ফরাজীকান্দি ইউনিয়নের ঠাকুরপাড়া ব্রীজের রেলিং নেই ॥ ঝুঁঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন

  • আপডেট: ০১:০৯:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২০
  • ৩৩

মনিরুল ইসলাম মনির :
প্রায় ২৫ বছর আগে মতলব উত্তর উপজেলার ফরাজীকান্দি ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের অর্ন্তগত ঠাকুরপাড়া ও সরকারপাড়া মধ্যবর্তী স্থানে খালের উপর এলজিইডি ব্রীজ নির্মাণ করে। নির্মাণের কয়েক বছর পরেই ব্রীজের দুই পাশের রেলিংয়ের পলেস্তার ভেঙ্গে পরে রড বের হয়ে আছে। যেন দেখার কেউ নেই। রেলিং না থাকায় বর্তমানে ব্রীজটি যেন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। শিক্ষার্থীসহ প্রতিদিন হাজারো মানুষের যাতায়তে এই ব্রীজ ব্যবহার করেন। বিকল্প কোনো যাতায়াত পথ না থাকায়, মরণফাঁদ জেনেও গ্রামবাসী এই ব্রীজ ব্যবহার করেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, ব্রিজের রেলিংয়ের দুইপাশ থেকে ভেঙে যাওয়াসহ উপরের সিমেন্টের তৈরি পাটাতন ধসে যাওয়ায় বাঁশ দিয়ে আটকানো রয়েছে রেলিং। এই রাস্তা দিয়ে চলাচলের একমাত্র যানবাহন ব্যাটারি চালিত অটো, অটো রিকসা চলাচলও বন্ধ হওয়ার পথে। ছোট ছোট যানবাহন গুলো যাত্রী নামিয়ে পারাপার হচ্ছে।
এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, রেলিং না থাকায় বর্তমানে ব্রীজটি অবস্থা খুবই করুন। যে কোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দূর্ঘটনা। যার ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন ও নানান দুর্ঘটনার শিকার হতে পারেন পথচারী, শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসী। শত শিক্ষার্থীর চলাচলের একমাত্র ব্রীজটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছেন অভিভাবকরাও।
ব্রীজটি উপর দিয়ে প্রতিদিনই শত শত কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীসহ হাজার হাজার মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করেন। অথচ ব্রিজটি মেরামতের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কোন মাথা ব্যথা নেই। এই ব্রীজ দিয়ে খুব সহজেই পার্শ্ববর্তী ইউনিয়ন জহিরাবাদ যাওয়া যায় বিধায় যানবাহন ও চলাচল করে বেশি।
এই এলাকার বাসিন্দা শাওন বলেন, ব্রীজে উঠলে ভয় পাই। দু’দিকের রেলিং না থাকায় মনে হয় পড়ে যাচ্ছি। যেকোন সময় বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে, তাই জরুরী ভিত্তিতে ব্রীজের রেলিং পুনঃমেরামত করতে প্রশাসনে দৃষ্টি কামনা করছি।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

নির্বাচন নিয়ে দিনক্ষণ তো এখন বলা যাবে না-প্রধান নির্বাচন কমিশনার

ফরাজীকান্দি ইউনিয়নের ঠাকুরপাড়া ব্রীজের রেলিং নেই ॥ ঝুঁঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন

আপডেট: ০১:০৯:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২০

মনিরুল ইসলাম মনির :
প্রায় ২৫ বছর আগে মতলব উত্তর উপজেলার ফরাজীকান্দি ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের অর্ন্তগত ঠাকুরপাড়া ও সরকারপাড়া মধ্যবর্তী স্থানে খালের উপর এলজিইডি ব্রীজ নির্মাণ করে। নির্মাণের কয়েক বছর পরেই ব্রীজের দুই পাশের রেলিংয়ের পলেস্তার ভেঙ্গে পরে রড বের হয়ে আছে। যেন দেখার কেউ নেই। রেলিং না থাকায় বর্তমানে ব্রীজটি যেন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। শিক্ষার্থীসহ প্রতিদিন হাজারো মানুষের যাতায়তে এই ব্রীজ ব্যবহার করেন। বিকল্প কোনো যাতায়াত পথ না থাকায়, মরণফাঁদ জেনেও গ্রামবাসী এই ব্রীজ ব্যবহার করেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, ব্রিজের রেলিংয়ের দুইপাশ থেকে ভেঙে যাওয়াসহ উপরের সিমেন্টের তৈরি পাটাতন ধসে যাওয়ায় বাঁশ দিয়ে আটকানো রয়েছে রেলিং। এই রাস্তা দিয়ে চলাচলের একমাত্র যানবাহন ব্যাটারি চালিত অটো, অটো রিকসা চলাচলও বন্ধ হওয়ার পথে। ছোট ছোট যানবাহন গুলো যাত্রী নামিয়ে পারাপার হচ্ছে।
এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, রেলিং না থাকায় বর্তমানে ব্রীজটি অবস্থা খুবই করুন। যে কোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দূর্ঘটনা। যার ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন ও নানান দুর্ঘটনার শিকার হতে পারেন পথচারী, শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসী। শত শিক্ষার্থীর চলাচলের একমাত্র ব্রীজটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছেন অভিভাবকরাও।
ব্রীজটি উপর দিয়ে প্রতিদিনই শত শত কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীসহ হাজার হাজার মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করেন। অথচ ব্রিজটি মেরামতের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কোন মাথা ব্যথা নেই। এই ব্রীজ দিয়ে খুব সহজেই পার্শ্ববর্তী ইউনিয়ন জহিরাবাদ যাওয়া যায় বিধায় যানবাহন ও চলাচল করে বেশি।
এই এলাকার বাসিন্দা শাওন বলেন, ব্রীজে উঠলে ভয় পাই। দু’দিকের রেলিং না থাকায় মনে হয় পড়ে যাচ্ছি। যেকোন সময় বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে, তাই জরুরী ভিত্তিতে ব্রীজের রেলিং পুনঃমেরামত করতে প্রশাসনে দৃষ্টি কামনা করছি।