চাঁদপুরের হাজীগঞ্জের বড়কুল পশ্চিম ইউনিয়নের নাটেহারা গ্রামের গাজী বাড়ীতে গত ২৮ আগস্ট আদালতের নির্দেশক্রমে ২ একর ৪৫ শতাংস ভূমি থেকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে উচ্ছেদকৃত ৩২টি পরিবার বর্তমানে নারী ও শিশু সন্তান নিয়ে ঝড়বৃষ্টি উপেক্ষা করে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে। কেউ কেউ স্থানীয় নাটেহারা মসজিদেও থাকছে। বিষয়টি খুবই অমানবিক।
এমন ঘটনা জানতে পেরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাশেদুল ইসলাম উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশক্রমে বৃহস্পতিবার বিকেলে সরেজমিনে নাটেহারা গ্রামের উচ্ছেদকৃত পরিবারের সদস্যদের সাথে দেখা করেন এবং প্রশাসনের পক্ষ থেকে নগদ ১০ হাজার টাকা, ৩০ কেজি চাউল, তেল, লবণ, চিনি, আলু, শিশু খাদ্য প্রদান করেন।
এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ক্ষতিগ্রস্থদের আশ^স্থ করেন যদি কারো জায়গা থাকে, তাহলে আমরা ঘর করার জন্য টিন দেবো। যদি কারো জায়গা না থাকে আশ্রয় কেন্দ্রে থাকতে চাইলে সরকারের পক্ষ থেকে সেই ব্যবস্থ করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, যেহেতু, আদালতের নির্দেশক্রমে উচ্ছেদ করা হয়েছে। এ বিষয়ে আমাদের কোন মতামত নেই। আপনাদের যদি কিছু বলার থাকে আদালতকেই বলবেন।
উল্লেখ্য, নাটেহারা গ্রামের গাজী বাড়ীর আবদুস ছোবহান গং ২ একর ৪৫ শতাংস ভূমি তার পৈতৃক সম্পত্তি মর্মে আদালতে মামলা করে। প্রায় ১৪ বছর মামলাটি চলার পর ওই সম্পত্তি আবদুস ছোবহান গংয়ের বলে আদালত রায় দেয়। পরে উচ্ছেদ মামলা করা হয়। ওই মামলায় আদালতের নির্দেশক্রমে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে উচ্ছেদ করে ভূমিটি আবদুস ছোবহান গং পরিবারকে বুঝিয়ে দেয়া হয়।