• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৪শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৬ জানুয়ারি, ২০২০
সর্বশেষ আপডেট : ৬ জানুয়ারি, ২০২০

কচুরিপানায় অচল ধনাগোদা নদী

অনলাইন ডেস্ক
[sharethis-inline-buttons]

মতলব প্রতিনিধি:

মতলব উত্তর ও মতলব দক্ষিণ উপজেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত নদী ধনাগোদায় কচুরিপানার দখলে থাকায় জন কচুরীপানার কারণে নৌকা দিয়ে নদী পারাপারে ভোগান্তীতে পড়েছে দুই উপজেলার জনসাধারণ। নদীর আমিরাবাদ লঞ্চঘাট থেকে কালিপুর লঞ্চঘাট পর্যন্ত প্রায় ৫৫ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে রয়েছে কচুরিপানার জট।
সরেজমিনে দেখা গেছে, মতলব ধনাগোদার মতলব খেয়াঘাট, বাইশপুর, গাজীপুর মোড়, সাহেব বাজার, লক্ষীপুর, টরকী, মাছুয়াখাল, শাহপুর, নায়েরগাঁও, দুর্গাপুর, শ্রীরায়ের চর, কালির বাজার, নন্দলালপুর খেয়াঘাট এলাকায় কচুরিপানা জমাট বেঁধে আছে। এতে খেয়া পারাপারের যাত্রী সাধারণের চরম ভোগান্তি হচ্ছে।
পশ্চিম বাইশপুর গ্রামের সুবর্ণ স্কুলের শিক্ষক ইয়ামিন, মতলব কলেজের শিক্ষার্থী রাবেয়া হোসেন, ব্যবসায়ী স্বপন প্রধান বলেন, বছরের এই সময়ে নদীতে প্রচুর পরিমাণে কচুরীপানা থাকায় নৌকা দিয়ে নদী পারাপারে নিজেদের নৌকার বৈঠা বাইতে হয়, সেই সাথে সময়ের অপচয় হয়। তাই বাধ্য হয়ে অনেক পথ ঘুরে মতলব সেতুদিয়ে নদী পার হয়ে যেতে হচ্ছে।
নদীতে কচুরীপানার বিষয়ে নৌকা দিয়ে পারাপার হওয়া একাধিক যাত্রী অভিযোগ করে বলেন, নদীর দুই পাড়ে অবৈধ ঝাঁক থাকায় জোয়ার-ভাটার সময় কচুরীপানা সরতে পারে না। এতে কয়েক মাস কচুরীপানার জমাট বেঁধে নৌকাসহ এই নদীতে অন্যন্য নৌ-যানের বাধা সৃষ্টি হয়।
মতলবের খেয়াঘাটের নৌকা শ্রমিক সমবায় সমিতির সভাপতি হাসেম খান জানান, নদী পারাপারে নেীকায় পুরুষ মানুষ না থাকলে নৌকা ছাড়ি না। নদীর কচুরীপানা সরিয়ে নদী পারাপারে অনেক কষ্ট হয়। এতে এই পথে অনেক যাত্রী কমে যাচ্ছে।
মতলব প্রেসক্লাবের সভাপতি গোলাম সারওয়ার সেলিম বলেন, নদীর দুই পাড়ে অসংখ্য অবৈধ মাছ ধরার ঝাঁক (মাছ ধরার ফাঁদ) রয়েছে। এই অবৈধ মাছ ধরার ফাঁদ নিয়ে স্থানীয় ও জাতীয় পত্র-পত্রিকায় একাধিক বার প্রতিবেদন প্রকাশ হলেও কেউ দায়িত্ব নিচ্ছে না। ফলে বছরের এই সময়ে নদীতে কচুরীপানা আটকে নৌকা পারাপারে জনসাধারণের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

Sharing is caring!

[sharethis-inline-buttons]

আরও পড়ুন

  • মতলব উত্তর এর আরও খবর
error: Content is protected !!