• ঢাকা
  • রবিবার, ১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২০
সর্বশেষ আপডেট : ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২০

মতলব উত্তরে ইরি বোরো ধান রোপনে ব্যস্ত কৃষকরা

অনলাইন ডেস্ক
[sharethis-inline-buttons]

মনিরুল ইসলাম মনির :
দেশের অন্যতম বৃহত্তম সেচ প্রকল্প মতলব উত্তর উপজেলার মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পে চলতি বোরো মৌসুমে ধানের চারা রোপনে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন কৃষকরা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ও পুরো মৌসুমে সময়মত পানি পেলে ফলন ভাল হবে বলে আশা করছে তারা। উপজেলার, ঠাকুরচর, আদুরভিটি, মরাদোন, রাঢ়ীকান্দি, ইসলামাবাদ, ফতেপুর, গজরা, লতরদি, দূর্গাপুর, ইছাখালী, নাউরী’সহ অন্তত ১০ বিল ঘুরে দেখা গেছে, কৃষকরা দলে দলে ধান রোপন করছে। ভোর থেকে সন্ধ্যা গড়ানো পর্যন্ত মাঠে সময় কাটাচ্ছে তারা। বসে নেই কৃষানীরাও। বীজতলা থেকে চারা উত্তোলনে ঘর ছেড়েছেন নারী ও শিশুরাও।
কৃষকরা জানান, মৌসুমের শুরুতে পানি পেয়েছি। সমসয়মত আবাদ শুরু করতে পেরে ভাল লাগছে। পুরো মৌসুমে টানা পানি পাওয়া অব্যাহত থাকলে আশা করি ফলন ভাল হবে।
কৃষি বিভাগ জানায়, এ প্রকল্পে এবার আবাদ লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৮ হাজার ৮শ’ হেক্টর। আর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩৪ হাজার ৪শ’ ২৬ মেট্রিক টন চাউল। এরমধ্যে ব্রি-২৮, ২৯, ৫৮, ৬৯, ৬৩, ৬৪, ৭৪, ৭৫, বিআর-৩, ১৬ এবং ভোজন, আলাল ও কালী বোরো জাতের ধান চাষ করা হচ্ছে। লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হলে এ উপজেলার খাদ্য চাহিদা মিটবে এবং জাতীয় গ্রিডেও ধান দেওয়া সম্ভব হবে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. সালাউদ্দিন জানান, যথাসময়ে রোপন শুরু হয়েছে। হাইব্রিড, উফশী ও স্থানীয় জাতের ১৩ টি জাতের বীজ রোপনে এখন ব্যস্ত কৃষকরা। আমরা সার্বিক তদারকি করছি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আশা করি ফলন ভাল এবং লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হবে।
মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের পানি ব্যবহারকারী ফেডারেশনের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ কুদ্দুস জানান, আমরা প্রতিটি মৌসুমেই সঠিক সময়ে পানি সরবরাহ করে থাকি এবং লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করে জাতীয় গ্রিডেও খাদ্য দিতে পারছি। বোরো মৌসুম শেষ হওয়া পর্যন্ত পানি সরবরাহ অব্যাহত থাকবে। আশা করি উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে।

Sharing is caring!

[sharethis-inline-buttons]

আরও পড়ুন

  • মতলব উত্তর এর আরও খবর
error: Content is protected !!