহীত পদক্ষেপের শুভফল মানুষ পাবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের যেমন নিজস্ব বাজার সৃষ্টি করতে হবে, সেইসঙ্গে নতুন নতুন বাজার অন্বেষণ করতে হবে। কোথায় আমরা নতুন বাজার পেতে পারি। কোন দেশে কোন ধরনের পণ্যের চাহিদা বেশি, সেটাও খুঁজে বের করা এবং সেই ধরনের পণ্য উৎপাদন করার উদ্যোগ আমাদের নিতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করি সার্বিকভাবে কাজ করতে। আশা করি আমাদের দেশ এগিয়ে যাবে। আর এসএমই ফাউন্ডেশনকে আমরা সবসময় গুরুত্ব দেই। তবে এখানে উদ্যোক্তার সংখ্যা যতটা আমরা আশা করি, ততটা আসে না।
এসএমই খাতে উৎপাদিত পণ্য বিশ্বমানের। এগুলোর সঙ্গে আামদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যও জড়িত। তাই এই খাতের উন্নয়নে আমাদের ঐতিহ্যবাহী পণ্যের পাশাপাশি উন্নত বিশ্বের চাহিদা নির্ভর রফতানিমুখী পণ্য উৎপাদনেও মনোনিবেশ করতে হবে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘পরীক্ষায় পাস করে চাকরির পেছনে না ছুটে ঋণ নিয়ে ক্ষুদ্র ব্যবসা শুরু করতে পারেন। অন্যান্য ঋণের সুদের হার অত্যন্ত বেশি। সেই সুদের হারও কমিয়ে আনার উদ্যোগ নিয়েছি। সিঙ্গেল ডিজিটে আমরা নামিয়ে আনতে চাচ্ছি; যাতে করে উদ্যোক্তারা সহজে ঋণ নিয়ে বিনিয়োগ করতে পারেন। সেই সুবিধাটা আমরা সৃষ্টি করে দিচ্ছি।’

সেরা উদ্যোক্তা হিসেবে পুরস্কারপ্রাপ্তদের অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যারা বড় বড় শিল্প করেন। তারাও কিন্তু ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা সৃষ্টি করতে পারেন। কারণ এই শিল্পের জন্য যা প্রয়োজন আমরা নিজের দেশেই কিন্তু তা করতে পারি। আমাদের ছেলেমেয়েরা অত্যন্ত মেধাবী। এটা আমি বিশ্বাস করি। একটু সুযোগ পেলেই তারা অসাধ্য সাধন করতে পারে। এতে কোনো সন্দেহ নাই। আমরা মেধা বিকাশেরও সুযোগ করে দিতে চাই।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের এই অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে হবে। আমরা বিজয়ী জাতি। বিজয়ী জাতি হিসেবে বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে চলব- এটাই আমাদের সিদ্ধান্ত। কারও দয়া ভিক্ষা করে নয়, কারও দান নিয়ে নয়- আমরা নিজেরাই নিজের পায়ে দাঁড়াব। নিজেরাই মাথা উঁচু করে সম্মানের সাথে চলব। জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত ও উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলব।’

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন শিল্প মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আমির হোসেন আমু এমপি, শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, শিল্প সচিব আব্দুল হালিম, এসএমএই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সফিকুল ইসলাম।