মো. মহিউদ্দিন আল আজাদ॥
চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল ইউনিয়নের কালির বাজারে স্বর্ণের দোকানে দূধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। সংঘবদ্ধ ডাকাতদল ৭টি স্বর্ণালংকারের দোকানে একযোগে ডাকাতি। তবে এই ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) রাত আনুমানিক সাড়ে ১২টার দিকে এই ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এর আগে ২০১২ সালে একই বাজারের ৪টি স্বর্ণের দোকানে ডাকাতি হয়েছিল।
মতলব উত্তর থানার ডিউটি অফিসার গোলাম সারোয়ার বলেন, ডাকাতির ঘটনার পরপরই থানার টহলরত পুলিশ সদস্যরা খবর পায় এবং তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে যায়। এরপরে থানার ওসি, চাঁদপুরের পুলিশ সুপার মো. মাহবুবুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমানসহ পুলিশ কর্মকর্তাগণ ঘটনাস্থলে আসেন এবং পরিদর্শন করেন।
মতলব উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাসির উদ্দিন বলেন, ঘটনার পরপর থেকেই আমরা ঘটনাস্থলে আছি। দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসেছেন চট্রগ্রামের অতিরিক্ত ডিআইজি।
ঘটনাস্থলে ডিবি, সিআইডি ও পিবিআই তদন্ত করছে।
চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পদোন্নতিপ্রাপ্ত এসপি) মো. মিজানুর রহমান বলেন, ঘটনার পর থেকেই পুলিশ ঘটনাস্থলে অবস্থান করছে। ৭টি স্বর্ণালংকারের দোকানে ডাকাতি হয়েছে। ধারনা করা হচ্ছে ডাকাতরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে দোকানের তালা কেটে প্রবেশ করে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো নির্ধারণ হয়নি। পুলিশ সম্পূর্ণ ঘটনাটি তদন্ত করে দেখছে।
উল্লেখ্য, এর আগে ২০১২ সালের ১৬ অক্টোবর বুধবার দিনগত রাতে কালির বাজারে ৪টি স্বর্ণের দোকানে বুধবার রাতে র্দুর্ধষ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। আন্ত:জেলা ডাকাতদল ওই রাত ৩টার দিকে ৪টি দোকান থেকে ২৮ ভরি স্বর্ণ, ৩৪১ ভরি রুপা ও দেড় লক্ষাধিক টাকা লুট করে। পরিদন বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার ষাটনলের মেঘনা নদীতে বালুবাহী বলগেটে ডাকাতিকালে ১ জলদস্যুকে জনতা আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
ওই ঘটনার বিবরণে পুলিশ তখন জানায়, বুধবার রাত আড়াই টার দিকে স্প্রীডবোট যোগে আন্ত:জেলা ডাকাত দল বাজারের উত্তর পাশ্বের ট্রলার ঘাটে নোঙ্গর করে। এরপর কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই বাজারের নৈশ্যপ্রহরী নুরুল ইসলামকে হাত-পা, মুখ বেঁধে ফেলে রাখে।
একই ভাবে বাজারের নৈশ্যপ্রহরী আইয়ুব আলী ও আব্দুল ওহাবকেও বেঁধে রেখে বাজারের স্বর্ণকার পট্রির জীবন সরকার, কানাই বিশ্বাস, তপন বর্মণ ও সুনীল দাসের স্বর্ণের দোকানের তালা ভেঙ্গে লোহার সিন্দুক ভেঙ্গে ডাকাতি করে।
এতে জীবন সরকারের দোকান থেকে ১০ ভরি স্বর্ণ, ২৩০ ভরি রোপা ও নগদ ৫০ হাজার টাকা, কানাই বিশ্বাসের স্বর্ণের দোকান থেকে ১০ ভরি স্বর্ণ, ১৬ ভরি রুপা ও নগদ ৩০ হাজার টাকা, তপন বর্মণের স্বর্ণের দোকান থেকে ৪ ভরি স্বর্ণ, ৭০ ভরি রুপা ও নগদ ৬০ হাজার টাকা এবং সুনীল দাসের স্বর্ণের দোকান থেকে ৪ ভরি স্বর্ণ ও ২৫ ভরি রুপা লুট করে ডাকাত দল পালিয়ে যায়। এ ব্যাপারে কানাই বিশ্বাস বাদী হয়ে মতলব উত্তর থানায় ডাকাতি মামলা দায়ের করে।