হাজীগঞ্জে আগুনে বসতঘর পুড়ে ছাই, নিঃস্ব হলেন প্রবাসী পরিবার

  • আপডেট: ০৩:৩২:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৪
  • ৩২

মোহাম্মদ হাবীব উল্যাহ্ :

পারিবারিক স্বচ্ছলতার আশায় মাত্র দুই মাস আগে প্রায় ৮ লাখ টাকা ঋণ ও ধার-দেনা করে প্রবাসে পাড়ি দিয়েছেন যুবক আব্দুর রহিম। এর মধ্যে রহস্যজনক আগুনে পুড়ে ভস্মিভূত হয়েছে তার বসতঘর। এতে পরনের কাপড় ছাড়া তার স্ত্রী ও দুই সন্তানের কিছুই রইল না। আগুনে বসতঘর ও ঘরে থাকা আসবাবপত্র, টিভি, ফ্রিজ, তৈজসপত্র, স্বর্ণালংকার, প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ অন্যান্য মালামাল ও নগদ ১৫/২০ হাজার টাকা পুড়ে ছাই হয়েছে।

প্রবাসী আব্দুর রহিম হাজীগঞ্জ উপজেলার বড়কুল পূর্ব ইউনিয়নের রায়চোঁ গ্রামের মতিন বেপারী বাড়ির আব্দুল মতিনের ছেলে। আগুনে তার বসতঘরটি পুড়ে প্রায় ৬ লাখ টাকার ক্ষতি হয়। এতে তার পরিবার মাথা গোঁজার ঘরটুকু হারিয়েছে। আবার প্রবাসে যাওয়ার ধার-দেনা ও বসতঘরটিসহ তিনি প্রায় ১৫ লাখ টাকার ঋণগ্রস্ত হয়েছেন। এখন তিনি ঋণের টাকা পরিশোধ করবেন, নাকি পরিবারের জন্য ঘরের ব্যবস্থা করবেন? রয়েছেন দুঃশ্চিন্তায়।

জানা গেছে, গত ১১ আগস্ট রোববার দিবাগত রাত আনুমানিক ১২টা থেকে একটার দিকে আব্দুর রহিমের বসতঘরে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এসময় তার স্ত্রী ও সন্তান বাড়িতে ছিলেন না। ওই দিন রাতে বসতঘরে আগুন জ¦লতে দেখে বাড়ির লোকজন ও স্থানীয়রা ছুটে আসেন। তারা ফায়ার সার্ভিসে ফোন দিয়ে নিজেরা যার যার মতো করে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু আগুনের ভয়াবহতার কাছে সবাই অসহায় হয়ে পড়েন।

খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌছাতে প্রায় আধাঘন্টা লেগে যায়। এর মধ্যে বসতঘরটি পুড়ে সম্পুর্ণ ভস্মিভূত হয়। কি কারণে আগুন লেগেছে, তা কেউ বলতে না পারলেও ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের ধারণা বৈদ্যুতিক সর্ট-সার্কিটেই এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। তবে পরিবারের দাবি, যেহেতু বেড়ানোর উদ্দেশ্যে ক্ষতিগ্রস্ত আব্দুর রহিমের স্ত্রী-সন্তান শশুর বাড়িতে ছিলেন। যার ফলে, ওই ঘরটি তালাবদ্ধ অবস্থায় ছিলো। তাদের ধারণা, কেউ বসতঘরটিতে আগুণ ধরিয়ে দিয়েছে।

এদিকে আগুনের খবর পেয়ে স্ত্রী-সন্তান ও শশুর বাড়ির লোকজন আব্দুর রহিমের বাড়িতে উপস্থিত হন। এসময় আব্দুর রহিমের পরিবারের সদস্যদের কান্নায় পরিবেশ ভারী হয়ে ওঠে। এসময় ভিডিও কলে পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলেন, আব্দুর রহিম। তিনিও কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন এবং বার বার বলতে থাকেন, তিনি ঋণের টাকা পরিশোধ করবেন নাকি বসতঘর করবেন? এদিকে আগুনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মজিবুর রহমানম মজিব।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

