চাঁদপুরে আওয়ামী লীগ নেতার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, পরিবারের দাবি হত্যা

মো. নজরুল ইসলাম ঢালী| ছবি: সংগৃহীত

চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলায় খাদেরগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম ঢালীর (৫৮) ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাঁর পরিবারের দাবি, পূর্বশত্রুতার জেরে হত্যার পর তাঁর মরদেহ ঝুলিয়ে রেখেছে দুর্বৃত্তরা। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টা দিকে উপজেলার বেলুতী গ্রামে তাঁর বাড়ির পাশে একটি নির্মাণাধীন ভবন থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

নজরুলের বাড়ি উপজেলার খাদেরগাঁও ইউনিয়নের বেলুতী গ্রামে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে খাদেরগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। এ ছাড়া তিনি ঠিকাদারি কাজ করতেন।

পরিবার, পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্র জানায়, সোমবার দুপুরে কাজের কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন নজরুল। এরপর আর বাড়ি ফেরেননি। বেলা ১টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত তাঁর মুঠোফোন যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কেউ সাড়া দেয়নি। পরে খোঁজাখুঁজি করেও তাঁর সন্ধান পায়নি স্বজনেরা। মঙ্গলবার সকালে স্থানীয় লোকজন নির্মাণাধীন ওই ভবনটির সিঁড়ির লোহার রডে ঝুলন্ত অবস্থায় নজরুলের মরদেহ দেখতে পান। পরে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।

নজরুলের স্ত্রী জেসমিন আক্তার ও ছেলে জামিউল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, পূর্বশত্রুতার জেরে নজরুলকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। পরে মরদেহ ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যার নাটক সাজানো হয়েছে। যে ধরনের চিকন রশিতে লাশটির গলা ঝোলানো—তা দিয়ে আত্মহত্যা সম্ভব নয়। লাশের পা–ও মাটিতে লাগানো ছিল। পাশে তাঁর জুতা, চশমা, গ্যাসলাইট ও দুটি মুঠোফোন পাওয়া গেছে। পরিবারের কারও সঙ্গেই তাঁর দ্বন্দ্ব বা মনোমালিন্য ছিল না। ঘটনার প্রকৃত রহস্য উন্মোচন করে জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় শাস্তির দাবি করেছেন তাঁরা।

ঘটনার তদন্তে ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ বিভাগ) রাশেদুল হক চৌধুরীসহ জেলা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) একটি দল।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মতলব দক্ষিণ থানার (ওসি) সালেহ আহম্মেদ বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। এটি একটি রহস্যজনক মৃত্যু, আত্মহত্যা না হত্যাকাণ্ড তা ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে। পিবিআইসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিষয়টি তদন্ত করছেন।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটি সদস্য মোতাহার হোসেন পাটোয়ারী’র সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ব্যাপক জনসমাগম

চাঁদপুরে আওয়ামী লীগ নেতার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, পরিবারের দাবি হত্যা

আপডেট: ০৬:১০:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ অক্টোবর ২০২৪

চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলায় খাদেরগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম ঢালীর (৫৮) ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাঁর পরিবারের দাবি, পূর্বশত্রুতার জেরে হত্যার পর তাঁর মরদেহ ঝুলিয়ে রেখেছে দুর্বৃত্তরা। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টা দিকে উপজেলার বেলুতী গ্রামে তাঁর বাড়ির পাশে একটি নির্মাণাধীন ভবন থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

নজরুলের বাড়ি উপজেলার খাদেরগাঁও ইউনিয়নের বেলুতী গ্রামে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে খাদেরগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। এ ছাড়া তিনি ঠিকাদারি কাজ করতেন।

পরিবার, পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্র জানায়, সোমবার দুপুরে কাজের কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন নজরুল। এরপর আর বাড়ি ফেরেননি। বেলা ১টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত তাঁর মুঠোফোন যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কেউ সাড়া দেয়নি। পরে খোঁজাখুঁজি করেও তাঁর সন্ধান পায়নি স্বজনেরা। মঙ্গলবার সকালে স্থানীয় লোকজন নির্মাণাধীন ওই ভবনটির সিঁড়ির লোহার রডে ঝুলন্ত অবস্থায় নজরুলের মরদেহ দেখতে পান। পরে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।

নজরুলের স্ত্রী জেসমিন আক্তার ও ছেলে জামিউল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, পূর্বশত্রুতার জেরে নজরুলকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। পরে মরদেহ ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যার নাটক সাজানো হয়েছে। যে ধরনের চিকন রশিতে লাশটির গলা ঝোলানো—তা দিয়ে আত্মহত্যা সম্ভব নয়। লাশের পা–ও মাটিতে লাগানো ছিল। পাশে তাঁর জুতা, চশমা, গ্যাসলাইট ও দুটি মুঠোফোন পাওয়া গেছে। পরিবারের কারও সঙ্গেই তাঁর দ্বন্দ্ব বা মনোমালিন্য ছিল না। ঘটনার প্রকৃত রহস্য উন্মোচন করে জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় শাস্তির দাবি করেছেন তাঁরা।

ঘটনার তদন্তে ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ বিভাগ) রাশেদুল হক চৌধুরীসহ জেলা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) একটি দল।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মতলব দক্ষিণ থানার (ওসি) সালেহ আহম্মেদ বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। এটি একটি রহস্যজনক মৃত্যু, আত্মহত্যা না হত্যাকাণ্ড তা ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে। পিবিআইসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিষয়টি তদন্ত করছেন।