অনলাইন ডেস্ক:
সকল আন্দোলন সংগ্রামেই অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় প্রাণ দিতে হয়েছে ছাত্রলীগের বহু নেতাকর্মীকে। প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা আজ শনিবার বিকেলে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যেএকথা বলেন।
এর আগে বেলা আড়াইটার দিকে ছাত্রলীগের সাংগঠনিক অভিভাবক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুষ্ঠানস্থলে আসেন। এ সময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা দলীয় সভাপতিতে স্লোগান দিয়ে স্বাগত জানায়। ‘জয় বাংলা-জয় বঙ্গবন্ধু’, ‘শুভ শুভ শুভ দিন-ছাত্রলীগের জন্মদিন’ স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে গোটা উদ্যান।
উত্তরীয় পরিয়ে শেখ হাসিনাকে বরণ করে নেন ছাত্রলীগের নেতারা। পরে জাতীয় সংগীত ও দলীয় সংগীতের মাধ্যমে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করা হয়। এরপর দেশাত্মবোধক গান বাজানো হয়।
অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সকাল থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নানা রঙের ব্যানার-ফেস্টুন হাতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা জড়ো হয়েছেন। দুপুর হওয়ার আগেই সংগঠনটির সাবেক-বর্তমান নেতাকর্মীদের মিলনমেলায় রূপ নিয়েছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান।
প্রসঙ্গত ১৯৪৮ সালের এদিনে জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান উপমহাদেশের বৃহৎ এ ছাত্রসংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেন। শুরুতে সংগঠনটির নাম ছিল ‘পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগ’।
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর এটি ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ’ নামে কার্যক্রম শুরু করে। প্রতিষ্ঠার পর থেকে ভাষা আন্দোলন ও মহান স্বাধীনতা সংগ্রামসহ সব গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও সংগ্রামে বলিষ্ঠ নেতৃত্ব দিয়েছে ঐতিহ্যবাহী এ ছাত্রসংগঠনটি।