ফরিদগঞ্জে এইচপিভি টিকাদান ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি।

উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের আয়োজনে এইচপিভি টিকাদান ক্যাম্পেইন- ২০২৪ উদ্বোধন করা হয়েছে। ২৪ অক্টোবর বৃহস্পতিবার দুপুরে ১৬নং রূপসা দক্ষিণ ইউনিয়নের চরমান্দারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্যাম্পেইনের শুভ উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুলতানা রাজিয়া।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.আসাদুজ্জামান জুয়েল’র তত্বাবধানে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম ফরহাদ, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর এমটিইপিআই নুরুল আমিন ও এইচআই ডা. বিদান। উক্ত ক্যাম্পেইনে ৩১ জন কিশোরীকে এই টাকা দেয়া হয়।

নারীদের একটি অন্যতম সমস্যা জরায়ুমুখ ক্যানসার। প্রতি বছর বিশে^ বহু নারী এই ক্যানসারে মারা যান। জরায়ুমুখ ক্যানসারের অন্যতম কারণ হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি)। এর প্রতিষেধক হিসেবে ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সি কিশোরীদের টিকা দেওয়া হয়, যা এইচপিভি টিকা নামে পরিচিত।

গত বছরের (২০২৩) অক্টোবর থেকে ইউনিসেফ, দ্যা ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্স-গ্যাভি ও বিশ^ স্বাস্থ্য সংস্থার সহায়তায় বাংলাদেশ এইচপিভি টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। উদ্দেশ্য হলো- মেয়েদেরকে জরায়ুমুখ ক্যানসার থেকে রক্ষা করার মাধ্যমে তাদের স্বাস্থ্য ও ভবিষ্যত সুরক্ষিত করা।

বিশ^ স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, বাংলাদেশের নারীদের মধ্যে ক্যান্সার আক্রান্ত হওয়ার বিবেচনায় জরায়ুমুখ ক্যান্সারের অবস্থান দ্বিতীয়। দেশে ক্যান্সারজনিত মৃত্যুর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয় এই জরায়ুমুখ ক্যান্সারে। বাংলাদেশে প্রতি বছর জরায়ুমুখ ক্যান্সারে প্রায় সাড়ে ৮ হাজার রোগী শনাক্ত হয়। যার মধ্যে ৪,৯০০ জন মারা যান।

এক্ষেত্রে এইচপিভি টিকা জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে সবচেয়ে কার্যকর টিকাগুলোর মধ্যে একটি। এইচপিভি দ্বারা সৃষ্ট ৯০ শতাংশের বেশি ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে পারে এই টিকা।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.আসাদুজ্জামান জুয়েল বলেন, ‘নারীদের জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে এই টিকা নিয়ামক হিসেবে কাজ করবে। তাই ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সি শিশু- কিশোরীদের নিয়মিতভাবে এইচপিভি টিকা নেওয়ার প্রতি জোর সুপারিশ করছি। যাতে তারা এই ভাইরাসের সংস্পর্শে আসার আগেই সুরক্ষিত থাকতে পারে। শুধু শিশু- কিশোরী নয়, ২৬ বছর বয়সের যুবতীরাও এই টিকা নিতে পারবে। টিকা নেওয়ার পর ওই স্থানে ব্যথা, লালভাব বা ফোলাভাব হতে পারে। কেউ কেউ সাময়িক সময়ের জন্য অচেতন হয়ে যেতে পারে। এছাড়া মাথা ঘোরা এবং কানের মধ্যে শব্দ হতে পারে। এসব লক্ষণ দেখা দিলে টিকা প্রদানকারীর সাথে যোগাযোগ করবেন। অথবা কার্ডে দেয়া নাম্বারে যোগাযোগ করবেন।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

সকালে ‘রিট করে’ বিকেলেই সুর পাল্টালেন সারজিস 

ফরিদগঞ্জে এইচপিভি টিকাদান ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন

আপডেট: ১০:২৫:৫৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৪

উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের আয়োজনে এইচপিভি টিকাদান ক্যাম্পেইন- ২০২৪ উদ্বোধন করা হয়েছে। ২৪ অক্টোবর বৃহস্পতিবার দুপুরে ১৬নং রূপসা দক্ষিণ ইউনিয়নের চরমান্দারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্যাম্পেইনের শুভ উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুলতানা রাজিয়া।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.আসাদুজ্জামান জুয়েল’র তত্বাবধানে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম ফরহাদ, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর এমটিইপিআই নুরুল আমিন ও এইচআই ডা. বিদান। উক্ত ক্যাম্পেইনে ৩১ জন কিশোরীকে এই টাকা দেয়া হয়।

নারীদের একটি অন্যতম সমস্যা জরায়ুমুখ ক্যানসার। প্রতি বছর বিশে^ বহু নারী এই ক্যানসারে মারা যান। জরায়ুমুখ ক্যানসারের অন্যতম কারণ হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি)। এর প্রতিষেধক হিসেবে ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সি কিশোরীদের টিকা দেওয়া হয়, যা এইচপিভি টিকা নামে পরিচিত।

গত বছরের (২০২৩) অক্টোবর থেকে ইউনিসেফ, দ্যা ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্স-গ্যাভি ও বিশ^ স্বাস্থ্য সংস্থার সহায়তায় বাংলাদেশ এইচপিভি টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। উদ্দেশ্য হলো- মেয়েদেরকে জরায়ুমুখ ক্যানসার থেকে রক্ষা করার মাধ্যমে তাদের স্বাস্থ্য ও ভবিষ্যত সুরক্ষিত করা।

বিশ^ স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, বাংলাদেশের নারীদের মধ্যে ক্যান্সার আক্রান্ত হওয়ার বিবেচনায় জরায়ুমুখ ক্যান্সারের অবস্থান দ্বিতীয়। দেশে ক্যান্সারজনিত মৃত্যুর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয় এই জরায়ুমুখ ক্যান্সারে। বাংলাদেশে প্রতি বছর জরায়ুমুখ ক্যান্সারে প্রায় সাড়ে ৮ হাজার রোগী শনাক্ত হয়। যার মধ্যে ৪,৯০০ জন মারা যান।

এক্ষেত্রে এইচপিভি টিকা জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে সবচেয়ে কার্যকর টিকাগুলোর মধ্যে একটি। এইচপিভি দ্বারা সৃষ্ট ৯০ শতাংশের বেশি ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে পারে এই টিকা।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.আসাদুজ্জামান জুয়েল বলেন, ‘নারীদের জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে এই টিকা নিয়ামক হিসেবে কাজ করবে। তাই ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সি শিশু- কিশোরীদের নিয়মিতভাবে এইচপিভি টিকা নেওয়ার প্রতি জোর সুপারিশ করছি। যাতে তারা এই ভাইরাসের সংস্পর্শে আসার আগেই সুরক্ষিত থাকতে পারে। শুধু শিশু- কিশোরী নয়, ২৬ বছর বয়সের যুবতীরাও এই টিকা নিতে পারবে। টিকা নেওয়ার পর ওই স্থানে ব্যথা, লালভাব বা ফোলাভাব হতে পারে। কেউ কেউ সাময়িক সময়ের জন্য অচেতন হয়ে যেতে পারে। এছাড়া মাথা ঘোরা এবং কানের মধ্যে শব্দ হতে পারে। এসব লক্ষণ দেখা দিলে টিকা প্রদানকারীর সাথে যোগাযোগ করবেন। অথবা কার্ডে দেয়া নাম্বারে যোগাযোগ করবেন।