যে কারণে পুরুষে ৪টি বিয়ের পক্ষে হীরা সুমরো

হাজীগঞ্জে আগুনে বসতঘর পুড়ে ছাই, নিঃস্ব হলেন প্রবাসী পরিবার

আপডেট: ০৩:৩২:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৪

মোহাম্মদ হাবীব উল্যাহ্ :

পারিবারিক স্বচ্ছলতার আশায় মাত্র দুই মাস আগে প্রায় ৮ লাখ টাকা ঋণ ও ধার-দেনা করে প্রবাসে পাড়ি দিয়েছেন যুবক আব্দুর রহিম। এর মধ্যে রহস্যজনক আগুনে পুড়ে ভস্মিভূত হয়েছে তার বসতঘর। এতে পরনের কাপড় ছাড়া তার স্ত্রী ও দুই সন্তানের কিছুই রইল না। আগুনে বসতঘর ও ঘরে থাকা আসবাবপত্র, টিভি, ফ্রিজ, তৈজসপত্র, স্বর্ণালংকার, প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ অন্যান্য মালামাল ও নগদ ১৫/২০ হাজার টাকা পুড়ে ছাই হয়েছে।

প্রবাসী আব্দুর রহিম হাজীগঞ্জ উপজেলার বড়কুল পূর্ব ইউনিয়নের রায়চোঁ গ্রামের মতিন বেপারী বাড়ির আব্দুল মতিনের ছেলে। আগুনে তার বসতঘরটি পুড়ে প্রায় ৬ লাখ টাকার ক্ষতি হয়। এতে তার পরিবার মাথা গোঁজার ঘরটুকু হারিয়েছে। আবার প্রবাসে যাওয়ার ধার-দেনা ও বসতঘরটিসহ তিনি প্রায় ১৫ লাখ টাকার ঋণগ্রস্ত হয়েছেন। এখন তিনি ঋণের টাকা পরিশোধ করবেন, নাকি পরিবারের জন্য ঘরের ব্যবস্থা করবেন? রয়েছেন দুঃশ্চিন্তায়।

জানা গেছে, গত ১১ আগস্ট রোববার দিবাগত রাত আনুমানিক ১২টা থেকে একটার দিকে আব্দুর রহিমের বসতঘরে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এসময় তার স্ত্রী ও সন্তান বাড়িতে ছিলেন না। ওই দিন রাতে বসতঘরে আগুন জ¦লতে দেখে বাড়ির লোকজন ও স্থানীয়রা ছুটে আসেন। তারা ফায়ার সার্ভিসে ফোন দিয়ে নিজেরা যার যার মতো করে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু আগুনের ভয়াবহতার কাছে সবাই অসহায় হয়ে পড়েন।

খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌছাতে প্রায় আধাঘন্টা লেগে যায়। এর মধ্যে বসতঘরটি পুড়ে সম্পুর্ণ ভস্মিভূত হয়। কি কারণে আগুন লেগেছে, তা কেউ বলতে না পারলেও ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের ধারণা বৈদ্যুতিক সর্ট-সার্কিটেই এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। তবে পরিবারের দাবি, যেহেতু বেড়ানোর উদ্দেশ্যে ক্ষতিগ্রস্ত আব্দুর রহিমের স্ত্রী-সন্তান শশুর বাড়িতে ছিলেন। যার ফলে, ওই ঘরটি তালাবদ্ধ অবস্থায় ছিলো। তাদের ধারণা, কেউ বসতঘরটিতে আগুণ ধরিয়ে দিয়েছে।

এদিকে আগুনের খবর পেয়ে স্ত্রী-সন্তান ও শশুর বাড়ির লোকজন আব্দুর রহিমের বাড়িতে উপস্থিত হন। এসময় আব্দুর রহিমের পরিবারের সদস্যদের কান্নায় পরিবেশ ভারী হয়ে ওঠে। এসময় ভিডিও কলে পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলেন, আব্দুর রহিম। তিনিও কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন এবং বার বার বলতে থাকেন, তিনি ঋণের টাকা পরিশোধ করবেন নাকি বসতঘর করবেন? এদিকে আগুনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মজিবুর রহমানম মজিব।