ভারতের সঙ্গে পাত্তাই পেল না পাকিস্তান। ২২৮ রানের বিশাল ব্যবধানে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ভারত।
৩৫৭ রানের বিশাল টার্গেট তাড়া করতে নেমে ৩২ ওভারে মাত্র ১২৮ রানেই গুটিয়ে যায় পাকিস্তান।
পাকিস্তানের এমন হারে হতবাক সমর্থকরা। কোন প্রকার লড়াউ ছাড়াই ভারতের কাছে আত্মসর্মপন করে পাকিরা।
চির প্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিপক্ষে বিশাল জয়ে ব্যাট হাতে জোড়া সেঞ্চুরি করেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক বিরাট কোহলি (১২২) ও লোকেশ রাহুল (১১১)। আর বল হাতে ৮ ওভারে মাত্র ২৫ রানে ৫ উইকেট শিকার করেন কুলদীপ যাদব।
রোববার শ্রীলংকার রাজধানী কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে উড়ন্ত সূচনা করে ভারত।
উদ্বোধনীতে ১২১ রানের জুটি গড়েন দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও শুভমান গিল। এরপর মাত্র ২ রানের ব্যবধানে ভারত হারায় ২ উইকেট।
৪৯ বলে ৬টি চার আর ৪টি ছক্কার সাহায্যে ৫৬ রান করে ফেরেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা। ৫২ বলে ১০টি বাউন্ডারিতে ৫৮ রানে ফেরেন শুভমান গিল।
১২৩ রানে দুই ওপেনার আউট হওয়ার পর ভারতের হাল ধরেন বিরাট কোহলি ও লোকেশ রাহুল। এদিন ২৪.১ ওভারে ১৪৭ রান করে ভারত। ২৮ বলে ১৭ আর ১৬ বলে ৮ রানে ব্যাটিংয়ে ছিলেন লোকেশ রাহুল ও বিরাট কোহলি।
এরপর শুরু হয় বৃষ্টি। বৃষ্টির কারণে রোববার আর খেলা হয়নি। ম্যাচ গড়ায় সোমবার রিজার্ভ ডেতে।
আজ সোমবার রিজার্ভ ডেতে বৃষ্টির কারণে খেলা নির্ধারিত সময়ে শুরু হয়নি। ৩টার পরিবর্তে খেলা শুরু হয় ৪টা ৪০ মিনিটে।
খেলা শুরুর পর থেকেই ব্যাটিং তাণ্ডব চালাতে থাকেন বিরাট কোহলি ও লোকেশ রাহুল। তৃতীয় উইকেটে তারা ১৯৪ বলে ২৩৩ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন।
এই জুটিতে ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ৪৭তম সেঞ্চুরি তুলে নেন কোহলি। শুধু তাই নয় এদিন সেঞ্চুরি করার পথেই কোহলি ওয়ানডেতে ১৩ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন।
কোহলির আগেই ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৫৬তম ম্যাচে ষষ্ঠ আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৫তম সেঞ্চুরি করেন লোকেশ রাহুল। তাদের অনবদ্য ব্যাটিংয়ে ৩৫৬ রানের পাহাড় গড়ে ভারত।
৩৫৭ রানের পাহাড় ডিঙ্গাতে নেমে চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে যায় পাকিস্তান। ইনিংসের শুরু থেকেই সময়ের ব্যবধানে উইকেট হারাতে থাকে বাবর আজমরা।
পঞ্চম ওভারের দ্বিতীয় বলে আউট হন ওপেনার ইমাম উল হক। তিনি জসপ্রিত বুমরাহর বলে দলীয় ১৭ রানে স্লিপে শুভমান গিলের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন।
ওয়ান ডাউনে ব্যাটিংয়ে নেমে সুবিধা করতে পারেননি অধিনায়ক বাবর আজম। হার্দিক পান্ডিয়ার বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন পাকিস্তানের অধিনায়ক ও এই সময়ের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান বাবর। তার বিদায়ে ১০.৪ ওভারে ৪৩ রানে ২ উইকেট হারায় পাকিস্তান।
দলীয় ৪৭ রানে শার্দুল ঠাকুরের বলে লোকেশ রাহুলের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন পাকিস্তানের উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ রিজওয়ান।
দলের চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে ইনিংসের শুরু থেকে উইকেটের এক প্রান্ত আগলে রাখা ফখর জামান ফেরেন দলীয় ৭৭ রানে। কুলদীপ যাদবের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ৫০ বলে ২টি বাউন্ডারির সাহায্যে ২৭ রান করেন ফখর।
দলীয় ২৩.৬ ওভারে কুলদীপ যাদবের দ্বিতীয় শিকারে পরিনত হন আগা সালমান। তিনি ৩২ বলে দুই চারে ২৩ রানে ফেরেন। ১০ বলে ৬ রান করে দলীয় ১১০ রানে কুলদীপ যাদবের তৃতীয় শিকার হন শাদাব খান। কুলদীপের চতুর্থ শিকার হন ইফতেখার আহমেদ।
কুলদীপের পঞ্চম শিকার হয়ে অষ্টম ব্যাটসম্যান হিসেবে সাজঘরে ফেরেন ফাহিম আশরাফ। তার বিদায়ের মধ্য দিয়ে শেষ হয়ে যায় পাকিস্তানের ইনিংস। চোটের কারণে নাসিম শাহ ও হারিস রউফ ব্যাট করতে নামেননি।