চীনে ভারী বৃষ্টিতে ভয়াবহ বন্যা : নিহত- ৬১

  • আপডেট: ১০:৩০:৪৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ জুন ২০১৯
  • ৭০

নতুনেরকথা অনলাইন :

চীনে গত কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যায় দেশটির দক্ষিণ ও পশ্চিমাঞ্চলে এখন পর্যন্ত অন্তত ৬১ জনের মৃত্যু হয়েছে।

এতে ঘরছাড়া হয়েছে প্রায় সাড়ে তিন লাখ মানুষ। তাদেরকে পাশ্ববর্তী নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। গত সোমবার থেকে শুরু হওয়া এ বৃষ্টিতে ভেসে গেছে কোটি কোটি একর জমির ফসল।

জরুরি ব্যবস্থাপনা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত নয় হাজার ৩০০ বাড়ি ধসে পড়েছে এবং ৩৭ কোটি ১০ লাখ হেক্টর আবাদি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর প্রত্যক্ষ আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ ১৯৩ কোটি ডলার।

গুয়াংজু প্রদেশ থেকে দেশটি দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলীয় চংকিংয়ের ইয়াংতজ নদী পর্যন্ত এই বন্যার বিস্তৃতি। মন্ত্রণালয় জানায়, বন্যা পরিস্থিতি থেকে এখন পর্যন্ত চার হাজার ৩০০ জনেরও বেশি মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে।

প্রতি বছর গ্রীষ্মকালে নিয়মিতই খরার কবলে পড়ে চীনের উত্তরাঞ্চল। দক্ষিণাঞ্চলের বন্যাও নিয়মিত ঘটনা। এদিকে চায়না ডেইলি জানিয়েছে, উত্তরাঞ্চলে অতীতের তুলনায় বৃষ্টিপাত এবার আরও কম হবে। ইয়েলো নদীর অববাহিকায় বাড়বে বন্যার ঝুঁকি।

এছাড়া দেশটির আবহাওয়া অফিস নতুন করে গুয়াংডং, ফুজিয়ান, ইয়ুনান, সিচুয়ান ও তাইওয়ান প্রদেশে প্রবল বৃষ্টির আভাস দিয়েছে।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

হাজীগঞ্জ পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর মাইনুদ্দিন মিয়াজী আটক

চীনে ভারী বৃষ্টিতে ভয়াবহ বন্যা : নিহত- ৬১

আপডেট: ১০:৩০:৪৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ জুন ২০১৯

নতুনেরকথা অনলাইন :

চীনে গত কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যায় দেশটির দক্ষিণ ও পশ্চিমাঞ্চলে এখন পর্যন্ত অন্তত ৬১ জনের মৃত্যু হয়েছে।

এতে ঘরছাড়া হয়েছে প্রায় সাড়ে তিন লাখ মানুষ। তাদেরকে পাশ্ববর্তী নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। গত সোমবার থেকে শুরু হওয়া এ বৃষ্টিতে ভেসে গেছে কোটি কোটি একর জমির ফসল।

জরুরি ব্যবস্থাপনা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত নয় হাজার ৩০০ বাড়ি ধসে পড়েছে এবং ৩৭ কোটি ১০ লাখ হেক্টর আবাদি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর প্রত্যক্ষ আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ ১৯৩ কোটি ডলার।

গুয়াংজু প্রদেশ থেকে দেশটি দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলীয় চংকিংয়ের ইয়াংতজ নদী পর্যন্ত এই বন্যার বিস্তৃতি। মন্ত্রণালয় জানায়, বন্যা পরিস্থিতি থেকে এখন পর্যন্ত চার হাজার ৩০০ জনেরও বেশি মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে।

প্রতি বছর গ্রীষ্মকালে নিয়মিতই খরার কবলে পড়ে চীনের উত্তরাঞ্চল। দক্ষিণাঞ্চলের বন্যাও নিয়মিত ঘটনা। এদিকে চায়না ডেইলি জানিয়েছে, উত্তরাঞ্চলে অতীতের তুলনায় বৃষ্টিপাত এবার আরও কম হবে। ইয়েলো নদীর অববাহিকায় বাড়বে বন্যার ঝুঁকি।

এছাড়া দেশটির আবহাওয়া অফিস নতুন করে গুয়াংডং, ফুজিয়ান, ইয়ুনান, সিচুয়ান ও তাইওয়ান প্রদেশে প্রবল বৃষ্টির আভাস দিয়েছে।