মনিরুল ইসলাম মনির :
মতলব উত্তর উপজেলায় এবার সরিষার বাম্পার ফলন হয়েছে। হলুদ ফুলে ছেয়ে গেছে দিগন্ত জোড়া ফসলের মাঠ। চারদিকে অগ্রহায়ণের হিমেল বাতাসে দোল খাচ্ছে হলুদ সরিষার ফুল। সরিষা ফুলের হলুদ রাজ্যে মৌমাছির গুঞ্জনে মুখরিত যেমন মাঠ, তেমনি বাম্পার ফলনের হাতছানিতে উপজেলার কৃষকের চোখেমুখে ফুটে উঠেছে আনন্দের হাসি।
সরিষার হলুদ হাসিতে স্বপ্ন দেখছেন উপজেলার কৃষক। মৌসুমি সরিষা চাষ লাভজনক হওয়ায় চলতি মৌসুমে আবাদে মনোযোগ দিয়েছেন উপজেলার কৃষকরা। এখানকার কৃষকরা স্থানীয় জাতের পাশাপাশি বারি সরিষা-৪, ৯, ১৪ ও ১৫, বিনা-৪ ও ১১, টরি-৭, এসএম-৭৫ সরিষার আবাদ করে লাভের মুখ দেখছেন।
কৃষি অফিস জানায়, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ১ হাজার ৭২০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তার মাঝে অর্জিত হয়েছে ১ হাজার ১৩৫ হেক্টর। সরিষা একটি লাভজনক ফসল, কৃষকরা সরিষা চাষে সফলতাও পেয়েছেন। তাই তাদের সব সময় সহযোগিতা করা হচ্ছে। এ উপজেলায় ১৪টি ইউনিয়ন ও ছেংগারচর পৌর এলাকায় কৃষকরা সরিষার চাষ করেছেন। এবারে অভাবনীয় সাফল্যের আশায় বুক বেঁধেছেন তারা। ঘুর্ণিঝড় বুলবুলের কারণে জমিতে বৃষ্টির পানি থাকায় প্রায় ৬শ’ হেক্টর জমিতে কম আবাদ হয়েচে সরিষা।
নাউরী গ্রামের সরিষা চাষি ওসমান মিয়াজী জানান, প্রাকৃতিক দুর্যোগে কোনো ক্ষতি না হলে এবারে সরিষার ভালো ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। সরিষা তার জমির দ্বিতীয় ফসল। সরিষা তোলার পর বোরো চারা রোপণ করবেন।
একই গ্রামের কৃষক ইলিয়াছ মিয়াজী বলেন, চলতি মৌসুমে সার, বীজ, কীটনাশক সরবরাহের পাশাপাশি প্রায় দুই বিঘা জমিতে সরিষার চাষ করেছেন। ফলন ভালো হয়েছে।
এরপর সরিষা তুলে নিয়ে ওই জমিতে বোরো ধান লাগাবেন। পাঁচানী গ্রামের সরিষা চাষি আলম জানান, ৮৫ শতক জমিতে সরিষার চাষ করেছেন। আশা করছেন ভালো ফলন ও লাভ হবে।
উপজেলা কৃষি অফিসার মো. সালাউদ্দিন বলেন, এ উপজেলার কৃষকের সরিষা চাষের প্রতি আগ্রহ আছে। বোরো ধানের আবাদের জন্য চাষিদের আগ্রহ কম ছিল। এখন সরিষার চাষ বাড়ছে। চলতি মৌসুমে উপজেলায় রেকর্ড পরিমাণ জমিতে সরিষার চাষ করা হয়েছে। তবে আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে সরিষার আবাদ থেকে কৃষকরা বাড়তি মুনাফা আয় করতে পারবেন।
শিরোনাম:
মতলব উত্তরে সরিষার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা
Tag :
সর্বাধিক পঠিত